Joshimath: প্রাণ গেলে যাক! জোশীমঠে ঘর ছাড়তে নারাজ বাসিন্দারা

মুখ্যমন্ত্রী পুস্কর সিং ধামি, জোশীমঠকে বাঁচানোর জন্য সকলকে একত্রিত ভাবে কাজ করার অনুরোধ জানিয়েছেন।
Joshimath
Joshimath

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উন্নয়নের মাশুল দিচ্ছে  জোশীমঠ। সারাজীবনের সঞ্চয় দিয়ে বানানো বাড়ি ছেড়ে সাধারণ মানুষকে আশ্রয় নিতে হচ্ছে ত্রাণ শিবিরে। বিপজ্জনক বাড়িগুলিকে লাল কালি দিয়ে চিহ্নিত করার পরেও স্থানীয়রা ঘর ছাড়তে নারাজ। প্রাণ গেলেও ভিটে-মাটি থেকে উৎখাত হতে নারাজ স্থানীয় নাগরিকেরা। পর্যাপ্ত পুনর্বাসন না থাকার অভিযোগ স্থানীয়দের একাংশের। এক কামরার ঘরে গোটা পরিবারের আসবাব পত্র কীভাবে রাখা সম্ভব, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা।

ধ্বংসের পথে যোশীমঠ!

ওয়াকিবহাল মহল বলছে, পরিস্থিতি খারাপের দিকে গত কয়েকবছর ধরেই। ধ্বংসস্তূপের উপর গড়ে ওঠা উত্তরাখণ্ডের চামোলি জেলার যোশীমঠ শহর ক্রমশ বসে যাচ্ছে। ধসে পড়ছে বাড়িঘর, মন্দির। সেখানকার রাস্তা, হোটেল, বাড়ির মেঝে ও দেওয়ালে চওড়া ফাটল দেখা দিচ্ছে। যেকোনও সময় তলিয়ে যাওয়ার দিন গুনছেন জোশীমঠের বাসিন্দারা। এখনও পর্যন্ত ঘরছাড়া চার হাজারের বেশি মানুষ। ফাটল ধরেছে ৬৭৮ বাড়িতে এই পরিস্থিতিতে 'জাতীয় বিপর্যয়' (National Disaster) ঘোষণার দাবি তুলছেন স্থানীয়রা। জোশীমঠ নিয়ে মামলাও হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। মঙ্গলবার জোশীমঠ নিয়ে আবেদনের জরুরি শুনানির দাবি খারিজ করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। আগামী ১৬ই জানুয়ারি জোশীমঠ মামলা শুনবে সুপ্রিমকোর্ট। শুনানির দিন ধার্য করতে গিয়ে প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় বলেছেন, মামলাকারী অন্য কোন সংস্থার কাছেও আবেদন করতে পারেন।

আরও পড়ুন: বিজেপির গঙ্গাপুজোয় ‘না’ পুলিশের, ‘কর্মসূচি হবেই’, জানালেন সুকান্ত

উদ্বিগ্ন প্রধানমন্ত্রীও

জোশীমঠে রয়েছে SDRF এবং NDRF-এর টিম। সমাধানের খোঁজে সাতটি সংস্থার বিশেষজ্ঞদের নিয়ে কমিটি তৈরি করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। জোশীমঠের পরিস্থিতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী ব্যক্তিগত ভাবে খোঁজ নিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুস্কর সিং ধামি।  জোশীমঠের পরিস্থিতি কী, সঠিক ভাবে তা জানতে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠিত হয়েছে আগেই, তাঁরা রিপোর্ট জমা দেবেন প্রধানমন্ত্রীর কাছে। মুখ্যমন্ত্রী পুস্কর সিং ধামি, জোশীমঠকে বাঁচানোর জন্য সকলকে একত্রিত ভাবে কাজ করার অনুরোধ জানিয়েছেন। জোশীমঠ উদ্ধারে এলাকাকে তিনভাগে  ভাগ করা হয়েছে। সম্পূর্ণ নিরাপদ, বিপদ কম এবং বিপদ যুক্ত, তিন ভাগে ভাগ করে কাজ শুরু করা হয়েছ।  মঙ্গলবার থেকে উত্তরাখণ্ডের জোশীমঠে বিপজ্জনক বাড়ি ভাঙার কাজ শুরু করার কথা। প্রথমে ভাঙার কথা ছিল বিপজ্জনক হোটেলগুলি। কিন্তু স্থানীয় মানুষের অসহযোগিতায় নির্দিষ্ট সময়ের পরেও শুরু করা যায়নি হোটেল ভাঙার কাজ। স্থানীয় প্রশাসন জানাচ্ছে এই এলাকার হোটেল এবং ঘরগুলি ভাঙা হবে বুলডোজার দিয়ে। কোন বিস্ফোরক ব্যবহার করা হবে না।

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles