মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আইএসএল অনেক হয়েছে, এবার লক্ষ্য এশিয়া কাপ। এই মন্ত্রেই মরশুম শুরু করেছে মোহনবাগান (Mohun Bagan)। দল গড়তে ঢালা হয়েছে কোটি কোটি টাকা। কার্পণ্য করেননি মালিক সঞ্জীব গোয়েঙ্কা। কারণ তিনিও চান এশিয়া সেরার স্বাদ পেতে। সেই লক্ষ্যে এক ধাপ এগোল মোহনবাগন সুপার জায়ান্ট। বুধবার সল্টলেক স্টেডিয়ামে এএফসি কাপের যোগ্যতা অর্জনের ম্যাচে নেপালের মাচিন্দ্রা এফসি কে ৩-১ গোলে চূর্ণ করল সবুজ মেরুন ব্রিগেড। দুটি গোল করলেন আনোয়ার আলি। বিশ্বকাপে খেলা জেমস কামিংসের পা থেকেও বল ঢুকলো বিপক্ষের জালে। মোহনবাগানের পরের খেলা ঢাকা আবাহনীর বিরুদ্ধে ২২ অগাস্ট। এই ম্যাচ জিততে পারলে এএফসি কাপের গ্রুপ পর্বে খেলার সুযোগ পাবেন কমিংসরা।
Full time at VYBK, we move to the next round!#MBSG #JoyMohunBagan #আমরাসবুজমেরুন pic.twitter.com/UCwGANXrou
— Mohun Bagan Super Giant (@mohunbagansg) August 16, 2023
ডার্বি হারের ক্ষতে প্রলেপ
এই জয় ডার্বি হারের ক্ষতে অনেকটাই প্রলেপ দিয়েছে। কারণ ইস্টবেঙ্গলের কাছে পরাজয় ছিল অপ্রত্যাশিত। শক্তির নিরিখে মোহনবাগান ছিল অনেক এগিয়ে। সবুজ মেরুন জার্সি পরে প্রথম সেদিন মাঠে নেমে ছিলেন কামিংস। কিন্তু তাঁর খেলা মন ভরাতে পারেনি। দল হারায় তাঁকে পড়তে হয়েছিল সমালোচনায়। কিন্তু মাচিন্দ্রা এফসির বিরুদ্ধে অস্ট্রেলিয়ান বিশ্বকাপার বুঝিয়ে দিলেন, তিনি লম্বা রেশের ঘোড়া।
আরও পড়ুন: ডার্বি জয়ে ফিরেছে ভাগ্য! ডুরান্ডের কোয়ার্টার ফাইনালে ইস্টবেঙ্গল
ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণের ঝড় তোলে মোহনবাগান। গোল করার সুযোগও এসেছিল। কিন্তু মিস করেন আশিক কুরিয়ান। দুই প্রান্তকে কাজে লাগিয়ে আক্রমণ গড়ে তোলার চেষ্টা করেন মোহনবাগানের ফুটবলাররা। বিক্ষিপ্ত কিছু আক্রমণ তৈরি করে মাচিন্দ্রা। কিন্তু সবুজ মেরুন ডিফেন্স ভেদ করার শক্তি ছিল না তাতে। ৩৯ মিনিটে লিড নেয় মোহনবাগান (Mohun Bagan)। হুগো বোমাসের কর্নার থেকে হেডে গোল করেন আনোয়ার (১-০)। দ্বিতীয়ার্ধে মোহনবাগান করে আরও দুটি গোল করে। ৬৫ মিনিটে কমিংসের পা থেকে আসে দ্বিতীয় গোল (২-০)। তার পর একটু গা ছাড়া ভাব দেখায় ফেরান্দোর ছেলেরা। সেই সুযোগে মচিন্দ্রা (২-১) করে। তবে ৮৫ মিনিটে দিমিত্রি ফ্রি কিক থেকে হেডে নিজের ও দলের তৃতীয় তথা জয়সূচক গোল করেন আনোয়ার (৩-১)।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours