মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার পর এবারে রাজ্যের স্কুল গুলিতে মিড-ডে মিলের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে কলকাতায় এসে পৌঁছল কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। রবিবার সন্ধ্যা ৭টায় দমদম বিমানবন্দরে পৌঁছন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের ১১ জন সদস্য। কেন্দ্রীয় সরকার এবং রাজ্য সরকারের তরফে নির্বাচিত মোট ১১ জন আধিকারিক এবং সঙ্গে একজন ইউনিসেফের সদস্যকে নিয়ে যৌথভাবে মিড ডে মিলের পরিস্থিতি পরিদর্শন করা হবে। এই প্রতিনিধি দল পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় ঘুরে খতিয়ে দেখবে পরিস্থিতি। আজ সোমবার থেকেই রাজ্যের ৪ জেলায় মিড ডে মিল প্রকল্পের অগ্রগতি খতিয়ে দেখবেন তাঁরা।
রাজ্যে ফের কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল
অনেক দিন ধরেই রাজ্যে মিড ডে মিল নিয়ে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে। কেন্দ্রের অভিযোগ, রাজ্য সরকার এই প্রকল্পের বরাদ্দ টাকা ঠিক ভাবে ব্যবহার করছে না। এই প্রকল্পের টাকা নয়ছয় হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শনিবার এক ট্যুইটে শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেন, মিড ডে মিলের টাকায় বগটুইয়ে নিহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিয়েছে রাজ্য সরকার। আবার বিগত কয়েকদিন ধরে রাজ্যের স্কুল গুলিতে মিড ডে মিলের গুণমান নিয়েও প্রশ্ন তোলেন বিরোধী দলের অনেকেই। ফলে এবারে মিড ডে প্রকল্পের বিভিন্ন দিক খতিয়ে দেখতে গতকাল রাজ্যে পৌঁছল কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল।
আরও পড়ুন: বিজেপি ক্ষমতায় এলেই সিএএ লাগু! মালদার সভায় বিস্ফোরক সুকান্ত
কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের ১১ জন সদস্য। দলের নেতৃত্বে রয়েছেন পুষ্টিবিদ অনুরাধা দত্ত। রয়েছেন ইউনিসেফের এক প্রতিনিধি। সঙ্গে থাকবেন রাজ্যের এক প্রতিনিধিও। ওই দলের সদস্যেরা কলকাতা বিমাবন্দর থেকে চলে যান নিউ টাউনের একটি হোটেলে। এক সপ্তাহ ধরে তাঁরা রাজ্যের চারটি জেলার বিভিন্ন স্কুলে গিয়ে মিড-ডে মিলের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখবেন। আজ ওই পর্যবেক্ষকেরা যাচ্ছেন উত্তর ২৪ পরগনার কয়েকটি স্কুলে। পরের কয়েক দিন হাওড়া, উত্তরবঙ্গ এবং সব শেষে কলকাতার কয়েকটি স্কুলে তাঁদের ঘোরার কথা আছে।
কোন কোন দিক খতিয়ে দেখবেন তাঁরা?
এই প্রকল্পে কেন্দ্রের দেওয়া টাকা ঠিকমত খরচ করা হচ্ছে কি না, তা যাচাই করে দেখবেন তাঁরা। এর পাশাপাশি কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষকেরা খতিয়ে দেখবেন, নিত্যদিন যে খাবার স্কুলপড়ুয়াদের দেওয়া হচ্ছে, তা কতটা পুষ্টিকর। আর সেই জন্যই এক পুষ্টিবিশারদকে রাখা হয়েছে ওই দলের নেতৃত্বে। মিড ডে মিলের সঠিক চার্ট আছে কি না, মিড ডে মিলের জন্য প্রতিমাসে স্কুলের যে অর্থ বরাদ্দ করা হয় তার রেজিস্টার খাতা ঠিকঠাক আছে কি না, স্কুলের মিড ডে মিলের লোগো ঠিকঠাক আছে কি না, চাল, ডাল যেখানে রাখা হয় সেই জায়গা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন আছে কি না, খাবারের মান কেমন, ইত্যাদি বিষয় বারংবার খতিয়ে দেখবেন তাঁরা। আবার কেন পড়ুয়াদের একটি অংশ খাবার খায় না, তা-ও দেখা হবে বলে জানা গিয়েছে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।
+ There are no comments
Add yours