মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বালেশ্বরে ট্রেন দুর্ঘটনার (Balasore Train Accident) পর কেটে গিয়েছে দেড় মাসেরও বেশি সময়। মর্মান্তিক ওই দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছেন তিনশোরও বেশি যাত্রী। এঁদের মধ্যে লাশ হয়ে স্বজনের কোলে ঠাঁই পেয়েছেন সিংহভাগ। তবে এখনও ৪১ জন যাত্রীর দেহ শনাক্ত করা যায়নি। তাই তাঁদের দেহের ঠাঁই হয়েছে ভুবনেশ্বর এইমসের ঠান্ডা ঘরে।
এইমসের ঠান্ডা ঘরে...
ভুবনেশ্বর এইমসের ডিরেক্টর আশুতোষ বিশ্বাস বলেন, “এখনও ৪১টি দেহের কোনও দাবিদার মেলেনি। লোকজন আসছেন আমাদের কাছে। আমরা ডিএনএর নমুনা মিলিয়ে দেহ হস্তান্তর করছি।” তিনি বলেন, “এখনও দেহ হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে। যাঁরা তাঁদের পরিজনদের দেহ নিতে আসছেন, ডিএনএর নমুনা মিললে তাঁদের পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে। যতদিন না দাবিদার খুঁজে পাওয়া যায়, ততদিন দেহগুলি সংরক্ষণ করে রাখা হবে।”
দুর্ঘটনার কারণ
এদিকে, শুক্রবার রাজ্যসভায় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব জানান, সিগন্যালিং সার্কিট অল্টারেশনের ভুলেই ২ জুনের ওই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা (Balasore Train Accident) ঘটেছিল। তিনি বলেন, “গত পাঁচ বছরে ২০১টি দুর্ঘটনার তদন্ত করা হয়েছে বিভাগীয় তদন্ত কমিটি দ্বারা। রেলওয়ে নিরাপত্তা কমিশন দ্বারা ১৮টি মামলার তদন্ত করা হয়েছে। বিভিন্ন দুর্ঘটনা তদন্ত কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী রেলওয়ে প্রশাসন যথাযথ ব্যবস্থা নিয়েছে।”
রেলমন্ত্রী বলেন, “সিগন্যাল গুমটিতে সিগন্যালিং-সার্কিট পরিবর্তনের ত্রুটির কারণে এবং লেভেল ক্রসিং গেট নম্বরের জন্য বৈদ্যুতিক উত্তোলন বাধা প্রতিস্থাপন সম্পর্কিত সিগন্যালিংয়ের কাজ ব্যাহত হওয়ায় সংঘর্ষটি হয়েছিল। স্টেশনে ৯৪ নম্বর গেটের এই ত্রুটিগুলির ফলে ১২৮৪১ নম্বর ট্রেন ভুল সংকেত পায়। যেখানে আপ সিগন্যাল স্টেশনের আপ লাইনে রান-থ্রু চলাচলের জন্য গ্রিন সিগন্যাল নির্দেশ করে, কিন্তু আপ মেইন লাইনকে আপ লুপ লাইনের সঙ্গে সংযোগকারী ক্রসওভারটি আপ লুপ লাইনে সেট করা হয়েছিল। ভুল সিগন্যালিংয়ের ফলে ট্রেন নম্বর ১২৮৪১ আপ লুপ লাইনের ওপর দিয়ে যাচ্ছিল। শেষ পর্যন্ত সেখানে দাঁড়িয়ে থাকা গুডস ট্রেনের সঙ্গে সংঘর্ষ (Balasore Train Accident) হয়। প্রসঙ্গত, ২ জুন বালেশ্বরের অদূরে চেন্নাইগামী করমণ্ডল এক্সপ্রেস, হাওড়াগামী শালিমার এক্সপ্রেস ও একটি মালগাড়ির সংঘর্ষ হয়।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours