মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলের টবে চলত গাঁজা চাষ। চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এল পুলিশের তদন্তে (JU Student Death)। গত ৯ অগাস্ট র্যাগিং-এর শিকার হয়ে তিনতলা থেকে পড়ে যান প্রথম বর্ষের বাংলা অনার্সের পড়ুয়া স্বপ্নদীপ কুণ্ডু। পরের দিন ভোরে তাঁর মৃত্যু হয়। স্বপ্নদীপের মৃত্যুতে তোলপাড় হয় গোটা রাজ্য। বিভিন্ন মহল থেকে প্রশ্ন ওঠে বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্দরের আইন-শৃঙ্খলা সমেত একাধিক বিষয় নিয়ে। যাদবপুরকাণ্ডে (JU Student Death) গ্রেফতার করা হয়েছে ১৩ জনকে। এর মধ্যেই গাঁজা চাষের প্রমাণ পেল পুলিশ।
কীভাবে পুলিশ এই গাঁজা চাষের প্রমাণ পেল?
স্বপ্নদীপের মৃত্যু (JU Student Death) রহস্যের উদঘাটন করতে চলছে ফরেনসিক তদন্ত। এই তদন্তের অঙ্গ হিসেবে গ্রেফতার হওয়া ছাত্রদের ফোন বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। সেই ফরেনসিক পরীক্ষাতেই একটি ফোনে মিলেছে ছবি। যেখানে দেখা যাচ্ছে টবে গাঁজা চাষ হচ্ছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ৯ অগাস্ট রাতে ওই ঘটনার পরে কোনও ছবি, ভিডিও বা চ্যাট মুছে ফেলেছে কিনা সেটাই খতিয়ে দেখা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, মেন হস্টেলের এ-২ ব্লকের বারান্দার টবে এই গাঁজা চাষ হতো। দুর্ঘটনার রাতের পরে তার সব কিছু সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে সৌরভ চৌধুরীর বিরুদ্ধে অভিযোগ যেন ক্রমশ জোরালো হচ্ছে। স্বপ্নদীপ কুণ্ডু (JU Student Death) তিনতলার বারান্দা থেকে ঝাঁপ দেওয়ার পরেই হস্টেলের একটি গ্রুপে সৌরভ সম্পর্কে নির্দিষ্ট কিছু নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, এমনটাই জানা গিয়েছে সূত্র মারফত।
বুধবার ১৪ জনকে থানায় ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ
বুধবার মোট ১৪ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে যাদবপুর থানায় ডেকে। যাঁদের মধ্যে ৪ জন মেস সদস্য। তৃতীয় বর্ষের তিন পড়ুয়া এবং হস্টেলের ক্যান্টিনের সাতজন কর্মী ছিলেন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, হস্টেলের রাঁধুনিকে ডেকে যখন জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়, তখন তিনিও তাঁর বয়ানের র্যাগিংয়ের কথা উল্লেখ করেছেন। অন্যদিকে যাদবপুরে র্যাগিং-এর প্রমাণ পেয়েছে মানবাধিকার কমিশনও। বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটির মুখোমুখি হতে হয় ছাত্রমৃত্যুর (JU Student Death) ঘটনায় নাম থাকা অরিত্র মজুমদারকে। তাঁর ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। তিনি বলেন, ঘটনার পরের দিন ১০ অগাস্ট তিনি কাশ্মীরের উদ্দেশে রওনা হয়েছিলেন। কিন্তু ১১ অগাস্ট তাঁর অ্যাটেনডেন্স রেজিস্টারে সই দেখা যাচ্ছে। এ প্রসঙ্গে অরিত্রর জবাব, তিনি ভুল করে ওই সই করে ফেলেছেন।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours