মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঝাড়গ্রামে জেলা পরিষদের মনোনয়ন জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যে এল। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশকে কার্যত বুড়ো আঙুল দেখিয়ে প্রার্থী তালিকা ঠিক করা হয়েছে, এমনই অভিযোগ করে মনোনয়নের শেষ বেলায়, বৃহস্পতিবার দলীয় টিকিট না পেয়ে জেলা সভাধিপতি মাধবী বিশ্বাস ছাড়াও আরও পাঁচজন কর্মাধ্যক্ষ মনোনয়ন জমা দিলেন জেলা পরিষদ আসনে। তাঁদের দাবি, তাঁরা নির্দল নয়, তৃণমূলের হয়েই মনোনয়নপত্র (Panchayat Election) জমা দিলেন। উল্লেখ্য, দীর্ঘ টানা-পোড়েনের পর বুধবার প্রার্থী তালিকা প্রকাশ না করেই ঝাড়গ্রাম জেলা পরিষদের ১৯টি আসনে প্রার্থীদের ফোন করে গোপনে মনোনয়নপত্র জমা দিতে বলেন তৃণমূল জেলা সভাপতি দুলাল মুর্মু। দলীয় সূত্রে অন্তত এমনটাই খবর। বুধবার ১৭ জন মনোনয়ন জমা দেন এবং বৃহস্পতিবার বাকি দু'জন তৃণমূল প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেন।
কারা বিক্ষুব্ধ হয়ে মনোনয়ন (Panchayat Election) জমা দিলেন?
অন্যদিকে, ঝাড়গ্রাম জেলা পরিষদের সভাধিপতি মাধবী বিশ্বাস, সুজলা তরাই (বিদ্যুৎ কর্মাধ্যক্ষ), শুভ্রা মাহাত (পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ), মামণি মুর্মু (বন ও ভূমি কর্মাধ্যক্ষ), সুপ্রিয়া মাহাত (মৎস্য কর্মাধ্যক্ষ) এবং তপন ব্যানার্জি (কৃষি কর্মাধ্যক্ষ) মনোনয়নপত্র জমা করেন তৃণমূলের হয়ে। এছাড়াও ঝাড়গ্রাম জেলা এসটি সেলের জেলা সভাপতি অর্জুন হাঁসদা ওরফে লাল জেলা পরিষদের আসনে (Panchayat Election) মনোনয়নপত্র জমা দেন তৃণমূলের হয়ে। জেলা পরিষদের তালিকায় অর্জুনের নাম ছিল। শেষ মুহূর্তে অর্জুনকে বাদ দিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে দলীয় সূত্রে খবর। এদিন অর্জুন তৃণমূলের হয়ে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন।
কী বলছেন বিক্ষুব্ধরা (Panchayat Election)?
তবে মাধবী ও পাঁচ কর্মাধ্যক্ষ মনোনয়ন জমা দেওয়ায় অস্বস্তি শুরু হয়েছে তৃণমূলের অন্দরে। জেলা পরিষদের সভাধিপতি সহ অন্যান্য কর্মাধ্যক্ষদের মনোনয়ন (Panchayat Election) জমা দেওয়ার পরেই শোরগোল পড়ে যায় জেলা তৃণমূলের মধ্যে। এদিন মাধবী বিশ্বাস বলেন, "দলীয় কর্মসূচিতে এসেছিলেন আমাদের দাদা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেছিলেন, ভোটাভুটির মাধ্যমে পঞ্চায়েত ভোটের প্রার্থী নির্বাচন হবে। দাদার কথা না রেখে দাদাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে এখানকার রাজনৈতিক নেতারা টাকার বিনিময়ে নিজেদের মতে প্রার্থী ঠিক করেছে। তাঁর আরও অভিযোগ,"চক্রান্ত করে প্রার্থী নির্বাচন করা হয়েছে। তাই জেলা পরিষদের পুরনো একজনকেও প্রার্থী তালিকায় রাখা হয়নি। একজন জেলা সভাধিপতি, যিনি দলের মুখ, তাঁকে যেখানে টিকিট দেওয়া হল না, সেখানে কর্মাধ্যক্ষদের টিকিট দেওয়া হবে, তা কি আশা করা যায়।’’ সভাধিপতি জানান, "দলীয় প্রতীক না পাওয়া গেলে নির্দলেই লড়াই করবেন।’’ বিদায়ী বন ও ভূমি কর্মাধ্যক্ষ মামণি মুর্মু বলেন, ‘‘দলের হয়েই মনোনয়নপত্র জমা দিতে এসেছি। এখনও কিন্তু আমি দল থেকে পদত্যাগ করিনি। দলেই রয়েছি।’’
কী বললেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি (Panchayat Election)?
তৃণমূলের জেলা সভাপতি দুলাল মুর্মু বলেন, "প্রত্যেকটা মানুষেরই আশা, স্বপ্ন থাকতে পারে। কিন্তু প্রত্যেকটা স্বপ্ন পূরণ হবে, তা তো নয়। দলীয় সিদ্ধান্তের মধ্য দিয়ে প্রার্থী নির্বাচন (Panchayat Election) করা হয়েছে। আমি ওঁদের অনুরোধ করব দলের সিদ্ধান্ত মেনে দলীয় প্রার্থীদের জেতানোর কাজে ঝাঁপিয়ে পড়ার জন্য"।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours