মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এগরায় বিস্ফোরণের ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রীর বিবৃতির পরেই অতিসক্রিয় হয়ে উঠল পুলিশ। বীরভূম (Birbhum) জেলা জুড়ে যৌথভাবে তল্লাশি চালাল পুলিশ ও সিআইডি। উদ্ধার হয়েছে প্রচুর বাজি তৈরির মশলা এবং সরঞ্জাম। পুলিশ একাধিক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করছে। শাসক দল একে পুলিশের সাফল্য বললেও বিরোধীদের দাবি, সবটাই লোক দেখানো।
বাজি তৈরির মশলা উদ্ধার (Birbhum)
এগরার ঘটনার পর রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বাজি কারখানার উপর নজর রাখতে শুরু করেছে প্রশাসন৷ বেআইনি কারখানাগুলিতে তল্লাশি চলবে বলেও জানানো হয়েছে। বিস্ফোরণের ঘটনায় রাজ্যজুড়ে সমালোচনা শুরু হতেই নড়েচড়ে বসেছে রাজ্যের পুলিশ-প্রশাসন। এদিন বীরভূমের (Birbhum) লাভপুর থানার পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে যৌথ তল্লাশি চালায় সিআইডি৷ লাভপুরের (Lavpur) পূর্ণা গ্রামে একটি বাজি তৈরির কারখানা থেকে ১০০ কেজির বেশি বাজি তৈরির মশলা উদ্ধার করা হয়৷ পাশাপাশি, বাজি তৈরির প্রচুর সামগ্রীও উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানা যায়৷ বেআইনি ভাবে প্রচুর বারুদ মজুত করে রাখা হয়েছিল বলে পুলিশ জানিয়েছে৷ এই ঘটনায় ৪ জন অভিযুক্তকে আটক করেছে সিআইডি৷ আরও জানা গেছে, বাজি তৈরির মশলাগুলিকে নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে।
বিরোধীদের অভিযোগ
পূর্ব মেদিনীপুর জেলার এগরার খাদিকুল গ্রামে বাজি কারখানায় বিস্ফোরণে ইতিমধ্যে ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। বাজি তৈরির আড়ালে বোমা তৈরি হত, এই অভিযোগ তুলে সরব হয়েছে বিরোধীরা। ইতিমধ্যেই ঘটনায় এনআইএ তদন্তে চেয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বিরোধী নেতার অভিযোগ ছিল, পুলিশের কাছে এই বাজি কারখানার খবর ছিল এবং রীতিমতো ওই কারখানা থেকে তোলা আসত। বিরোধী দলের আরও অভিযোগ, বগটুই হত্যাকাণ্ডের পরও অবৈধ অস্ত্র এবং বোমা কারখানায় তল্লাশির কথা পুলিশকে বলেছিলেন স্বয়ং পুলিশমন্ত্রী। যার ফলস্বরূপই লোক দেখানো মাত্র কয়েকটি জায়গাতে তল্লাশি (Birbhum) হচ্ছে। আসল অপরাধীরা শাসক দলের আশ্রয়েই রয়েছে। রাজ্যে সিংহভাগ অবৈধ বাজি কারখানার মালিক তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারাই, এমন অভিযোগও উঠেছে। সমানে পঞ্চায়েত ভোট আসছে। তাই দেশি বাজির কারখানায় দেশি বোমা তৈরি হচ্ছে কি না, তা সাধারণ মানুষকে রীতিমতো ভাবাচ্ছে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours