মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মেঘভাঙা বৃষ্টির জেরে নামল ধস (Shimla Landslides)। হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল আস্ত একটি শিব মন্দির। মন্দিরের নীচে চাপা পড়ে মৃত্যু হল একই পরিবারের তিন প্রজন্মের। মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে শিমলার সামার হিল এলাকায়। প্রশাসন সূত্রে খবর, সোমবার ধস নামার সময় শিব মন্দিরে ছিলেন একই পরিবারের সাতজন। হঠাতই ভেঙে পড়ে মন্দিরটি।
মন্দিরের নীচে চাপা পড়ে মৃত
চাপা পড়ে মৃত্যু হয় সাতজনেরই। এঁরা হলেন পবন শর্মা, তাঁর স্ত্রী সন্তোষ, ছেলে আমন, বৌমা অর্চনা এবং তাঁর তিন নাতনি। রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, শর্মা পরিবারের পাঁচজনের দেহ উদ্ধার হয়েছে। দু জনের খোঁজ এখনও মেলেনি। শর্মা পরিবারের তরফে সুনীতা বলেন, “আমার একটাই অনুরোধ, যাঁরা নিখোঁজ, তাঁদের খুঁজে বের করুন। আমাদের হাতে তুলে দিন। তাঁরা (Shimla Landslides) জীবিত বা মৃত যাই হোক না কেন, আমরা মেনে নেব। তাঁদের জন্য তিন দিন ধরে অপেক্ষা করছি আমরা।”
নিখোঁজও রয়েছেন কয়েকজন
সুনিধি নামে নিখোঁজ একজনের বোন বলেন, “আমরা জানিনা, ভগবান আমাদের কপালে কী লিখে রেখেছেন।” নিখোঁজ আরও একজনের ভাই বিনোদ বলেন, “এই এলাকার সুরক্ষা বজায় রাখা উচিত প্রশাসনের। বৃষ্টি হলেই যাতে জমা জল বেরিয়ে যেতে পারে, তার ব্যবস্থা করা উচিত।” শর্মা পরিবারের এক প্রতিবেশী মেহের সিং এইচ ভার্মা বলেন, “শর্মা পরিবার হারাল তিন প্রজন্মকে।” প্রশাসনের এক আধিকারিক জানান, এ পর্যন্ত ১৩টি দেহ উদ্ধার হয়েছে। বৃষ্টিজনিত (Shimla Landslides) কারণে হিমাচল প্রদেশে এ পর্যন্ত ৬০ জনের মৃত্যু হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুকু জানান, সব মিলিয়ে রাজ্যের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ১০ হাজার কোটি টাকা।
আরও পড়ুুন: অতিভারী বৃষ্টিতে তিনদিনে ৭১ জন মৃত হিমাচলে, ‘পর্বত সমান চ্যালেঞ্জ’ বললেন মুখ্যমন্ত্রী
শিবমন্দিরের পাশাপাশি ধসের কবলে ভেঙে পড়েছে একটি কষাইখানাও। কৃষ্ণনগর এলাকার ওই কষাইখানার ওপর ভেঙে পড়েছিল আশপাশের কয়েকটি বাড়ি। কষাইখানাটি ভেঙে পড়ার সময় সেখানে ছিলেন বছর আটচল্লিশের ইয়াম থাপা। বরাত জোরে বেঁচে গিয়েছেন তিনি। তবে তাঁর দুই সহকর্মীর (Shimla Landslides) জীবন্ত সমাধি হয়েছে। পরে তাঁদের দেহ উদ্ধার হয়েছে। এঁরা হলেন কষাইখানার ম্যানেজার নবীন ভাল্লা এবং কষাই রাজু।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours