মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কালীপুজোর চাঁদা দিতে ক্লাব প্রাঙ্গনে না আসায় রায়গঞ্জের এক বিশিষ্ট ব্যাবসায়ীর বহুতল নির্মাণের কাজ বন্ধ করে দেওয়ার পাশাপাশি হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূল পরিচালিত এক পুজো কমিটির সদস্যদের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় ওই ব্যবসায়ী বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রায়গঞ্জ (Raiganj) থানায় প্রয়োজনীয় নিরাপত্তার দাবি জানিয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগপত্রের প্রতিলিপি রায়গঞ্জ পুলিশ জেলার পুলিশ সুপারের পাশাপাশি বণিক সংগঠনের কাছেও পাঠিয়েছেন ওই ব্যবসায়ী। এই ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে শহর জুড়ে।
ঠিক কী অভিযোগ? (Raiganj)
রায়গঞ্জের (Raiganj) ওই বিশিষ্ট ব্যবসায়ী জয়প্রকাশ আগরওয়াল পুলিশের কাছে করা অভিযোগপত্রে জানিয়েছেন কয়েকদিন আগে রায়গঞ্জ শহরের মিলনপাড়ায় অবস্থিত 'বয়েজ সুকান্ত' ক্লাবের সভাপতি সহ কয়েকজন সদস্য তাঁর অফিসে এসে আন্তরিকতার সঙ্গে আমন্ত্রণপত্র দিয়ে চাঁদা দেওয়ার অনুরোধ করেন। সেই প্রস্তাবে রাজিও হন এই ব্যবসায়ী। অভিযোগ, বৃহস্পতিবার দুপুরে ক্লাবের কয়েকজন যুবক তাঁর নির্মীয়মান বহুতলে আসেন। সংস্থার ম্যানেজারের কাছে পুজোর চাঁদার বিষয়ে জানতে চান। ম্যানেজারের ফোন থেকে ক্লাবের এক সদস্য জয়প্রকাশবাবুকে ফোনে জানান, পুজোর চাঁদা ক্লাবে গিয়ে দিয়ে আসতে হবে। সেই প্রস্তাব প্রত্যাখান করেন জয়প্রকাশবাবু। চাঁদার জন্য নিজের অফিসে ক্লাব সদস্যদের আসতে বলেন তিনি। এরপরেই ক্ষুব্ধ ক্লাব সদস্যরা কর্মরত শ্রমিকদের জোর করে কাজ বন্ধ রাখতে বাধ্য করে বলে অভিযোগ। বন্ধ হয়ে যায় বহুতল নির্মাণের কাজ। জয়প্রকাশ বাবুকে বলা হয় পুনরায় কাজ শুরু করতে হলে ক্লাবের মূল কর্মকর্তা রন্তু দাসের সঙ্গে কথা বলতে হবে। ততক্ষন বন্ধ থাকবে বহুতল নির্মাণের কাজ। উল্লেখ্য, রন্তুবাবু জেলা তৃণমূল ছাত্র পরিষদ সভাপতির পাশাপাশি পুজো কমিটির অন্যতম কর্মকর্তা ও বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণীর অতি ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত।
কী বললেন ব্যবসায়ী?
এদিন জয়প্রকাশবাবু বলেন, হুমকির মুখে স্থানীয় শ্রমিকেরা ভয় পেয়ে পালিয়ে গিয়েছে। এতো বড় প্রজেক্ট। নিয়ম মেনে রেজিষ্ট্রেশন, প্ল্যান পাস, জি এস টি সহ সমস্ত টাকা সরকারকে দিয়েছি। তারপরেও এধরণের ঘটনা ঘটলে কী ভাবে কাজ করবো? কাজ যাতে পুনরায় শুরু করতে পারি সেজন্য প্রশাসনিক সহযোগিতা চাইছি।
তৃণমূল পরিচালিত ক্লাব কমিটির কর্মকর্তার কী বক্তব্য?
যদিও গোটা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ক্লাবের সভাপতি নব্যেন্দু ঘোষ। তিনি বলেন,আমাদের ক্লাব কখনও চাঁদা নিয়ে জুলুমবাজি করে না। স্বেচ্ছায়,ভালোবেসে যে যা চাঁদা দেয় সেটাই নেওয়া হয়। জয়প্রকাশবাবু যে অভিযোগ করেছেন তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও অসত্য।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ
+ There are no comments
Add yours