Jalpaiguri: ৪ মাস ধরে নিখোঁজ, অবশেষে সুপ্রিমকোর্টের নির্দেশে আত্মসমর্পণ তৃণমূল যুব নেতার

আগাম জামিন খারিজ সুপ্রিম কোর্টে, আত্মসমর্পণ যুব তৃণমূল নেতার
TMC
TMC

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যুব তৃণমূল (TMC) নেতার অবশেষে দেখা মিলল সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে। প্রায় চারমাস পর জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) জেলা আদালতে আত্মসমর্পণ করলেন যুব তৃণমূল সভাপতি সৈকত চট্টোপাধ্যায়। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার। যাঁরা আত্মহত্যা করেছেন তাঁরা হলেন, ডাবগ্রামের ফুলবাড়ি বিধানসভার বিজেপি বিধায়কের ভাই এবং ভাইয়ের স্ত্রী। বিজেপির অভিযোগ ছিল, আত্মহত্যার ঘটনায় ইন্ধন যুগিয়েছেন এই তৃণমূল নেতা। 

Jalpaiguri জেলা বিচারক কি বললেন (TMC)?

সূত্রে জানা গেছে, জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) জেলা বিচারক অরুণকিরণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে, জেলার তৃণমূল (TMC) যুব সভাপতি সৈকত চট্টোপাধ্যায় সুপ্রিমকোর্টের নির্দেশে আদলাতে উপস্থিত হন। সৈকত বলেন যে তিনি তদন্তে সহযোগিতা করবেন আর তাই তিনি বিচারকের কাছে গ্রফতার না করার জন্য বিশেষ রক্ষাকবচ চান। কিন্তু বিচারক স্পষ্ট করে জানিয়ে দেন যে এই মামলা শোনার কোনও এক্তিয়ার বিচারকের নেই। জেলার সিজিএম আদালতে এই তৃণমূল নেতাকে আত্মসমর্পণ করতে হবে। কিন্তু বারংবার তৃণমূলের এই যুব সভাপতি আবেদন করলেও, বিচারক তাঁর আবেদনকে নাকচ করে দেন। উল্লেখ্য সিজিএম আদালত তাঁর নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে।

মামলা কী ছিল

সূত্রে জানা গেছে, এই বছরে এপ্রিল মাসের প্রথম দিনেই জলপাইগুড়ির পাণ্ডাপাড়ার বাসিন্দা অপর্ণা ভট্টাচার্য এবং স্বামী সুবোধ ভট্টাচার্যের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়। এই দম্পতি আবার ডাবগ্রাম ফুলবাড়ি বিধানসভার বিজেপি বিধায়ক শিখা চট্টোপাধ্যায়ের ভাই এবং ভাইয়ের স্ত্রী। মৃত্যুর ঘটনার পর, জলপাইগুড়ি (jalpaiguri) কোতোয়ালি থানায়, আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে সৈকত চট্টোপাধ্যায় এবং আরও কিছু তৃণমূলের (TMC) দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়। উল্লেখ্য অভিযুক্তদের মধ্যে কয়েকজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। কিন্তু ঘটনার পর থেকে সৈকতকে খুঁজে না পাওয়ায় গ্রেফতার পরোয়ানা জারি হয়।

মামলা গড়ায় হাইকোর্টে-সুপ্রিমকোর্টে

গত বেশ কয়েকমাস এই তৃণমূল (TMC) নেতার খোঁজ না মেলায়, মামলা গড়ায় হাইকোর্টে। এই যুবনেতা নিজে হাইকোর্টে আগাম জামিন জানিয়ে আবেদন করলে, আদলাত তা বাতিল করে দেন। পুলিশ নানান জায়গায় হানা দিয়েও সৈকতের কোনও খোঁজ খবর পায়নি। অবশেষে তাঁর নামে হুলিয়া জারি হয়। অপর দিকে যুবনেতা হাইকোর্টের সার্কিট বেঞ্চে বিফল হলে, আবার আবেদন করেন সুপ্রিমকোর্টে। কিন্তু সেখানেও তাঁর আবেদন খারিজ হয়ে যায়। অবশেষে আদালতে আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হন। জলপাইগুড়ি (jalpaiguri) জেলা আদালতে আগামী ২৬ অক্টোবরের মধ্যে আত্মসমর্পণ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন সুপ্রিমকোর্ট।

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles