মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্যাট কামিন্সের বল কভার অঞ্চল দিয়ে বাউন্ডারিতে পাঠিয়েও ব্যাটে ভর দিয়ে হাঁটু মুড়ে বসে পড়লেন কেএল রাহুল। খেলা শেষ! ম্যাচ জিতে গিয়েছে ভারত। তবুও যেন ক্রিজ ছাড়তে চাইছিলেন না তিনি। ম্যাচের পর কথা বলতে এসে রাহুল জানালেন, তিনি চার মারতে চেয়েছিলেন। ছয় হয়ে যাবে বুঝতে পারেননি। দিনের শেষে ৯৭ রানে অপরাজিত থাকলেন রাহুল। আর মাত্র তিন রান। তাহলেই যেন ষোল কলা পূর্ণ হত।
KL Rahul finishes off the chase with a MAXIMUM! 😎
— BCCI (@BCCI) October 8, 2023
He remains unbeaten on 97* & #TeamIndia start #CWC23 with a superb win against Australia 🙌
Scorecard ▶️ https://t.co/ToKaGif9ri#CWC23 | #INDvAUS | #TeamIndia | #MeninBlue pic.twitter.com/rZRXGei1QN
প্রথমে চার, তারপর ছয়
ম্যাচের সেরার পুরস্কার নিতে এসে রাহুল বলেন, “শটটা বেশ জোরেই মেরেছিলাম। আসলে শেষের দিকে হিসাব কষে এগোচ্ছিলাম যে কী ভাবে শতরান করতে পারি। একমাত্র উপায় ছিল চার এবং ছয় মারা। কিন্তু শতরান না করায় কোনও আক্ষেপ নেই। দল জিতেছে এটাই বড় কথা।” তবে আক্ষেপ একটু হচ্ছে তো! রাহুলের কথায়, 'আমি খুব ভালো টাইমিং করে ফেলেছিলাম। আমি শতরান করতে চাইছিলাম। সেজন্য প্রথম চার মারতে চাইছিলাম। তারপর একটা ছক্কা মারতে চাইছিলাম। আশা করছি যে অন্য কোনওবার সেই শতরান করে ফেলব।'
আরও পড়ুন: বিরাটের ক্যাচ ফস্কানোই কাল! মানছেন কামিন্স, দাপুটে জয়ের পরও চিন্তায় রোহিত
রাহুলের কথায়, তিনি যখন ব্যাট করতে নেমেছিলেন তখন ২ রানে ৩ উইকেট ভারত ধুঁকছে। ওই পরিস্থিতি থেকে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে অনেক দলই হেরে যাবে। কিন্তু বিরাট কোহলির সঙ্গে তাঁর ১৬৫ রানের জুটি ভারতকে হারতে দিল না। সাফল্যের রহস্য কী? রাহুল বললেন, “সত্যি বলতে খুব বেশি কোহলির সঙ্গে কথা বলিনি। ৫০ ওভার কিপিং করার পর ভেবেছিলাম স্নান করার পর একটু বিশ্রাম নেব। সেটা আর হয়নি।” রাহুলের সংযোজন, “ক্রিজে নামার পর কোহলি বলেছিল পিচে প্রাণ রয়েছে। তাই কিছুক্ষণ টেস্টের মতো খেলতে। শুরুর দিকে নতুন বলে পেসারেরা ভাল সাহায্য পাচ্ছিল। স্পিনারেরাও ঘূর্ণি পেয়েছে। শেষ ১৫-২০ ওভারে শিশিরের সাহায্য পেয়েছি। ব্যাট করার পক্ষে সহজ উইকেট ছিল না। তবে ক্রিকেট খেলার পক্ষে ভাল উইকেট।”
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours