BJP: “সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছে হিমাচলের কংগ্রেস সরকার”, দাবি বিজেপির

"আমি দেখতে পাচ্ছি, সরকার সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছে", কেন বললেন বিজেপি নেতা?
jairam-thakur_f
jairam-thakur_f

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছে রাজ্যের কংগ্রেস সরকার।” মঙ্গলবার কথাগুলি বললেন হিমাচল প্রদেশের বিরোধী দলনেতা বিজেপির (BJP) জয়রাম ঠাকুর। গত নির্বাচনে রাজ্যের ক্ষমতায় আসে কংগ্রেস। মুখ্যমন্ত্রী হন সুখবিন্দর সিং সুখু। সুখবিন্দরের নেতৃত্বে সরকারই সংখ্যালঘু হয়ে পড়েছে বলে দাবি বিজেপির।

সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছে সরকার

বুধবার বাজেটে পেশ হবে হিমাচল প্রদেশ বিধানসভায়। বিরোধী দলনেতা বলেন, “আগামিকাল বাজেট পেশ হবে। আমরা বাজেট নিয়ে আলোচনা করব। তখনই আমরা পরিস্থিতি বিচার করব। কিন্তু আমি দেখতে পাচ্ছি, সরকার সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছে।” মঙ্গলবার রাজ্যসভার নির্বাচন হয় হিমাচল প্রদেশে। বিজেপি প্রার্থীই জয়ী হবেন বলে আশা কেন্দ্রের শাসক দলের। রাজ্যে বিধানসভার আসন সংখ্যা ৬৮। তার মধ্যে ৬৭ জন বিধায়ক শিমলায় রাজ্যসভার নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। অসুস্থতার কারণে (BJP) তিনি ভর্তি রয়েছেন হাসপাতালে। তাই ভোট দিতে আসেননি বিধায়ক কংগ্রেসের সুদর্শন সিং বাবলু।

রাজ্যসভায় লড়াই

হিমাচল প্রদেশে রাজ্যসভার প্রার্থী নির্বাচনের দিকে নজর রয়েছে গোটা দেশের। এই নির্বাচনে কংগ্রেসের প্রার্থী অভিষেক মনু সিংভি। পদ্ম প্রতীকে লড়ছেন হর্ষ মহাজন। হর্ষ কংগ্রেসের প্রতীকে দাঁড়িয়ে তিনবার বিধানসভায় গিয়েছিলেন। হয়েছিলেন মন্ত্রীও। বাইশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে সেপ্টেম্বর মাসে কংগ্রেস ছাড়েন তিনি। যোগ দেন বিজেপিতে। কংগ্রেস বধে রাজ্যসভায় তাঁকেই লড়াইয়ের ময়দানে নামিয়ে দিয়েছে বিজেপি। প্রসঙ্গত, বিধানসভার ৬৮টি আসনের মধ্যে কংগ্রেসের দখলে রয়েছে ৪০টি। তিন নির্দলের সমর্থনও রয়েছে সুখবিন্দর সিং সুখুর সরকারের সঙ্গে।

আরও পড়ুুন: সন্দেশখালিকাণ্ডে শর্তসাপেক্ষে সুকান্তকে ধর্নায় অনুমতি কলকাতা হাইকোর্টের

সংখ্যাতত্ত্বের হিসেবে হিমাচল প্রদেশে বিজেপির বিধায়ক রয়েছেন ২৫ জন। তাই কংগ্রেসকে হারানো সম্ভব নয় বলেই ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের। দলীয় প্রার্থী অভিষেক মনু সিংভিকে জেতাতে রবিবারই বিধায়কদের হুইপ জারি করে কংগ্রেস। হুইপ মেনে কংগ্রেসের প্রত্যেক বিধায়ককে তাঁদের অথরাইজড এজেন্টকে ব্যালট দেখাতে হবে। কোনও বিধায়ক যদি ব্যালট প্রদর্শন করতে না চায়, তাহলে তাঁর ভোট অবৈধ বলে গণ্য হবে। সোমবারই বিজেপির প্রার্থী মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের কাছে কংগ্রেসের জারি করা তিন লাইনের হুইপের বিষয়ে অভিযোগ জানান। বিজেপির মতে, নির্বাচনের ক্ষেত্রে হুইপ জারি করাটা অনৈতিক। হর্ষ বলেন, “নির্বাচনের ক্ষেত্রে এমনতর হুইপ জারি করা যে কেবল অনৈতিক তা নয়, এটি নির্বাচনী প্রক্রিয়ার আচরণের বিরোধীও। কারণ হুইপ জারি করা হলে তা প্রভাব ফেলবে বিধায়কদের সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে (BJP)।

 

দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

 

 

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles