মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একজন ভুয়ো সেনা অফিসারকে দুর্গাপুর (Durgapur) থানার পুলিশ শনিবার রাতে গ্রেফতার করেছে। ধৃতের নাম হায়দার বেগলো। সে ছত্তিসগড়ের বাসিন্দা। তার কাছ থেকে পুলিশ নকল একে-৪৭ সেভেন, একটি পিস্তল, ভারতীয় সেনার পোশাক এবং নকল পরিচয়পত্র উদ্ধার করেছে। কেন এই ব্যক্তি ভুয়ো পরিচয় নিয়ে দুর্গাপুরে বসবাস করছিল, তা নিয়ে পুলিশ তদন্তে নেমেছে।
দুর্গাপুরে (Durgapur) কীভাবে আটক!
বাইরে থেকে দুর্গাপুর (Durgapur) শিল্পাঞ্চলে বহু মানুষ কাজ করতে আসেন। এখনে স্থায়ী এবং অস্থায়ী বাসিন্দা প্রচুর বসবাস করে থাকেন। এর মধ্যে পরিযায়ী শ্রমিকের সংখ্যাটাও প্রচুর। দুর্গাপুর থানা থেকে একটি বিশেষ ক্যাম্পের আয়োজন করা হয়। যার উদ্দেশ্য ছিল সামাজিক সচেতনতা। পরিযায়ী শ্রমিকদের বেশিরভাগই এখানে ঘরভাড়া নিয়ে বসবাস করে থাকেন। পুলিশের আধিকারিকরা পাড়ায় পাড়ায় ভাড়াটেদের উপর তথ্য সংগ্রহের কাজ শুরু করেছেন বলে জানা যায়। প্রয়োজনীয় তথ্য পেতে দুর্গাপুর থানা থেকে একটি বিশেষ ফর্মও চালু করা হয়েছে। এরকমই তথ্য পেয়ে ছত্তিসগড়ের ভুয়ো সেনার খোঁজ মিলল দুর্গাপুরে। পরে পুলিশ তথ্য যাচাই করে দুর্গাপুরের সুভাষপল্লির একটি বাড়ি থেকে ভুয়ো ওই অফিসার হায়দার বেগলোকে গ্রেফতার করে বলে জানা গেছে। ভুয়ো অফিসার গ্রেফতারে এলাকায় চাঞ্চল্য শুরু হয়েছে।
পুলিশের বক্তব্য
পুলিশ জানিয়েছে, হায়দার বেগলো ভারতীয় সেনার অফিসার পরিচয় দিয়ে সুভাষপল্লির বেনাচিতি এলাকায় একটি বাড়িতে ভাড়াটে হিসেবে ছিল। প্রায় দু'মাস ধরে সে সেখানে বসবাস করছিল। পুলিশ গোপন সূত্রে খবর পেয়ে রাতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, কেন সে সেনার পোশাক, ভুয়ো পরিচয়পত্র, এয়ারগান অস্ত্র এবং একটি বাইক ব্যবহার করত, কী উদ্দেশ্য ছিল তার, তা নিয়ে তদন্ত চলছে। অবশ্য হায়দার নিজে পুলিশের কাছে স্বীকার করে নিয়েছে, সে ভুয়ো সেনা অফিসার। পুলিশ আরও জানিয়েছে, হায়দারের স্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। তবে তার স্ত্রী হায়দারকে আর্মি অফিসার বলেই জানেন। ভুয়ো সেনার অভিসন্ধি কী ছিল, তা জানার জন্য এখনও তদন্ত চলছে। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতকে দুর্গাপুর (Durgapur) মহকুমা আদালতে পেশ করা হয়েছে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours