মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পূর্ব ঘোষণা মতো বুধবার পুরুলিয়ার কুস্তাউর স্টেশনে রেল অবরোধে সামিল হলেন সংগঠনের সদস্যরা (Tribal People)। এদিন সকাল থেকেই তীর, ধনুক, ধামসা-মাদল নিয়ে সংগঠনের সদস্যরা স্টেশনে এসে জমায়েত হন। পরে, বিভিন্ন দাবিদাওয়ার স্লোগান তুলে রেল লাইনে নেমে অবরোধ শুরু করেন। সকাল পাঁচটা থেকে রেল অবরোধ শুরু করে। পাশাপাশি সড়ক অবরোধ করা হয়। একইসঙ্গে ঝাড়গ্রামেও সংগঠনের পক্ষ থেকে রেল অবরোধ করা হয়। ফলে, এদিন সাধারণ মানুষ চরম নাকাল হন। হাজার হাজার যাত্রীকে দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
আন্দোলনের জেরে কত ট্রেন বাতিল হল?
সকাল থেকে রেল অবরোধ করার জন্য খড়গপুর-আদ্রা শাখায় ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। দক্ষিণ-পূর্ব রেলের একাধিক ট্রেন বাতিল হয়ে যায়। আগাম রেল অবরোধের কথা ঘোষণা করায় দক্ষিণ পূর্ব রেলের মুম্বই এবং আদ্রা শাখার বেশ কয়েকটি ট্রেন বাতিল করা হয়। জানা গিয়েছে, টাটা-হাওড়া স্টিল এক্সপ্রেস, হাওড়া -হাওড়া স্টিল এক্সপ্রেস, হাওড়া-বরবিল জনশতাব্দী, হাওড়া-রাঁচি ইন্টারসিটি এক্সপ্রেস বাতিল করা হয়েছে। পাশাপাশি বেশ কিছু মেমু স্পেশাল বাতিল করা হয়েছে। এমনিতেই মঙ্গলবার বেলা ১০টা নাগাদ অনির্দিষ্টকালের জন্য খড়গপুর গ্রামীণের খেমাশুলিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য জাতীয় সড়ক অবরোধ কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। এদিন জাতীয় সড়কের পাশাপাশি রেলপথও অবরোধ করা হয়। ফলে, জাতীয় সড়কে লাইন দিয়ে ট্রাক দাঁড়িয়ে রয়েছে। আর নতুন করে রেল অবরোধ শুরু হওয়ায় সাধারণ মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়ছেন।
আন্দোলন নিয়ে কী বললেন কুড়মি সমাজের নেতা?
আদিবাসী (Tribal People) কুড়মি জাতিকে তফশিলি উপজাতির তালিকাভুক্ত করা, সারনা ধর্মের স্বীকৃতি, কুড়মালি ভাষাকে সংবিধানের অষ্টম তফশিলের অন্তর্ভুক্ত করা-সহ রাজ্য সরকারের সিআরআই (কালচারাল রিসার্চ ইনস্টিটিউট) রিপোর্ট কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে পাঠানোর দাবিতে সংগঠনের পক্ষ থেকে রাস্তায় নেমে এই আন্দোলন করা হয়েছে। আদিবাসী (Tribal People) কুড়মি সমাজের মুখ্য উপদেষ্টা অজিত প্রসাদ মাহাত বলেন, আমরা রাজ্য সরকারকে বহুদিন ধরে সময় দিয়েছি। কিন্তু, আমাদের দাবিদাওয়ার বিষয়ে রাজ্য সরকারের কোনও হেলদোল নেই। তাই, আমরা এর আগেই এই কর্মসূচি নেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলাম। রাজ্য সরকার আমাদের দাবির বিষয়ে বিবেচনা না করলে আমরা এই আন্দোলন আরও জোরদার করব। প্রয়োজনে জঙ্গলমহল স্তব্ধ করে দেব। এর আগে ‘কুড়মি সমাজ পশ্চিমবঙ্গ’ সংগঠনের রাজ্য সভাপতি রাজেশ মাহাত বলেন, ১ এপ্রিল থেকে রাজ্যের ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া ও পুরুলিয়া সহ বিহার, ঝাড়খণ্ড ও ওড়িশা রাজ্যের জঙ্গলমহল এলাকা জুড়ে ‘ঘাঘর ঘেরা’ নামে লাগাতার আন্দোলন কর্মসূচি নেওয়া হয়। দাবিদাওয়া আদায়ে এবার সেই আন্দোলন আরও জোরদার করা হল।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours