Taekwondo Championship: তাইকোন্ডো ন্যাশনাল চ্যাম্পিয়নশিপে ব্রোঞ্জ জয় আসানসোলের তিন যমজ বোনের

তাদের পরবর্তী লক্ষ্য বিদেশ যাওয়া, বিশেষত অলিম্পিকে যোগ দিয়ে পুরস্কার ছিনিয়ে আনা
Taekwondo_Championship
Taekwondo_Championship

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তাইকোন্ডো ন্যাশনাল চ্যাম্পিয়নশিপে (Taekwondo Championship) ব্রোঞ্জ ছিনিয়ে আনল একসঙ্গে তিন যমজ বোন। সুচেতা চট্টোপাধ্যায়, রঞ্জিতা চট্টোপাধ্যায় ও সুপ্রীতা চট্টোপাধ্যায়। এরা ট্রিপলেট বা তিন যমজ বোন। আসানসোল ডিসেরগড় এসডি হাইস্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী। রাজ্যের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করে তারা এই পুরস্কার ছিনিয়ে এনেছে রাজস্থানের কোটা থেকে। কুলটির ডিসেরগরের বাসিন্দা পেশায় গৃহশিক্ষক বামাপ্রসাদ চট্টোপাধ্যায় ও তাঁর স্ত্রী সুনেত্রা চট্টোপাধ্যায় উদ্যোগ নিয়ে এই তিনজনকে আড়াই বছর আগে তাইকোন্ডো প্রশিক্ষণে দেন। প্রশিক্ষক শুভ গঙ্গোপাধ্যায়। এর আগে রাজ্যস্তরের প্রতিযোগিতায় এই তিন বোন স্বর্ণপদক জয়লাভ করেছিল হাওড়াতে। তারপরে তাদের ন্যাশনাল চ্যাম্পিয়নশিপে পাঠানো হয়। গত ২৮ মার্চ থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত রাজস্থানের কোটাতে ছিল ৩৬ তম ন্যাশনাল সাব জুনিয়ার ইউরোজি এবং ১০ তম ন্যাশনাল সাব জুনিয়ার পুমাসে তাইকোন্ডো চ্যাম্পিয়নশিপ ২০২২-২৩। প্রতিযোগিতার আয়োজক ছিল রাজস্থান তাইকোন্ডো অ্যাসোসিয়েশন ও তাইকোন্ডো ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়া।

পুরস্কার জেতার পর লক্ষ্য কী ?

তিন বোনেরই একজন সুচেতা বলল, পুরস্কার জেতার আশা তো ছিলই। কিন্তু সঙ্গে দোলাচলও ছিল যে, পারবো কি পারবো না। যদিও লড়াইয়ে (Taekwondo Championship) নামার আগে তার ছিল ফুল কনফিডেন্স। তখন না ছিল মনে ভয়, না ছিল কোনও টেনশন। এখন রোজ সকালে দু'ঘণ্টা, বিকালে দু'ঘণ্টা প্র্যাকটিস চলছে। পুরস্কার জেতার পর বেজায় খুশি তারা। তবে এখানেই তারা থেমে থাকতে চায় না। তাদের পরবর্তী লক্ষ্য হল ইন্টারন্যাশনাল অর্থাৎ বিদেশে যাওয়া, বিশেষত অলিম্পিকে যোগ দিয়ে পুরস্কার ছিনিয়ে আনা। এই কাজে বাবা-মা যে তাদের মারাত্মকভাবে সাহায্য করছে, সে কথা তারা অকপটে স্বীকার করেছে।  

কী বলছেন গর্বিত বাবা-মা ? 

তিন যমজ মেয়ে একসঙ্গে পুরস্কার ছিনিয়ে আনায় স্বাভাবিকভাবেই খুশিতে ডগমগ বাবা-মা দুজনেই। বামাপ্রসাদবাবু বললেন, এদের বাবা হিসেবে আমি তো গর্বিত বটেই। ওরা আমাদের মুখ উজ্জ্বল করেছে। বিশ্বাস, ভবিষ্যতে এরা আমাদের স্বপ্ন পূরণ করবেই। কারণ এখন যেভাবে কঠোর পরিশ্রম করতে হয়, তাতে মেয়েরা আমাদের কথা মনপ্রাণ দিয়ে শুনে চলে। আমি নিজে যতটা পারি ওদের সাহায্য করি। চেষ্টা করি। তবে ওদের মায়ের সাপোর্ট ছাড়া এটা (Taekwondo Championship) সম্ভব হত না। 

মা মনে করেন, আত্মরক্ষার্থে এটা আজকালকার দিনে খুবই জরুরি। তিনি নিজেও চেয়েছিলেন এটি শিখতে। যে কোনও কারণেই হোক তা হয়ে ওঠেনি। তাই মেয়েদেরকে প্রথম থেকেই এটি শেখাচ্ছেন। মেয়েরা আরও ভালো ফল করবে, এটা তাঁর আশা ছিল। তবে আপাতত তিনি খুশি। ভবিষ্যতে ওরা আরও বড় হোক, নিজেদের পায়ে দাঁড়াক, এটাই তাঁর একমাত্র কামনা।

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles