মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিউড়ি (Birbhum) হাটজনবাজারে বহু প্রতিক্ষিত উড়ালপুলের কাজ পুজো অর্চনার মধ্যে দিয়ে শুরু হল। উপস্থিত ছিলেন রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় এবং সেই সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন রেলের ওভার ব্রিজের ঠিকাদার সহ জেলার বিজেপি কর্মীরা। এই ব্রিজের কাজ শুরু হওয়ায় এলাকার মানুষের মধ্যে বেশ উৎসাহ লক্ষ করা গেছে। তবে প্রশাসনিক আধিকারিকদের উপস্থিতি না থাকায় কটাক্ষ করেছে তৃণমূল।
শুরু হল ব্রিজ নির্মাণের কাজ (Birbhum)
সিউড়ির (Birbhum) হাটজনবাজারের রেল ওভারব্রিজের কাজের ক্রেডিট নিয়ে বিতর্ক কার্যত জিইয়েই রইলো। প্রায় ৭ বছর ধরে অসমাপ্ত হয়ে থাকা ওভারব্রিজের কাজ, বুধবার পুনরায় শুরু হল বিশ্বকর্মা পুজোর মধ্য দিয়ে। আর সেই পুজোতেই নারকেল ফাটিয়ে রেল ওভারব্রিজের কাজের উদ্বোধন করলেন, বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়।
বিজেপির বক্তব্য
সিউড়িতে (Birbhum) রেলের ব্রিজ তৈরি করার কাজ সূচনার পুজোতে যোগদান করতে এসে, রাজ্যের বিজেপির সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “নবরাত্রির চতুর্থীর দিনে বিশ্বকর্মা পুজো করার মাধ্যমে কাজের শুভ সূচনা হল। রেল দফতর ইতিমধ্যে ১০ মাসের মধ্যে কাজ করার কথা বলেছে। কিন্তু আগামী ছয় মাসের মধ্যেই বিজেপি প্রকল্পের কাজ শেষ করবে। মানুষের কাছে কেন্দ্রের মোদি সরকার একান্তভাবে দায়বদ্ধ। এলাকার তৃণমূল সাংসদ এবং বিধায়করা সিউড়ির টোটো সমস্যা সমাধান করলে ভালো কাজ করবেন। রেলের সিঙ্গেল এন্ট্রি প্রোজেক্ট, ফলে এখানে রাজ্য সরকারের কোনও ভূমিকা নেই। উল্লেখ্য, এখানে তিন তিনটি ঠিকাদার, স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের তোলাবাজির কারণে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন। তাই রাজ্য সরকার, রেলের প্রকল্প, উড়ালপুল, বন্দে ভারত এক্সপ্রেস, বিমান পরিষেবাকে বিজেপির উপরে ছেড়ে দিলেই ভালো করবে। কন্যাশ্রী প্রকল্পে তৃণমূল সরকার রাজ্যের কোষাগার থেকে ৩৫০-৪০০ কোটি টাকা, শুধুমাত্র বিজ্ঞাপনের জন্য খরচ করে। বিজ্ঞাপনের জন্য খরচ করার নীতি হল তৃণমূলের সংস্কৃতি। বিজেপি এই ধরনের কাজে বিশ্বাস করে না।”
কটাক্ষ তৃণমূলের
ঘটনায় তৃণমূলের জেলা সহ-সভাপতি মলয় মুখোপাধ্যায় বলেন, "কীভাবে কেন্দ্রীয় সরকারের একটি কাজের উদ্বোধন করেন বিজেপি নেতা? আসলে উনি নিজেকে প্রশাসনিক আধিকারিক মনে করছেন।"
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours