মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাড়ম্বরে পালিত হলো নদিয়ার (Nadia) মায়াপুর ইসকনে শ্রীজগন্নাথের স্নানযাত্রার উৎসব। মায়াপুর চন্দ্রোদয় মন্দির থেকে সাড়ে চার কিলোমিটার দূরে রাজাপুর শ্রীজগন্নাথ মন্দিরে স্নানযাত্রা উপলক্ষে সকাল থেকেই হাজার হাজার ভক্তের ভীড়। এলাকায় স্নানযাত্রা উপলক্ষে মহামহোৎসবের আবির্ভাব।
মায়াপুরে (Nadia) কীভাবে শ্রী জগন্নাথদেবকে স্নান করানো হল?
দাবদাহকে উপেক্ষা করেই দীর্ঘ লাইন দিয়ে শ্রীজগন্নাথকে স্নান করানোর জন্য দেশ-বিদেশের ভক্তরা সকালেই পৌছে গেছেন মন্দিরে। কথিত আছে আজকের স্নানযাত্রার পরেই শ্রীজগন্নাথের শরীরে আসবে ধুম জ্বর। জ্বরে কাবু হয়ে রথের দিন পর্যন্ত তিনি গৃহবন্দী হয়ে থাকবেন। রথের দিন রাজকীয় বেশে, রথে করে পুনরায় ভক্তদের মাঝে অবতীর্ণ ও পূজিত হবেন শ্রীজগন্নাথের ঠাকুর। এইদিন স্নানযাত্রা উপলক্ষে সমস্ত ভক্তদের জন্য প্রসাদের ব্যবস্থা রাখা হয়েছিল ইসকনের পক্ষ থেকে। একইসাথে বিশৃঙ্খলা এড়াতে মোতায়েন করা হয়েছিল বিশাল পুলিশ বাহিনী। জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকা রাজাপুর (Nadia) শ্রীজগন্নাথ মন্দিরে শুরু হয়ে গেল স্নানযাত্রার মাধ্যমে রথের প্রস্তুতি। এলাকায় উৎসবের আবহ।
ইসকনের পক্ষ থেকে বক্তব্য
স্নানযাত্রা উপলক্ষে ইসকনের জনসংযোগ আধিকারিক রসিক গৌরাঙ্গ দাস জানান, অন্যান্য উৎসবের মতো ইসকনের রথযাত্রা এবং শ্রীজগন্নাথ দেবের স্নানযাত্রা একটি ধর্মীয় মুখ্য অনুষ্ঠান। জগতের নাথ অর্থাৎ জগন্নাথদেব এই স্নানযাত্রার পরে গৃহবন্দী অবস্থায় থাকবেন। রথের দিন পুনরায় তিনি ভক্তদের মাঝে অবতীর্ণ হবেন। প্রতিবছরের মত এবারও রাজাপুরের চন্দ্রোদয় মন্দিরে মহাসামরহে চলছে স্নানযাত্রার উৎসব। স্নানযাত্রার পর ২০ শে জুন থেকে রথযাত্রা শুরু হবে। এই রথ নিয়ে যাওয়া হবে মায়াপুর (Nadia) ধামে। আবার মায়াপুর থেকে ২৮শে জুন পুনরায় রাজাপুরে নিয়ে আসা হবে। প্রভু শ্রীজগন্নাথ রথের দিনে আপামর জগতবাসীকে আশীর্বাদ করবেন। তিনি আরও বলেন ইসকনের মহাপ্রভু শ্রীপ্রভুপাদ বিদেশের মাটিতে ১৯৬৭ সালে রথযাত্রা পালন করেন। মঙ্গলময় ঈশ্বর জগত সকলের মঙ্গল কামনা কবেন এই আশাই প্রকাশ করেছেন গৌরাঙ্গ দাস।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours