মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনি তৃণমূলের (TMC) যুব নেতা। অথচ কুন্তল ঘোষ নামের ওই নেতার সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছিলেন স্কুল সার্ভিস কমিশনের (SSC) একাধিক আধিকারিক। এর আগে হুগলির ওই যুবনেতার হুগলি ও কলকাতার নিউটাউনের বাড়িতে তল্লাশি চালান তদন্তকারীরা। তখনই বাজেয়াপ্ত হয় বেশ কিছু কাগজ এবং পেন ড্রাইভ। ইডি সূত্রে খবর, সেই সব নথি থেকেই এসএসসির (Recruitment Scam) বেশ কয়েকজন আধিকারিকের নাম ও পরিচয় পাওয়া গিয়েছে।
ইডি...
ইডির আধিকারিকদের অনুমান, কুন্তল চাকরি প্রার্থীদের ভুয়ো ইন্টারভিউয়ের ব্যবস্থা করেছিলেন। তাঁদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছিল জাল জয়নিং লেটারও। অভিযোগ, নকল ইন্টারভিউয়ের ব্যবস্থা করা থেকে শুরু করেন ভুয়ো জয়েনিং লেটার তৈরি করতে কুন্তলকে সাহায্য করেছিলেন ওই আধিকারিকরা। তল্লাশি চালানোর সময় কুন্তলের বাড়ি থেকে বেশ কয়েকটি ওএমআর শিট উদ্ধার করেছিলেন তদন্তকারীরা। সেই সময় কুন্তল জানিয়েছিলেন, তথ্য জানার অধিকার আইনে ওই ওএমআর শিটগুলি পেয়েছিলেন তিনি। কুন্তলের এই দাবি অবশ্য বিশ্বাস করেননি তদন্তকারীরা। তাঁদের ধারণা, তদন্তের অভিমুখ ঘুরিয়ে দিতেই মিথ্যে তথ্য দিয়েছিলেন কুন্তল। ইডির আধিকারিকদের অনুমান, এসএসসির আধিকারিকদের সাহায্যেই ওএমআর শিটের মতো গুরুত্বপূর্ণ নথি পেয়েছিলেন তিনি। সেই কারণেই তাঁদেরও জেরা করা হবে।
আরও পড়ুুন: ফের বাংলাদেশে আক্রান্ত সংখ্যালঘু হিন্দুরা, ১৪টি মন্দিরে ভাঙচুর, কী বলছে প্রশাসন?
প্রসঙ্গত, শিক্ষক নিয়োগ কেলেঙ্কারির (Recruitment Scam) ঘটনায় ইডির পাশাপাশি তদন্ত করছে সিবিআইও। সেই সময় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডলের মুখ থেকে প্রথম শোনা যায় কুন্তলের নাম। তার পরেই কুন্তলকে নিজাম প্যালেসে ডেকে পাঠায় সিবিআই। পরে বেআইনি আর্থিক লেনদেনের ঘটনার তদন্তে নেমে কুন্তলকে গ্রেফতার করে ইডি। এদিকে, দুটি বেসরকারি ব্যাঙ্কের দুটি অ্যাকাউন্টে নগদ সাড়ে ৬ কোটি টাকা জমা পড়েছিল। পরে দ্রুত সেই টাকা সরিয়ে দেওয়া হয় বিভিন্ন ব্যাঙ্কের অনেকগুলি অ্যাকাউন্টে। নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় ধৃত কুন্তলকে জেরা করে এবং বিভিন্ন নথি খতিয়ে দেখে এমনটাই জেনেছেন ইডির তদন্তকারী আধিকারিকরা। আগাম পরিকল্পনা করেই দুর্নীতির টাকা বিভিন্ন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার (Recruitment Scam) করা হয়েছে বলে ধারণা তাঁদের। ইডি সূত্রে খবর, স্কুলে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নামে প্রায় ১৯ কোটি টাকা নেওয়ার কথা জেরায় স্বীকার করেছেন কুন্তল। নিজের শেয়ারটুকু রেখে সেই টাকা তিনি পাঠাতেন প্রভাবশালীদের কাছে। যেসব বাড়ি, ফ্ল্যাট কিংবা অফিস খুলে চাকরি প্রার্থী ও এজেন্টদের সঙ্গে বৈঠক করতেন কুন্তল, সেগুলির দিকেও নজর রয়েছে ইডির।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।
+ There are no comments
Add yours