Congress: “কংগ্রেসকে ভোট দিয়েছি, টিকিট কাটব না”! খয়রাতির প্রতিশ্রুতি ব্যুমেরাং হচ্ছে ‘হাত’-এর

এই খয়রাতির প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে গিয়েই পশ্চিমবঙ্গে ঋণের জালে জড়িয়ে পড়ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার...
karnataka_congress_f
karnataka_congress_f

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঢালাও খয়রাতির (Freebies) প্রতিশ্রুতি দিয়ে কর্নাটকে (karnataka) ক্ষমতায় এসেছে কংগ্রেস (Congress)। তবে সোনিয়া গান্ধীর দল জানত না যে সেই ‘গালভরা প্রতিশ্রুতি’ই ব্যুমেরাং হয়ে ফিরবে। কংগ্রেস সরকার শপথ নেওয়ার পর জনতার একাংশ বিদ্যুতের বিল দিচ্ছেন না। নিখরচায় বাসেও যাতায়াত করছেন অনেক মহিলা। যার জেরে কার্যত মাথায় হাত হওয়ার জোগাড় কর্নাটকের কংগ্রেস সরকারের। বিষয়টা তাহলে খুলেই বলা যাক।

কংগ্রেসের (Congress) প্রতিশ্রুতি

২২৪ আসন বিশিষ্ট কর্নাটক বিধানসভায় ১৩৫টি আসন পেয়ে ক্ষমতা দখল করে কংগ্রেস (Congress)। মুখ্যমন্ত্রী হন সিদ্দারামাইয়া। তার পরে অনেকেই বন্ধ করে দিয়েছেন বিদ্যুতের বিল মেটানো। নির্বাচনী জনসভায় পাঁচটি গ্যারান্টি দিয়েছিল কর্নাটক কংগ্রেস। সেগুলি হল, পরিবারের মহিলাদের মাসে দেওয়া হবে ২ হাজার করে টাকা, শিক্ষিত বেকারদের ডোল দেওয়া হবে, বিপিএল তালিকাভুক্ত পরিবারের প্রত্যেক সদস্যকে নিখরচায় ১০ কিলো করে চাল দেওয়া হবে, প্রতিটি বাড়ির ২০০ ইউনিট পর্যন্ত বিদ্যুতের বিল মকুব এবং সরকারি বাসে মহিলাদের নিখরচায় যাতায়াতের সুবিধা। অর্থনীতিবিদদের একাংশের মতে, ভোট কিনতে গিয়ে এই খয়রাতির প্রতিশ্রুতি, তাতে রাজ্য দেনায় আরও ডুবে যাবে। কারণ এই প্রতিশ্রুতিগুলি পূরণ করতে গেলে সরকারকে খরচ করতে হবে অতিরিক্ত ৫০ হাজার কোটি টাকা। এই পরিমাণ টাকা কর্নাটকের ঘাটতির প্রায় দ্বিগুণ। যার খেসারত দিতে হবে করদাতাদের।

বিনামূল্যে বিদ্যুৎ সরবরাহের প্রতিশ্রুতি

যেহেতু ২০০ ইউনিট পর্যন্ত বিনামূল্যে বিদ্যুৎ সরবরাহের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল কংগ্রেস (Congress), তাই কর্নাটকের অনেকেই স্থানীয় বিদ্যুৎ অফিসে গিয়ে বৈদ্যুতিন মিটারের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার দাবি তুলেছেন। বেলাগাভির একটি গ্রামের বাসিন্দাদের একাংশের দাবি, কংগ্রেস ক্ষমতায় এলে তাঁদের বিনামূল্যে বিদ্যুৎ সরবরাহ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। যেহেতু কংগ্রেসই সরকার গড়েছে, তাই বিদ্যুতের বিল দেবেন না তাঁরা। এই দাবিতেই সরব হয়েছেন কালাবুর্গী, কপ্পাল এবং চিত্রদুর্গার মতো কয়েকটি জেলার বাসিন্দারাও।

মহিলাদের নিখরচায় বাসে যাতায়াতের প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হয়েছিল কংগ্রেসের (Congress) ইস্তেহারে। রায়চুরের এক মহিলা সরকারি বাসে উঠে ভাড়া দিতে রাজি হচ্ছেন না। এনিয়ে বাস কন্ডাক্টরের সঙ্গে ওই মহিলাযাত্রীর বচসাও হয়। তিনি বলেন, “আমাদের যদি টাকা দিতেই হয়, তবে কেন কংগ্রেস বলেছিল যে সরকার গঠন করার পর আর মহিলাদের বাসের ভাড়া দিতে হবে না?” ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে তাঁকে এও বলতে শোনা যায়, “আমরা কংগ্রেসকে ভোট দিয়েছি, তাই টিকিট কাটব না।”

খয়রাতি প্রসঙ্গে বিজেপির অবস্থান

প্রসঙ্গত, ঢালাও খয়রাতির প্রতিশ্রুতি দিয়ে বাংলায় তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় এসেছে তৃণমূল কংগ্রেস। সেই প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে গিয়েই ঋণের জালে জড়িয়ে পড়ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। কেন্দ্রীয় বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা খয়রাতিতে খরচ হচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। অথচ বিভিন্ন সময় খয়রাতির রাজনীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছে বিজেপি। ভোট কেনার এই পন্থার বিরুদ্ধে সরব হতে দেখা গিয়েছে খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকেও। বিরোধীদের খয়রাতি সংস্কৃতির তীব্র সমালোচনা করে তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘‘আজকাল আমাদের দেশে বিনামূল্যে রেওয়ারি বিতরণ করে ভোট কেনার চেষ্টা করা হচ্ছে। দেশের বিকাশের জন্য এই সংস্কৃতি ঘাতকের মতো। এই খয়রাতি সংস্কৃতি থেকে দেশের নাগরিকদের ও বিশেষ করে যুবদের সতর্ক থাকার দরকার রয়েছে।’  

আরও পড়ুুন: জাতীয় সড়কে মিছিল অভিষেকের, হাইকোর্টে মামলা ঠুকলেন শুভেন্দু

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles