মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সামনে পয়লা বৈশাখ। নববর্ষেও তীব্র গরমে নাজেহাল হবে শহরবাসী, এমনই পূর্বাভাস হাওয়া অফিসের। ক্রমশ বাড়ছে তাপমাত্রার পারদ। আপাতত শনিবার পর্যন্ত বৃষ্টিপাতের কোনও সম্ভাবনা নেই। গরমে হাসফাঁস করছে বঙ্গবাসী।
পারদ ৪০ ছুঁই ছুঁই
আলিপুর আবহাওয়া দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, বুধবার কলকাতার তাপমাত্রা থাকতে পারে সর্বোচ্চ ৩৯ ডিগ্রি এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে ২৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি। এদিন সকালে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৮.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে ৩ ডিগ্রি বেশি এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৭.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে ২ ডিগ্রি বেশি। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ সর্বাধিক ৮৮ শতাংশ এবং সর্বনিম্ন ২২ শতাংশ। ইতিমধ্যেই পশ্চিমের জেলায় ৪০ ছুঁয়েছে পারদ। বর্ধমানে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। বাঁকুড়াতে ঘাড়ে নিশ্বাস ফেলছে পারদ। গতকাল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৯.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কলকাতার পাশেই দমদম বিমানবন্দরে তাপমাত্রা পেরোল ৩৯.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বুঝিয়ে দিল আগামী কয়েক দিন তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি থাকবে বাংলায়।
আরও পড়ুন: ভোটে লড়ছেন না ইয়েদুরাপ্পা! কর্নাটকে প্রথম দফার প্রার্থী তালিকা প্রকাশ বিজেপির
দার্জিলিং এর তাপমাত্রাও কুড়ি ডিগ্রি পেরোল
শনিবার পর্যন্ত বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই। উত্তরবঙ্গ পিছিয়ে নেই। মালদহতে ৩৮.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। আর বালুরঘাটে ৩৬.৫ আর বাগডোগরাতে ৩৬.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দার্জিলিং এর তাপমাত্রাও কুড়ি ডিগ্রি পেরিয়ে গেল ২১.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়া উল্লেখযোগ্য তাপমাত্রা ছিল এদিন আসানসোলে ৩৯.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। পানাগড়ে ৩৯.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শ্রীনিকেতনে ৩৯.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কলাইকুন্ডা তে ৩৯.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বারাকপুরে ৩৯.৬ এবং ক্যানিংয়ে ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগামী কয়েকদিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪ ডিগ্রি পর্যন্ত বাড়তে পারে। সঙ্গে থাকবে শুকনো গরম। শুক্র ও শনিবারে তাপপ্রবাহের মতো পরিস্থিতি তৈরি হবে। হাওয়া অফিস জানাচ্ছে, পশ্চিমের জেলাগুলিতে গরম আরও বাড়বে। বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, পশ্চিম বর্ধমান এবং বীরভূমে তাপপ্রবাহের শঙ্কা রয়েছে।
পর্যাপ্ত জল পান করুন
এই গরমে ত্বকে জ্বলুনি ভাব আসতে পারে। শরীরে জলের অভাব হতে পারে। তাই সাধারণ মানুষকে শরীর ঠান্ডা রাখতে পর্যাপ্ত জল পান করার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। রোদে বেরোতে হলে অবশ্যই ছাতা, রোদচশমা, টুপি ব্যবহার করতে হবে। সুতির হালকা পোশাক পরা ও বেশি করে জল খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। চা-কফি-ঠান্ডা পানীয়র বদলে লস্যি, সরবৎ, মরশুমি ফল খেতে বলছেন চিকিৎসকরা।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours