মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের সবকটি স্পর্শকাতর জেলা ও এলাকায় কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayat Election 2023) নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court)। রাজ্যের ৭টি স্পর্শকাতর জেলায় অবিলম্বে কেন্দ্রীয় বাহিনী নামানোর নির্দেশ দিয়ে আদালত বলেছে, ভয়মুক্ত পরিবেশের জন্য কমিশনের উচিত কেন্দ্রীয় বাহিনীর সাহায্য নেওয়া। তবে মনোনয়নের সময়সীমা বৃদ্ধি করা হবে কি না, সেই সিদ্ধান্তের দায়িত্ব রাজ্য নির্বাচন কমিশনের হাতেই ছেড়ে দিল প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ। এই মামলার প্রথম শুনানি হয় শুক্রবার। সোমবার দু দফায় চার ঘণ্টারও বেশি সময় চলার পর শেষ হয় পঞ্চায়েত নির্বাচন সংক্রান্ত শুনানি। মঙ্গলবার ছিল রায় (Calcutta High Court) ঘোষণার দিন। এদিন বিকেল ৫টা নাগাদ এই মামলার রায় ঘোষণা হয়।
ভয়মুক্ত পরিবেশে ভোট
আদালত তার নির্দেশে জানায়, নির্বাচন কমিশনের উচিত ভয়মুক্ত পরিবেশে ভোট করানো। কমিশনের উচিত কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা। রাজ্য পুলিশের ঘাটতিও রয়েছে। তাই পর্যাপ্ত নিরাপত্তার জন্য কেন্দ্রীয় বাহিনী প্রয়োজন বলে মনে করা হচ্ছে। কেন্দ্রীয় সরকারের উচিত রাজ্য যা বাহিনী চাইবে, তা দেওয়ার। কমিশন আগেই হাইকোর্টে জানিয়েছিল সাতটি জেলা স্পর্শকাতর। এই সাতটি জেলায় অবিলম্বে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। স্পর্শকাতর জেলাগুলি ছাড়াও যে যে জেলা বা জায়গায় রাজ্য পুলিশের সংখ্যা কম, সেখানেই শান্তিতে ভোট সুনিশ্চিত করতে কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়োগের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। পাশাপাশি ভোট কর্মীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে কমিশনকে নির্দেশ দিল আদালত।
কেন্দ্রীয় বাহিনীর খরচ
কেন্দ্রীয় বাহিনীর খরচ রাজ্য দেবে না, দিতে হবে কেন্দ্রকেই। সিভিক ভলান্টিয়ারদের নির্বাচনের কাজে ব্যবহার করা যাবে না। সিভিক ভলান্টিয়ার সংক্রান্ত গাইডলাইন মেনেই ভোট করাতে হবে। একান্ত নিরুপায় হলে চুক্তিভিত্তিক কর্মী নিয়োগ করা যেতে পারে। ভোট কর্মীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে নির্দেশ কমিশনকে। সব বুথে সিসি ক্যামেরা লাগানোর নির্দেশ (Calcutta High Court), প্রয়োজনে করতে হবে ভিডিওগ্রাফিও। অনলাইনে মনোনয়নপত্র পেশের আবেদন খারিজ করে দিয়েছে আদালত। গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি এবং জেলা পরিষদ তিনটি স্তরেই এক সঙ্গে ভোট গণনা করতে হবে বলেও নির্দেশ দিয়েছে আদালত। মনোনয়নের সময়সীমা নিয়ে আদালত কোনও মতামত দেবে না। চুক্তিভিত্তিক কর্মী ও এনসিসি ছেলেদের চতুর্থ পোলিং অফিসার হিসেবে কাজে লাগাতে পারে রাজ্য।
আরও পড়ুুন: রণক্ষেত্র ভাঙড়, ব্যাপক বোমাবাজি, গুলিবিদ্ধ আইএসএফ কর্মী, অভিযুক্ত তৃণমূল
প্রসঙ্গত, পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে জোড়া মামলা দায়ের করেছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ও প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী। কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোটগ্রহণ, মনোনয়নপত্র পেশের সময়সীমা বৃদ্ধি সহ একাধিক বিষয়ে দায়ের হয়েছিল মামলা।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours