মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গে সুশাসন নেই। সম্প্রতি এই রাজ্যে তিনটি বড়ো বড়ো বিস্ফোরণ হয়েছে। মমতা ব্যানার্জী আজকে এগারাতে গিয়েছেন। ভানু বাগের বাড়িতে শ্রাদ্ধ খেতে উনি গিয়েছেন, কোনও মৃতদের পরিবারকে চাকরি দিতে যান নি। উত্তর দিনাজপুরে পুলিশ এক বিজেপি কর্মীর বুকে গুলি করে খুন করেছে। গোটা পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি কর্মীদের খুন করা হচ্ছে। আর এই ভাবেই রাজ্যের শাসক তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।
শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) কোথায় সভা করলেন!
শনিবার বিকালে মালদার মালিকচকে একটি জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে শাসক দল তৃণমূল এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির সমালোচনা করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। এইদিনের এই জনসভায় উপস্থিত হয়েছিলেন জেলা বিজেপি নেতৃত্ব। এইদিন বিকালে জনসভা শেষ করে ট্রেনে করে কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা দেন বিজেপি বিধায়ক (Suvendu Adhikari) শুভেন্দু অধিকারী।
কী বললেন বিরোধী (Suvendu Adhikari) দলনেতা
মালদায় বিশেষ জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বলেন, বর্তমানে রাজ্যে পরিযায়ী শ্রমিক ৪৫ লক্ষ। বামফ্রন্টের সময় এই সংখ্যা ছিল ৫ লক্ষ। বেশীরভাগ এই পরিযায়ী শ্রমিকদের মধ্যে সংখ্যালঘুরা আছেন। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনাতে পশ্চমবঙ্গকে ৫০ লক্ষ বাড়ি দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। তৃণমূলের নেতারা সেই সব বাড়ি নিয়ে নিয়েছে। ১০০ দিনের কাজে সব থেকে বেশী দুর্নীতি হয়েছে এই মালদা জেলাতে। আরও বলেন তিনি, এই চোরদের তাড়াতে হবে। কেন এই চোরদের ভোট দেবেন? যারা কাঁটা তারের বেড়া টপকে ঢুকেছে, তাদেরকে কাঁটাতারের ওপাশে আবার যেতে হবে। কেন্দ্র সরকারের গ্রহণযোগ্যতা সারা বিশ্বে আর তাই বিদেশের মাটিতে প্রধানমন্ত্রীকে পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করছে। কৃষক পরিবারের টাকা আটকে দিয়েছে এই রাজ্যের সরকার। মাধ্যমিকে ছাত্রছাত্রীদের সংখ্যা কমছে আর মদের দোকানের সংখ্যা বাড়ছে বলে বিশেষ অভিযোগ করেন। ডিয়ার লটারি কাটতে কাটতে এই রাজ্যের মানুষকে ভিখারি করে দিয়েছে। এই রকম নানা বাক্য দিয়ে সরকারের সমালোচনা করেন বিরোধী দলনেতা।
অভিষেকের বিরুদ্ধে তোপ
তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে মহম্মদ বিনতুঘলকের সঙ্গে তুলনা করে শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বলেন, জনজোয়ারের নামে কোটি কোটি টাকা খরচ হচ্ছে। মুসলিমদের মধ্যে এনআরসির ভয় দেখাচ্ছে। কুড়মিদের মধ্যে লড়াই লাগাচ্ছে মমতা ব্যানার্জী নিজে। রামনবমীর দিনে গোলমাল হয়েছে মমতা ব্যানার্জীর জন্যেই। এই রাজ্যে কোনো চাকরি নেই। সেই সঙ্গে বলেন পশ্চমবঙ্গকে আমাদেরই বাঁচাতে হবে। ডবল ইঞ্জিনের সরকার এই রাজ্যে প্রতিষ্ঠা করতে হবে। সিপিএমের ফাঁদে পা দেবেন না। সিপিএমের আমলে ওরা চাকরি বিক্রি করেছিল। মমতা ব্যানার্জীকে আমি প্রাক্তন করব। রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে একরাশ অভিযোগের কথা তুলে ধরে রাজ্যের সংখ্যালঘু সামজের মানুষের মনে বিশেষ জায়গা তৈরির কৌশল করলেন বিরোধী দলের নেতা শুভেন্দু অধিকারী।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours