মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেষমেশ দুর্নীতির কথা কবুল করে নিল স্কুল সার্ভিস কমিশন (SSC Scam)। সব মিলিয়ে আপাতত ৮০০র কিছু বেশি ‘শিক্ষকে’র (Teacher) চাকরি বাতিল হতে চলেছে। এঁদের মধ্যে অনেকেই শিক্ষক হিসেবে ইতিমধ্যেই চাকরি করছেন। অনেকে নিয়োগপত্র পেয়েছেন। অনেকে আবার পেয়েছেন সুপারিশ পত্র। এঁরা সবাই ২০১৬ সালে নবম-দশমে শিক্ষক হিসেবে হয় নিযুক্ত হয়েছেন, নয় নিয়োগপত্র পেয়েছেন। কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে সার্ভার এবং ওএমআর শিটের মধ্যে বিস্তর ফারাক দেখা গিয়েছে। তাই বাতিল হচ্ছে এঁদের চাকরি। এদিকে, কয়েকজনের নম্বর বেড়েছে ৫৩ পর্যন্ত। যার অর্থ এই বঞ্চিতদের বাদ দিয়েই চাকরি দেওয়া হয়েছিল অযোগ্যদের। কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, অবৈধভাবে নিয়োগ হওয়া কিংবা নিয়োগপত্র পাওয়া শিক্ষকদের চাকরি বাতিল হবে পর্যায়ক্রমে। আগামী সপ্তাহেই এ ব্যাপারে নোটিশ জারি হবে বলে কমিশন সূত্রে খবর।
এসএসসি...
২০১৬ সালে এসএসসির (SSC Scam) নবম দশম শ্রেণির নিয়োগ তালিকায় ছিল মোট ৯৫২ জনের নাম। তাতে সুযোগ পাওয়া অনেকের সার্ভার এবং ওএমআর শিটে প্রাপ্ত নম্বরের বিস্তর ফারাক। কারও কারও নম্বরের পার্থক্য ৫৩। সেই তালিকা দেখে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু প্রশ্ন করেছিলেন, কী ব্যবস্থা নেওয়ার কথা ভাবছে এসএসসি?
এসএসসির চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার বলেন, আমাদের বিধিতে আছে ১৭ নম্বর ধারা প্রয়োগ করে সুপারিশপত্র বাতিল করা যায়। ৮ ফেব্রুয়ারি এই মর্মে আদালতে হলফনামা জমা দিই। তা শুরু করতে রাজি। তিনি বলেন, ৮০০-র সামান্য বেশি সংখ্যা আমরা পেয়েছি, যাদের সুপারিশপত্র বাতিল করতে পারি। আগামী সপ্তাহ থেকে নোটিশ দিয়ে কাজ শুরু করব।
আরও পড়ুুন: কয়লাকাণ্ডে উঠে আসছে হরিশ মুখার্জি রোডের একটি রেস্তোরাঁর নাম! মালিক কে? তদন্তে ইডি
অতি সম্প্রতি বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে চাকরি (SSC Scam) গিয়েছিল মন্ত্রী পরেশ অধিকারীর কন্যা অঙ্কিতা অধিকারীর। তার পরেও চাকরি খুইয়েছেন একাধিক শিক্ষক। তবে এক লপ্তে ৮০০ জনেরও বেশি শিক্ষকের চাকরি চলে যাচ্ছে, এ ঘটনা নেই বললেই চলে।
+ There are no comments
Add yours