মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জে (Kaliyaganj Murder Case) দ্বাদশ শ্রেণির এক ছাত্রীকে গণধর্ষণ করে খুনের মামলায় সিট গঠন করল কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা বৃহস্পতিবার ওই বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করেন। রাজ্য পুলিশের আধিকারিক দময়ন্তী সেন, প্রাক্তন আইজি পঙ্কজ দত্ত এবং প্রাক্তন সিবিআই কর্তা উপেন্দ্রনাথ বিশ্বাসকে সিটে রেখেছেন তিনি। তাঁর নির্দেশ, আদালতের নজরদারিতে হবে তদন্ত। সিট যদি প্রয়োজন মনে করে, তাহলে দ্বিতীয় ময়নাতদন্ত করতে পারবে বলেও নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ।
সিটকে বিশেষ ক্ষমতা
এই মামলায় (Kaliyaganj Murder Case) বিচারপতির পর্যবেক্ষণ— ‘‘প্রচণ্ড চাপের মুখে কাজ করতে পারছে না পুলিশ। তাই এই সিট গঠন।’’ তিনি জানান, এই মামলার তদন্ত চলাকালীন বাইরে নিজেদের মত প্রকাশ করবেন না সিটের সদস্যরা। পাশাপাশি, হাইকোর্টের নির্দেশ, কেস ডায়েরি এবং অন্যান্য নথি সিটকে দেবে রাজ্য পুলিশ। তদন্তে রাজ্যকে সাহায্য করতে হবে। পরবর্তী শুনানির আগে প্রাথমিক রিপোর্ট পেশ করবে রাজ্য। নিহত ছাত্রীর পরিবারের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার জন্যও রাজ্য পুলিশকে নির্দেশ দেন বিচারপতি মান্থা। সিআরপিসি অনুযায়ী, তদন্তের সব ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে সিটকে। প্রয়োজনে নতুন অফিসার নিয়োগ করে তদন্ত করতে পারবে এই তদন্তকারী দল। আগামী ২৮ জুন এই মামলার পরবর্তী শুনানি।
আরও পড়ুন: রামনবমীর মিছিলে অশান্তি, ৬টি এফআইআর দায়ের করে তদন্ত শুরু এনআইএ-র
কেন সিট গঠন
সম্প্রতি উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জে (Kaliyaganj Murder Case) এক কিশোরীর দেহ উদ্ধার হয়। পরিবার ও প্রতিবেশীরা দাবি করেন, কিশোরীকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। কিন্তু পুলিশের তদন্তে উঠে আসে বিষ খেয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন ওই কিশোরী। বৃহস্পতিবার রাজ্যের তরফে ওই ঘটনার তদন্তের রিপোর্ট পেশ করা হয়েছে। রিপোর্টে দেখা যায়, ইনকোয়েস্ট বা সুরতেহাল হয়েছিল ঘটনার দিন বিকেল সাড়ে ৫ টায়, আর ময়নাতদন্ত হয় সাড়ে ৩ টেয়। বিচারপতি মান্থা প্রশ্ন তোলেন, কেন ময়নাতদন্তের পর সুরতেহাল হল? সুরতেহাল ও ময়নাতদন্তের সময়ের মধ্যে সন্দেহজনক পার্থক্য রয়েছে বলেও মন্তব্য করেছেন বিচারপতি মান্থা। রিপোর্টে আরও জানা গিয়েছে, ময়নাতদন্তের সময় পরিবারের লোক উপস্থিত ছিল না। পুলিশ নৃশংসভাবে দেহ টেনে নিয়ে গিয়েছিল বলেও উল্লেখ করেন বিচারপতি। এরপরই সিট গঠনের নির্দেশ দেন বিচারপতি।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours