মাধ্যম নিউড ডেস্ক: গরুপাচার মামলায় তিহাড় জেলবন্দি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) বৃহস্পতিবার ভার্চুয়াল হাজিরা দিলেন আসানসোলের সিবিআই আদালতে। শুনানির সময় কেষ্ট (Anubrata Mondal), বিচারক রাজেশ চক্রবর্তীকে জানান, তাঁর রাইসমিলের জিনিসপত্র চুরি হয়ে যাচ্ছে। এমনকী তাঁর অনুপস্থিতিতে জিনিসপত্র নষ্ট হয়ে যাচ্ছে বলেও দাবি করেন তৃণমূলের বীরভূম জেলার সভাপতি। এর পাশাপাশি বিচারকের কাছে ভোলেব্যোম চালকলের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলে দেওয়ারও আবেদন করেন কেষ্ট। প্রায় ২০০ শ্রমিক বেতন পাচ্ছেন না বলে অনুযোগ করেন তিনি। আরও একবার কেষ্ট সিবিআই আদালতে জানান, তাঁর শারীরিক অবস্থা মোটেও ভাল নেই। এর পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী বিষয়টি তিহাড় জেল কর্তৃপক্ষকে জানাবেন বলে জানিয়েছেন। এদিনের শুনানিতে তাঁর সঙ্গে হাজির ছিলেন একদা দেহরক্ষী সায়গল হোসেনও। প্রসঙ্গত, দুজন একই জেলে রয়েছেন। গত মাসের ২৫ তারিখ ইডির কাছে গ্রেফতার হওয়ার পরে মেয়ে সুকন্যারও ঠাঁই হয়েছে তিহাড়ে। প্রসঙ্গত, আসানসোল জেলে ফিরতে চেয়ে কেষ্টর করা আবেদন ইতিমধ্যে খারিজ করে দিয়েছে দিল্লির রাউজ অ্যাভিনিউ কোর্ট।
কেষ্ট-বিচারক কথোপকথন....
সূত্রের খবর এদিনের শুনানির শুরুতেই বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী বলেন, ‘‘আপনাকে খুব ক্লান্ত লাগছে। অনুব্রতবাবু (Anubrata Mondal), কেমন আছেন?’’ অনুব্রত (Anubrata Mondal) জবাব দেন, ‘‘শরীর ভাল নেই। সব রকম অসুবিধা হচ্ছে।’’ বিচারক বলেন, ‘‘ডাক্তার দেখছে তো?’’ কেষ্ট উত্তর দেন, ‘‘ডাক্তার দেখাচ্ছি। জেলের মেডিক্যাল ওয়ার্ডে পড়ে আছি।’’ বিচারক বলেন, ‘‘বুঝতে পারছি।’’ এরপর বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী, সায়গলের সঙ্গে গয়না সংক্রান্ত কথোপকথন শুরু করেন। সায়গলের শুনানি শেষ হতেই অনুব্রত বলে ওঠেন, ‘‘স্যর চালকলের অ্যাকাউন্টটা খুলে দিন।’’ বিচারক তখন জিজ্ঞাসা করেন, ‘‘কোন চালকল?’’ অনুব্রত জবাব দেন, ‘‘ভোলেব্যোম চালকল। ওই দু’টি অ্যাকাউন্ট যেন খুলে দেওয়া হয়। শ্রমিকেরা বেতন পাচ্ছেন না। ২০০ শ্রমিক আছে। বহু জিনিসপত্র নষ্ট হচ্ছে।’’ উত্তরে বিচারক বলেন, ‘‘আপনার মুখের কথায় আমি কোনও অ্যাকাউন্ট তো খুলে দেওয়ার নির্দেশ দিতে পারি না। আইনজীবীর মাধ্যমে আবেদন করুন। আপনার ও সিবিআই দু’পক্ষের কথা শুনে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’’
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours