Tapas Mondal: টাকা দিলেই মিলত সার্টিফিকেট! একাধিক বিএড কলেজ খুলে এভাবেই উপার্জন করতেন তাপস

কুন্তল ঘোষ অভিযোগ করেছেন বিভিন্ন প্রভাবশালীর নাম নিয়ে তাঁর ছেলেকে অপহরণের হুমকি পর্যন্ত দিয়েছিলেন তাপস
TapasMondal
TapasMondal

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একাধিক বিএড কলেজ (SSC Case) খুলে দুর্নীতি চক্র চালাতেন মানিক ভট্টাচার্যের ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডল (Tapas Mondal Background)। নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ধৃত তাপসের বিএড কলেজে না এলেও মিলত সার্টিফিকেট।  মোটা টাকা দিলে বাড়িতে বসেই পাওয়া যেত শংসাপত্র। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় মানিক-ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডল (Tapas Mondal) গ্রেফতার (Arrest) হওয়ার পর প্রকাশ্যে আসছে তাঁর একের পর এক কুকীর্তি। সূত্রের খবর, বাম আমলেই চিটফান্ড কোম্পানি খুলেছিলেন তাপস। ওড়িশা পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়ে কিছুদিন জেলও খাটেন। নিয়োগ-দুর্নীতি-কাণ্ডে ধৃত কুন্তল ঘোষ অভিযোগ করেছেন বিভিন্ন প্রভাবশালীর নাম নিয়ে তাঁর ছেলেকে অপহরণের হুমকি পর্যন্ত দিয়েছিলেন তাপস।

একাধিক বেসরকারি বিএড কলেজ

পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়ার আদি বাসিন্দা তাপস মণ্ডল। পাঁশকুড়ায় রাসবিহারী কলেজ অফ এডুকেশন নামে একটি বিএড কলেজ স্থাপন করেন তিনি। এখন সেই কলেজের দেখভাল করছেন তাপস মণ্ডলের আত্মীয় প্রভাকর জানা। গোয়েন্দা সূত্রের খবর, তাপস মণ্ডলই প্রথম রাজ্যে একাধিক বেসরকারি বিএড কলেজ তৈরি করেছেন। পাঁশকুড়া থানা এলাকার পাতাদা গ্রামে তাপসের ভাই একটি বিএড কলেজ দেখভাল করেন। যেটির নাম মিনার্ভা অ্যাকাডেমি। তাপস মণ্ডলের ভাই বিভাস মণ্ডল এই কলেজটির দায়িত্বে রয়েছেন। তাপস গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই তাঁর আত্মীয়েরা গা ঢাকা দিয়েছেন। গ্রামের বাড়ি তালাবন্ধ। তাপস মণ্ডলের স্ত্রী সন্ধ্যা রাণী মণ্ডল সংবাদ মাধ্যমের সামনে বলেন, ''মা কালীর দিব্বি খেয়ে বলছি আমি কিচ্ছু জানি না।'' তাঁর কথা অনুযায়ী, তাপস মণ্ডলের কোনও কাজ, কোনও ব্যবসা সংক্রান্ত কোনও তথ্যই তাঁর কাছে নেই।

আরও পড়ুন: কালিয়াচক ধর্মান্তরের ঘটনায় সিবিআইকে রিপোর্ট পেশ করতে নির্দেশ বিচারপতি রাজশেখর মান্থার

চিটফান্ড সংস্থা

সূত্রের খবর, আটের দশকে পাঁশকুড়া স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে তাপস তৈরি করেছিলেন, চিটফাণ্ড সংস্থা 'মিনার্ভা ফিনান্স কোম্পানি'। অভিযোগ, ব্য়াঙ্কের থেকে বেশি হারে সুদের টোপ দিয়ে, বাজার থেকে তাপস তুলেছিলেন কোটি কোটি টাকা। অভিযোগ, অবিভক্ত মেদিনীপুর, হাওড়া, হুগলি এমনকী ওড়িশা পর্যন্ত প্রতারণার ফাঁদ পেতেছিলেন তাপস। তৈরি করেছিলেন, সাত জনের বোর্ড অফ ডিরেক্টরস। সোসাইটির রেজিস্ট্রেশনও করিয়েছিলেন। কিন্তু আমানতকারীদের প্রাপ্য় টাকা ফেরত না দেওয়ায় তাপসকে গ্রেফতার করেছিল ওড়িশা পুলিশ।

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles