মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জে পুলিশের গুলিতে রাধিকাপুরের চাঁদগাও গ্রামের রাজবংশী যুবক মৃত্যুঞ্জয় বর্মন খুন হয়েছিলেন। এবার তাঁর বউদি কণিকা রায় বর্মনকে পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রার্থী করল বিজেপি (BJP)। বুধবারই দলীয় কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে নিয়ে তিনি বিডিও অফিসে গিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেন। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে রাজবংশী পরিবারের বধূকে প্রার্থী করে বিজেপি মাস্টার স্ট্রোক দিল বলে রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। এই আসনে বিজেপির জয় শুধু সময়ের অপেক্ষা বলে এলাকাবাসীর দাবি।
কী বললেন বিজেপি (BJP) প্রার্থী?
গেরুয়া শিবিরের প্রার্থী কণিকাদেবীর স্বামী বিষ্ণু বর্মন এতদিন বিজেপির (BJP) পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য ছিলেন। পঞ্চায়েত নির্বাচনে মির্জাগর এলাকার পঞ্চায়েত সমিতির আসনটি মহিলা প্রার্থীদের জন্য সংরক্ষণ করা হয়েছে। তাই বিজেপির পক্ষ থেকে তাঁর স্ত্রীকে প্রার্থী করা হয়। এদিন মনোনয়ন জমা দেওয়ার পর বিজেপি প্রার্থী কণিকাদেবী বলেন, আমার দেওরকে পুলিশ নৃশংসভাবে গুলি করে খুন করেছে। রাজ্যবাসী তা জানেন। বিজেপি আমার স্বামীর পর আমার উপর আস্থা রেখেছে। এই এলাকার সাধারণ মানুষও আমার উপর ভরসা রাখবে। এলাকাবাসীর সঙ্গে আমি সবসময় থাকব।
কী বললেন মৃত্যুঞ্জয়ের দাদা?
কালিয়াগঞ্জে নাবালিকার রহস্যমৃত্যু ও পরে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে থানায় তাণ্ডবের ঘটনায় বিজেপির (BJP) পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য বিষ্ণু বর্মণকে ধরতে যায় পুলিশ। সে সময় তল্লাশি অভিযানে তাঁর খুড়তুতো ভাই মৃত্যুঞ্জয় বর্মনকে পুলিশ গুলি করে খুন করে বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় তোলপাড় হয়ে ওঠে রাজ্য। এদিন বিষ্ণু বর্মন বলেন, গত পাঁচ বছর ধরে আমি মানুষের সঙ্গে ছিলাম। আমি বিজেপি করি বলে পুলিশ আমাকে ধরতে এসেছিল। আমাকে না পেয়ে আমার ভাইকে পুলিশ গুলি করে খুন করেছে। এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই। আমরা সিবিআই তদন্তের দাবি জানাচ্ছি। আর আমাদের এই লড়াইয়ে এলাকার মানুষ সঙ্গে রয়েছেন।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours