মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এবার নাম জড়াল পুরুলিয়ার ঝালদা পুরসভা। ইতিমধ্যেই ইডির (ED) পক্ষ থেকে এই পুরসভায় নোটিস ধরানো হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে ইডি এই পুরসভায় নোটিস পাঠানোয় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। এর আগে বারাকপুর মহকুমার ৬টি পুরসভাকে ইডি নোটিস পাঠিয়েছিল। এমনকী কামারহাটি পুরসভার একাধিক কর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল ইডি। নিয়োগ দুর্নীতির মূল পান্ডা অয়ন শীলের বান্ধবী শ্বেতা চক্রবর্তী কামারহাটি পুরসভায় চাকরি করেন। অয়ন শীলের সংস্থার প্যানেলে তাঁর চাকরি হয়েছিল। ইডি তাঁকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল। এরপর কয়েকদিন আগে ডায়মন্ডহারবার পুরসভাকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইডি নোটিস করেছিল। এবার সেই তালিকা চলে এল ঝালদা পুরসভা।
ইডি (ED) নোটিস প্রসঙ্গে কী বললেন পুরসভার প্রধান করণিক?
এ প্রসঙ্গে ঝালদা পুরসভার প্রধান করণিক গৌতম গোস্বামী বলেন, সোমবার ডাক যোগে ও ইমেলে এই নোটিস পান। তাতে বলা হয়েছে, ২০১৪ সালের ১ জানুয়ারি থেকে যে সব নিয়োগ হয়েছে তাঁদের বায়োডাটা-সহ সমস্ত নথি জমা করতে হবে। সেইসঙ্গে সেই সময় থেকে পুরপ্রধান, নির্বাহী আধিকারিক-সহ পুর কর্মচারীদের নাম, ফোন নম্বর এক সপ্তাহের মধ্যে জমা দিতে হবে। সেইভাবে প্রস্তুতিও নিচ্ছে পুরসভা। পুরসভার পক্ষ থেকে সবরকমভাবে সহযোগিতা করা হবে।
বিরোধীদের কী বক্তব্য?
প্রসঙ্গত, পুরনিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তৎপর হয়েছে ইডি (ED)। ২০১৬-১৭ সালে নিয়োগ পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে চেয়ে চিঠি পাঠায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। নিয়োগে কোনও দুর্নীতি হয়নি বলেই দাবি বর্তমান চেয়ারম্যানের। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার হওয়া অয়ন শীলের থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী পুরসভাগুলিতেও নিয়োগে বিস্তর দুর্নীতির অভিযোগ তোলে ইডি, সিবিআই। তার ভিত্তিতেই বিচারপতির পর্যবেক্ষণ ছিল, পুর-দুর্নীতিরও তদন্ত হওয়া উচিত এবং তা করুক কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। গত ২১ এপ্রিল পুরসভায় দুর্নীতির তদন্তভারও সিবিআইকে দেওয়ার নির্দেশ দেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সেই তদন্ত করছে ইডিও। বিরোধীদের বক্তব্য, আমরা নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে বার বার সরব হয়েছিলাম। এবার সেটাই প্রমাণিত হল। আমাদের বিশ্বাস, ইডি প্রকৃত সত্য উদঘাটন করবে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours