মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বর্ধমানের ল্যাংচা হাবের সামনে শক্তিগড়ে কয়লা মাফিয়া রাজু ঝা–কে পরিকল্পনা করেই খুন করা হয়েছে। আর এই খুনের পিছনে রয়েছে বড় মাথা। দীর্ঘদিন ধরে চক্রান্ত করে এই খুন করা হয়েছে বলে দাবি করলেন ব্যারাকপুরের সাংসদ (বিজেপি থেকে তৃণমূলে ফেরা) অর্জুন সিং (Arjun Singh)।
রাজু বিজেপি করেনি
কয়লা মাফিয়া রাজু ঝা (Raju Jha) খুন হয়েছিলেন ১ এপ্রিল সন্ধ্যায়। সেই খুনের ঘটনায় সিট গঠন হয়েছে। কিন্তু শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত রাজু খুনের কিনারা করে উঠতে পারেনি বিশেষ তদন্তকারী দল। এরমধ্যেই শুক্রবার রাজুর দুর্গাপুরের বাড়িতে গিয়ে তাঁর পরিবারের সঙ্গে দেখা করলেন অর্জুন। রাজুর বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে অর্জুন বলেন, ‘‘আমাদের পারিবারিক সম্পর্ক ছিল। ওর (রাজুর) সঙ্গে কোনও ব্যবসায়িক সম্পর্ক ছিল না আমার। আসলে ওর গ্রামের বাড়ি (বিহারে) এবং আমার বাড়ি একই জায়গায় ছিল। সেই সূত্রে পরিচয়।’’ পাশাপাশি দিলীপ ঘোষ এবং তাঁর উপস্থিতিতে রাজু বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন সে কথা উল্লেখ করে সাংসদ বলেন, ‘‘ও পার্টি (বিজেপি) করেনি। পরে আমরা ওকে তৃণমূলে কাজে লাগানোর চেষ্টা করেছিলাম। তার মধ্যেই এমন ঘটনা ঘটে গেল।’’
লতিফেরও প্রাণহানির শঙ্কা
২০২১ সালের বিধানসভা ভোটের আগে বিজেপিতে যোগ দিলেও পরে সে ভাবে পশ্চিম বর্ধমানের কয়লা ব্যবসায়ী রাজু ঝাকে আর রাজনীতির ময়দানে দেখা যায়নি। রাজু যেদিন খুন হন সেদিন ওই গাড়িতেই ছিলেন গরু পাচার মামলায় অভিযুক্ত তথা সিবিআইয়ের খাতায় ফেরার আবদুল লতিফ। অর্জুনের দাবি, ‘এটা পাকা মাথার কাজ। বাইরের রাজ্য থেকে শার্প শ্যুটার এসেছিল। রহস্য ভেদ করতে একটু তো সময় লাগবেই!’ রাজুর খুনের দিন তাঁর সঙ্গে এক গাড়িতেই ছিলেন লতিফ। আর এই ঘটনার পর থেকে গা–ঢাকা দিয়েছেন তিনি। অর্জুনের কথায়, ‘আমার মনে হয় লতিফ এই মার্ডার কেসে একটা লিঙ্ক!’ আবদুল লতিফের নাম এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িয়েছে তারও প্রাণহানির আশঙ্কা রয়েছে। ওকে পুলিশ না ধরতে পারলে হয়তো লতিফকেও সরিয়ে দেওয়া হবে। গরু-পাচার মামলায় কিং-পিন লতিফ। ইতিমধ্যেই তাঁকে দিল্লিতে তলব করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এই আবহে অর্জুনের এরকম দাবি চাঞ্চল্য ফেলেছে রাজনৈতিক মহলে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours