মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগকাণ্ডে ধৃত ‘কালীঘাটের কাকু’ (Kalighater Kaku) ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে বুধবার ১৪ দিনের ইডি হেফাজতে পাঠিয়েছে ব্যাঙ্কশাল আদালত। শুনানিতে সুজয়কে নিজেদের হেফাজতে চাওয়ার সময় ইডি আদালতকে জানায়, গ্রেফতার এখন করা হলেও, ‘কালীঘাটের কাকু’-র ওপর দীর্ঘদিন নজর রাখা হচ্ছিল। ইডির আইনজীবী ফিরোজ এডুলজি দাবি করেন, প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের অপসারিত সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের সঙ্গে নিয়োগের বিষয়ে নিয়মিত হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট করতেন ‘কালীঘাটের কাকু’। তিনিই ঠিক করে দিতেন কে চাকরি পাবেন, কে পাবেন না, তাও।
ইডি-র অভিযোগ, তাপস মণ্ডলের মুখে এই সুজয়ের নাম প্রথম শোনা গিয়েছিল। গোপাল দলপতিও ‘কালীঘাটের কাকু’র (Kalighater Kaku) নাম করেছিলেন। নিয়োগকাণ্ডে অপর ধৃত কুন্তল ঘোষ থেকে শুরু করে শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ও কালীঘাটের কাকু-র নাম করেছিলেন। তদন্তকারীদের দাবি, এদের দাবি ও পেশ করা তথ্যের ভিত্তিতে সুজয়কৃষ্ণকে জেরা করা হলে, তিনি যাবতীয় প্রমাণ অস্বীকার করেন। প্রতি ক্ষেত্রেই তিনি জবাব এড়িয়ে গিয়েছেন।
আরও পড়ুন: সুজয়কৃষ্ণ গ্রেফতারের পর কোন বিস্ফোরক তথ্য সামনে আনলেন শুভেন্দু?
ইডি-র দাবি, বহিষ্কৃত যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল দাবি করেছিলেন, ২০১৪ সালের টেটে কয়েকজন অবৈধ প্রার্থীর চাকরির জন্য তিনি সুজয়কে ৭০ লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন। তাঁর কথাতেই আরও ১০ লক্ষ টাকা দেন পার্থকেও। আরেক ধৃত তাপস মণ্ডলও দাবি করেছেন, ৩২৩ জন টেট প্রার্থীর তালিকা সুজয়কে পাঠানো হয়েছিল। তাঁর কাছ থেকে সেই তালিকা পাঠানো হয় মানিকের কাছে। এখন সেই সব অভিযোগ অস্বীকার করছেন সুজয় ওরফে কাকু (Kalighater Kaku)।
ইডি-র আরও অভিযোগ, সুজয় একাধিক তথ্য গোপন করার চেষ্টা করছেন। সুজয় তাঁর বয়ানে দাবি করেছেন, তিনি মানিককে ২০২১ সালের আগে চিনতেন না। কিন্তু তদন্তে ইডির হাতে এসেছে অন্য তথ্য। মানিকের হোয়াটস্অ্যাপ কথোপকথন ঘেঁটে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা দেখেছেন, তাঁর সঙ্গে সুজয়ের যোগাযোগ রয়েছে অন্তত ২০১৮ সাল থেকে। ইডি-র দাবি, গ্রেফতার এখন করা হলেও, ৭ মাস ধরে সুজয়ের (Kalighater Kaku) ওপর নজর রাখছিলেন গোয়েন্দারা। তাঁর বিরুদ্ধে তথ্য প্রমাণ সংগ্রহ করছিল ইডি।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours