Murshidabad: মুর্শিদাবাদে জোর কদমে চলছে বিশ্বকর্মা প্রতিমা তৈরির কাজ, কী বললেন মৃৎশিল্পীরা!

মুখ্যমন্ত্রীকে এক কী আরজি জানালেন মৃৎশিল্পীরা?
Murshidabad_(1)
Murshidabad_(1)

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আর মাত্র দুই দিন পরেই বিশ্বকর্মা পুজো। কেমন হচ্ছে প্রতিমা বিক্রি? কেমনই বা আছেন মৃৎশিল্পী কর্মীরা? মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) জেলার ফরাক্কার মহাদেবনগরের পালপাড়া গ্রাম এবং বহরমপুরের মৃৎশিল্পীদের কথায় উঠে এলো তাঁদের জীবনে সংগ্রামের কথা। প্রতিমা তৈরির শেষ তুলির টান চলছে জোর কদমে। পুজো কি আর সারা বছর হয়! বছরের একটা নির্দিষ্ট সময়েই হয়। তাই এই সময়ে যদি প্রতিমা বিক্রি করে লাভের মুখ দেখতে না পান, তাহলে মৃৎশিল্পীদের বাকি সারাটা বছর অত্যন্ত অভাব-অনটনের মধ্যে জীবন কাটাতে হবে। তাই শিল্পীরা নিজেদের সমস্যার কথা জানিয়ে, রাজ্য সরকারের কাছে দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। এই জেলার মৃৎশিল্পীরা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর কাছে দাবি করে বলেন, পুজো মন্ডপ গুলির মতন আমাদেরও অনুদান চাই। 

সরকারী অনুদান চাইলেন মৃৎশিল্পীরা (Murshidabad)?

স্থানীয় (Murshidabad) মৃৎশিল্পীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কাল বাদে পরশু বিশ্বকর্মা পুজো। জোর কদমে চলছে প্রতিমা তৈরির ব্যাস্ততা। তবে এই বছর তেমন ভাবে বেচাকেনা নেই, কিছু প্রতিমার অর্ডার পাওয়া গেলেও, তাতে লাভের পরিমাণ কম। আর তাই তাঁদের খুব কষ্টের মধ্যেই কাটছে দিন। এই অবস্থায় মৃৎশিল্পকে এবং শিল্পীদের পারিবারিক জীবনকে সুরক্ষিত করতে সরকারের সাহায্য একান্ত প্রয়োজন। শিল্পীদের তরফে জানানো হয়, পুজো উদ্যোগতা ক্লাব গুলির জন্য যদি, ৭০ হাজার টাকা দেওয়া যেতে পারে, তাহলে যাঁরা পুজোর ঠাকুর তৈরির কারিগর, তাঁরা কেন আর্থিক সাহায্য পাবেন না!

মৃৎশিল্পীর বক্তব্য

ফরাক্কার (Murshidabad) মৃৎশিল্পী কৌশিক পাল বলেন, “যেমন ভাবে সরকার পুজো মন্ডপ গুলোকে অনুদান দিয়েছে, ঠিক সেই ভাবেই মৃৎশিল্পীদের আর্থিক সাহায্য প্রয়োজন।” উল্লেখ্য ফরাক্কার পালপাড়ায় ও বহরমপুরে খাগড়ায় বহু মৃৎশিল্পীদের পরিবার চলে একমাত্র প্রতিমা বিক্রি এবং বিভিন্ন হস্তশিল্পের কাজের উপর। তাই এই শিল্পীদের জন্য বিশেষ আর্থিক অনুদানের আবেদন জানিয়েছেন তাঁরা।

বহরমপুরের আরেক শিল্পী বলেন, এই বছর বিশ্বকর্মা পুজো বায়না অনেক কম হয়েছে। দিন দিন সাজের জিনিসপত্রের দাম অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। অপর দিকে ভালো সাজ না হলে ক্রেতারা প্রতিমা ক্রয় করতে চাননা। তাই দাম বেশি বলে মানুষের আগ্রহ কমে যাচ্ছে। তিনি আরও বলেন, সরকার যদি কলকাতার কুমারটুলির মৃৎশিল্পীদের মতন আমাদেরও স্বল্প সুদে ঋণের ব্যবস্থা করত, তাহলে আমরা ভীষণ ভাবে উপকৃত হতাম।  

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles