BJP: বিজেপিতে যোগদানের শাস্তি দণ্ডিকাটা! কাঠগড়ায় তৃণমূল, কোথায় জানেন?

আদিবাসী মহিলাদের নাকখত দেওয়ার প্রতিবাদে শনিবার আন্দোলনে নেমেছে জেলা বিজেপি নেতৃত্ব
BJP_(3)
BJP_(3)

মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ বিজেপিতে যোগদান করার শাস্তি  দণ্ডিকাটা! শুনতে অবাক মনে হলেও এটাই সত্যি। আর এই শাস্তির বিধানদাতা তৃণমূলের মাতব্বররা। বিজেপি (BJP) থেকে তৃণমূলে ফেরার জন্য দণ্ডি কেটে প্রায়শ্চিত করতে হয়েছে আদিবাসী তিনজন মহিলাকে। শুক্রবার সন্ধ্যায় এমনই অমানবিক ঘটনার সাক্ষী থাকল বালুরঘাট শহরের মানুষ। যা নিয়ে তৃণমূলের অন্দরে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব এই দণ্ডি কাটার দায় দলের স্থানীয় নেতাদের ওপর চাপিয়েছে। তবে, বিজেপিতে (BJP)  যাওয়ার জন্য শাসক দলের নেতাদের এই বিধান দেওয়া নিয়ে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা জুড়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। বিজেপি (BJP)  নেতৃত্ব এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছে। শনিবার এই ঘটনার প্রতিবাদে জেলা পুলিশ সুপারের অফিসের সামনে বিজেপি-র নেতা, কর্মীরা ধর্না ও বিক্ষোভ সমাবেশে বসেন।

 ঠিক কী ঘটেছিল?

৬ এপ্রিল দক্ষিণ দিনাজপুরের তপন ব্লকে প্রায় দুশো জন তৃণমূল কর্মী বিজেপিতে (BJP)  যোগদান করেন। শুক্রবার দলবদলুরা সকলেই তৃণমূলে ফিরে এসেছেন বলে দাবি করেন মহিলা তৃণমূলের জেলা সভাপতি প্রদীপ্তা চক্রবর্তী। যদিও শুক্রবার সন্ধ্যায় জনাচারেক আদিবাসী মহিলাকে তৃণমূলে যোগ দিতে দেখা যায়। আর বিজেপিতে (BJP)  যোগ দেওয়ার শাস্তি হিসেবে নাকখত দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। কতদূর থেকে দণ্ডি কেটে ওই কর্মীদের ফের তৃণমূলে যোগ দেওয়ার জন্য প্রায়শ্চিত করতে হবে তা ঠিক করে দেওয়া হয়। জানা গিয়েছে, বালুরঘাট কোর্ট মোড় থেকে কাঁঠালপাড়ায় অবস্থিত তৃণমূল জেলা কার্যালয় পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার রাস্তা দণ্ডি কেটে আসেন চারজন আদিবাসী মহিলা। পরে, তাঁরা ফের তৃণমূলে যোগদান করেন। এই বিষয়ে মহিলা তৃণমূলের জেলা সভাপতি প্রদীপ্তা চক্রবর্তী বলেন, এদিন কয়েকজন যোগ দিয়েছেন। বাকিরা আগামীদিনে যোগ দেবেন।

দণ্ডি কাটার নিদান নিয়ে কী বললেন বিজেপির (BJP)  রাজ্য সভাপতি?

এই ঘটনা নিয়ে বিজেপির (BJP)  জেলা নেতৃত্ব সরব হয়েছেন। এবার এই অমানবিক ঘটনা নিয়ে মুখ খুললেন বিজেপির (BJP)  রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, জোর করে আদিবাসী ওই মহিলাদের তৃণমূলে যোগদান করানো হয়েছে। আর বিজেপি করার অপরাধে তাদের নাকখত দেওয়ার ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না। আদিবাসী মহিলাদের অপমান করেছে তা আদিবাসী সমাজের অপমান। তৃণমূল আদিবাসী বিরোধী তা আরও একবার প্রমাণিত হয়ে গেল। গোটা রাজ্যের আদিবাসী সমাজকে এই অমানবিক ঘটনার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানোর আবেদন জানাচ্ছি। অন্যদিকে, জেলা নেতৃত্ব বিষয়টি নিয়ে মহিলা কমিশনের দ্বারস্থ হবেন বলে জানা গিয়েছে।

কী বললেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি?

দলবদলুদের দণ্ডি কাটার শাস্তির নিদান নিয়ে জেলা জুড়়ে সবমহলে সমালোচনা শুরু হয়েছে। শাসক দল ব্যাকফুটে। তৃণমূলের জেলা সভাপতি মৃনাল সরকার বলেন, তৃণমূলে কেউ যোগ দিলে আমরা জানতে পারতাম। এরকম খবর আমাদের কাছে নেই। আর দণ্ডি কাটার ঘটনা ঘটে থাকলে তা ঠিক হয়নি। এরকম হলে দলের পক্ষ থেকে বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles