মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত পঞ্চাশ বছরের মধ্যে রেকর্ড মুদ্রাস্ফীতি পাকিস্তানে। জানা গিয়েছে মুদ্রাস্ফীতির এই হার বর্তমানে ৩৫.৩৭ শতাংশে এসে ঠেকেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, আইএমএফের শর্ত পূরণ করার উদ্যোগ নিতেই এই অবস্থা হয়েছে পাকিস্তানে। এমনিতেই চরম আর্থিক সংকটে পাকিস্তান। এই পরিস্থিতিতে দেশে উৎপাদন বন্ধ রেখেছে নামীদামী বৈদেশিক কোম্পানিগুলিও, বাড়ছে বেকারত্ব। আকাশ ছোঁয়া হয়েছে নিত্য়প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম। এই পরিস্থিতিতে দেশের অর্থনীতির হাল ফেরাতে শেহবাজ সরকারকে শরণাপন্ন হতে হয় ইন্টারন্যাশনাল মনিটারি ফান্ডের কাছে। সেদেশের অর্থনীতিবিদরা বলছেন, যেভাবে মুদ্রাস্ফীতি বাড়ছে, এতে খুব তাড়াতাড়ি দুর্ভিক্ষ শুরু হবে দেশে।
আরও পড়ুন: আজ থেকে অনেকটাই দাম কমল রান্নার গ্যাসের! কলকাতায় কত হল জানেন?
নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বেড়েছে প্রায় ৫০ শতাংশ
সেদেশের বিভিন্ন সংবাদ সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতিমাসেই মুদ্রাস্ফীতির হার লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। খাদ্য পানীয়ের দাম এবং যোগাযোগের ভাড়া প্রায় ৫০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে।
কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চরম অব্যবস্থা এবং রাজনৈতিক অস্থিরতা, দুর্নীতির জন্যই নাকি পাকিস্তানের অর্থনীতির আজ এই অবস্থা। ২০২২ সালে এক বিধ্বংসী বন্যার কারণে এক-তৃতীয়াংশ অংশ জলের নিচে চলে যায়। পরিস্থিতি সেই সময় থেকে আরও খারাপ হয়।
বিনামূল্যে বিতরণ করা হচ্ছে আটা ময়দা, সেখানেও হুড়োহুড়িতে প্রাণ গেল ২০ জনের
বর্তমানে দেশটির যা ঋণ, তাতে পাকিস্তানের পক্ষে ঘুরে দাঁড়ানো কঠিন বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা। বৈদেশিক মুদ্রার ভাণ্ডারও ব্যাপক হ্রাস পেয়েছে এবং দাম কমেছে পাকিস্তানের মুদ্রারও। মুদ্রাস্ফীতির মোকাবিলায় আটা-ময়দা বিতরণের সরকারি কর্মসূচি নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে সেদেশের বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম। আবার এখানেও বিপত্তি। সম্প্রতি, ময়দা নিতে গিয়ে ভিড়ে পদপিষ্ট হয়ে ২০ জনের মৃত্যুর খবরও সামনে এসেছে।
আরও পড়ুন: দেশীয় কোম্পানিগুলির সঙ্গে প্রায় ৩২,০৮৬ কোটি টাকার প্রতিরক্ষা চুক্তির অনুমোদন
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours