মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বুধবার ভরসন্ধ্যায় বারাকপুরের (Barrackpore Shootout) আনন্দপুরীতে একটি সোনার দোকানে কয়েকজন দুষ্কৃতী ঢুকে পড়ে লুটপাট চালাতে থাকে। বাধা দিতে গেলে খুন হন নীলাদ্রি দাস নামে ২৭ বছরের এক তরতাজা যুবক। এই ঘটনায় এই রীতিমতো ক্ষুব্ধ ব্যবসায়ী সংগঠন এবার বন্ধের ডাক দিল। তারা জানিয়েছে, শনিবার ১২ ঘণ্টা বন্ধ থাকবে সোনার দোকানগুলি। ইতিমধ্যে খুনের ঘটনায় দুজনকে গ্রেফতার করতে সমর্থ হয়েছে পুলিশ। অন্যদিকে, টিটাগড় থানা এবং এলাকার বিধায়ক রাজ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন তৃণমূল নেতা এবং বারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিং। যা নিয়ে অস্বস্তিতে শাসক দল।
নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন স্বর্ণশিল্পীরা
বুধবার সন্ধ্যায় খুনের ঘটনা ঘটে আনন্দপুরী এলাকায়। সেই আনন্দপুরীর উত্তর এবং দক্ষিণের ব্যবসায়ীরা এই বনধ-এ সামিল হবেন বলে জানা গিয়েছে। জনৈক স্বর্ণ শিল্পী বলেন, ‘‘আমরা মৌন মিছিল করার অনুমতি নিতে বারাকপুর (Barrackpore Shootout) সিপি অফিসে গিয়েছিলাম। টিটাগড় থানা তাতে অনুমতি দিয়েছে। শনিবার বন্ধ হবে বারাকপুর এবং পলতায়। আমাদের সঙ্গে বঙ্গীয় স্বর্ণশিল্পী এবং বঙ্গীয় স্বর্ণশিল্পী বাঁচাও কমিটি সাহায্যের হাত বাড়িয়েছে। এলাকার সমস্ত স্বর্ণশিল্পীরা আতঙ্কের মধ্যে আছেন। সবাই নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। আমাদের দাবি, এলাকার সবার নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে হবে।’’
খুনের ঘটনায় (Barrackpore Shootout) অভিযুক্ত দুজনকে গ্রেফতার করল পুলিশ, বাকিদের খোঁজে চলছে তল্লাশি
সোনার দোকানের ডাকাতি এবং খুনের ঘটনায় আটক করা হল দুজনকে। গ্রেফতার হওয়া দুজনের নাম সফি খান এবং জামশেদ আনসারী বলে জানা গেছে। সফি খানকে পুলিশ গ্রেফতার করে খড়দহের রহড়া থানা এলাকা থেকে। অন্যদিকে জামশেদ আনসারী খুনের পরই বীরভূমে গা-ঢাকা দেয়। সেখানে থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। দুই অভিযুক্তের গ্রেফতারির কথা সাংবাদিক বৈঠক করে জানিয়েছেন আশিস মৌর্য। এদিন সাংবাদিক সম্মেলন করে পুলিশ জানায়, গ্রেফতার হওয়া দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদের কাজ চলছে। সেখান থেকেই জানার চেষ্টা চলছে বাকি অভিযুক্তদের নাম।
আরও পড়ুন: কালিয়াগঞ্জের সেই নিহত নাবালিকা পাশ করল উচ্চ মাধ্যমিকে, হল না স্বপ্ন পূরণ
পুলিশ ও স্থানীয় তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন অর্জুন সিং
শাসক দলে থাকা সত্ত্বেও টিটাগড় থানার বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন বারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিং। যা নিয়ে রীতিমতো অস্বস্তিতে শাসক দল। তার কারণ পুলিশ মন্ত্রী স্বয়ং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে। অর্জুন বলেন, ‘যেখানে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নেই, সেখানে নিজে ভিভিআইপি নিরাপত্তা নিতে লজ্জা হয়’। তিনি আরও বলেন, ‘বারাকপুরের সাংসদ হয়ে সাধারণ মানুষকে নিরাপত্তা দিতে পারছি না। এ দিকে আমি নিজে ভিভিআইপি নিরাপত্তা নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছি। দরকার হলে আমার নিরাপত্তা তুলে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা বাড়ানো হোক।' অন্যদিকে এলাকার বিধায়ক রাজ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধেও এদিন সুর চড়ান তিনি।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours