মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইডি অফিসে হাজিরা দিলেন একশো দিনের কাজে ‘দুর্নীতি’র দায়ে অভিযুক্ত প্রাক্তন পঞ্চায়েত কর্মী রথীন্দ্রকুমার দে। ইডির তলবে সাড়া দিয়ে বোন ইতি চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে শুক্রবার সিজিও কমপ্লেক্সে আসেন রথীন্দ্রকুমার। একশো দিনের কাজের টাকা নয়ছয় করার মামলা দায়ের হয়েছে মুর্শিদাবাদের দুই সরকারি কর্মীর বিরুদ্ধে। তাঁদের মধ্যে এক জন প্রাক্তন পঞ্চায়েত কর্মী রথীন্দ্রকুমার এবং অন্য জন, মুর্শিদাবাদ জেলার মনরেগা প্রকল্পের বর্তমান নোডাল অফিসার সঞ্চয়ন পান।
ইডির জিজ্ঞাসাবাদ
শুক্রবার সকাল ১০টা নাগাদ ইডি দফতরে যান মুর্শিদাবাদ জেলার প্রাক্তন নির্বাহী সহায়ক রথীন্দ্রকুমার দে ও তাঁর বোন ইতি চট্টোপাধ্যায় ৷ এদিন তাঁরা ইডি অধিকারিকদের হাতে কিছু নথি তুলে দেন। রথীন্দ্রকুমার দে-র আইনজীবীর অভিযোগ, সেই নথিতেই প্রমাণ রয়েছে যে, দুর্নীতি হয়েছে বুঝতে পেরে উপরমহলে অভিযোগ জানিয়েছিলেন রথীন্দ্র ৷ তবে তাঁর কথায় আমলই দেওয়া হয়নি ৷ ইডি সূত্রে খবর, ১০০ দিনের কাজে দুর্নীতি নিয়ে তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
দুর্নীতির অভিযোগ
মঙ্গলবার সকালে একশো দিনের কাজে দুর্নীতির তদন্তে মুর্শিদাবাদের বহরমপুরের মধুপুরের কালীবাড়ি এলাকায় দুই সরকারি কর্মীর বাড়িতে ইডি কর্তারা জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আসেন। তাঁদের বাড়িতে ম্যারাথন তল্লাশি চালানোর পর বুধবার ইডি দফতরে হাজিরার নোটিস দেওয়া হয় রথীন্দ্রকে। তাঁর বোনকেও সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দিতে বলা হয়। সেই নির্দেশ মেনেই কলকাতার ইডি দফতরের হাজিরা দিলেন রথীন্দ্র এবং তাঁর বোন। ২০১৯ সালের ৬ সেপ্টেম্বর বেলডাঙা ১ ব্লকের বিডিও বিরূপাক্ষ মিত্র এই পঞ্চায়েত কর্মীর বিরুদ্ধে আর্থিক তছরুপের অভিযোগ তুলে থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। তখন রথীন্দ্র বেলডাঙা ১ এর সুজাপুর-কুমারপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের এগ্জিকিউটিভ অ্যাসিস্ট্যান্ট পদে কর্মরত। সেই অভিযোগের তদন্ত শেষে চাকরি থেকে বহিষ্কার করা হয় রথীন্দ্রকে। এমনটাই দাবি ইডি কর্তাদের।
আরও পড়ুুন: ব্যালটের পর এবার বিজেপি কর্মীর কান কামড়ে গিলে খেলেন তৃণমূল কর্মী!
রথীন্দ্রকুমারের দাবি
প্রাক্তন পঞ্চায়েত কর্মী রথীন্দ্রকুমারের দাবি, চাকরি করার সময় তিনি বেশ কিছু দুর্নীতি হতে দেখেন। এই নিয়ে জেলা প্রশাসন ও রাজ্যের আমলাকে লিখিতভাবে অভিযোগ জানানো হলেও তৎকালীন জেলা প্রশাসন এই দুর্নীতির বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি । উলটে দুর্নীতিগ্রস্ত জেলা পরিষদের প্রাক্তন সভাপতি ও তৎকালীন এডিএম, জেলা পরিষদ ক্ষমতার অপব্যবহার করেন ৷ নওদা ও বেলডাঙা এক ব্লকের বিডিও এবং পুলিশের সহায়তায় গ্রামের মানুষকে ভয় দেখিয়ে সই নকল করে তাঁর বিরুদ্ধে লিখিয়ে নেওয়া হয় ৷ কোনও শোকজ ছাড়াই মিথ্যা মামলায় তাঁকে অভিযুক্ত করে চাকরি থেকে বিতাড়িত করা হয়।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours