Ragging: র‍্যাগিংয়ের শিকার কোচবিহার পলিটেকনিক কলেজের দুই ছাত্র, চাঞ্চল্য

কোচবিহার পলিটেকনিক কলেজে র‍্যাগিং! কী করছে কর্তৃপক্ষ?
Ragging_(1)
Ragging_(1)

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে র‍্যাগিংকাণ্ডে (Ragging) তোলপাড় হয়ে যায় গোটা রাজ্য। সেই ঘটনার জের মিটতে না মিটতেই ফের র‍্যাগিংয়ের ঘটনা ঘটল কোচবিহার পলিটেকনিক কলেজের দুই ছাত্রের সঙ্গে। এদের মধ্যে একজন মেকানিক্যাল এবং অপরজন অটোমোবাইলের প্রথম বর্ষের ছাত্র। তাঁদের বাড়ি কোচবিহার মাথাভাঙ্গা-২ নম্বর ব্লকের ঘোকসাডাঙ্গা এলাকার বাসিন্দা। সিনিয়ার মেসে গিয়ে দুজন প্রথম বর্ষের ছাত্রের উপর এতটাই অত্যাচার করে যে তাদের হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। কোচবিহার জেলা পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে, ঘটনা তিনজনকে আটক করা হয়েছে।

ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Ragging)

স্থানীয় ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাত আটটা নাগাদ কোচবিহার পলিটেকনিক কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র আকাশ আইচ এবং খোকন বর্মন তাদের মেসে ছিল। সে সময় সেই মেসে থাকা  আরেকজন সিনিয়ার বাইরে থেকে বহিরাগতদের নিয়ে এসে তাদের উপর আক্রমণ চালায়। তাদের মুখে রুমাল গুঁজে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। এর আগেও এই সিনিয়ার এসে তাদের উপর অত্যাচার করত বলে অভিযোগ। শুক্রবার রাতেও সে হামলা চালায়। কোচবিহার পলিটেকনিক কলেজের জেনারেল সেক্রেটারি মিসবাহুল ইসলাম বলেন, অভিযুক্ত ওই সিনিয়ার প্রায় দিনই একটি মেয়েকে সঙ্গে করে নিয়ে এসে মেসে উঠত। দীর্ঘদিন থেকে এই বিষয়টির প্রতিবাদ জানিয়ে আসছিল আকাশ এবং খোকন। এটাই তাদের অপরাধ। তাই, বাইরে থেকে দুজনকে নিয়ে এসে ওই দুই পড়ুয়াকে বেধড়ক মারধর করা হয়। আকাশ আইচকে কোচবিহার এন জে এন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিছুটা সুস্থ অবস্থায় শনিবার ছেড়ে দেওয়া হয়। কিন্তু, অত্যন্ত গুরুতরভাবে জখম খোকন বর্মন কোচবিহারের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ইতিমধ্যেই ঘটনায় পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ জানানো হয়েছে।

আক্রান্তের ছাত্রের বাবা ও মেসের মালিক কী বললেন?

ঝকম খোকন বর্মনের বাবা পরিমল বর্মন বলেন, মেসের মধ্যেইও র‍্যাগিংয়ের (Ragging) ঘটনা ঘটল। এটা মেনে নিতে পারছি না। আমরা অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি। মেসের মালিক কার্তিক শীল বলেন, মাত্র এক মাস হয়েছে ওই দুই ছাত্র আমার মেসে এসেছে। মেসের দেখভাল করে আমার স্ত্রী। র‍্যাগিংয়ের বিষয়টি আমার জানা নেই।

কী বললেন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ?

পলিটেকনকিক কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ প্রণব সাহারায় বলেন, অ্যান্টি র‍্যাগিং (Ragging) টিম বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে। তদন্তে দোষী প্রমাণিত হলে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এই ধরনের ঘটনাকে প্রশয় দেওয়া হবে না।

 

দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles