Saffron Cultivation: কাশ্মীরের মতো এবার বাংলায় চাষ হবে কেশর, জানালো কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়

উত্তরবঙ্গেও হবে এবার কেশর চাষ…
Saffron_cultivation
Saffron_cultivation

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুধু কাশ্মীরে নয় এবার থেকে বাংলায়ও চাষ হবে কেশর (Saffron Cultivation)। উত্তরবঙ্গ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে এই নিয়ে পরীক্ষামূলক গবেষণায় সাফল্য পাওয়া গিয়েছে। উত্তরবঙ্গে চাষিদেরকে এই ফলনের জন্য দিশা দেখাবে সেন্টার অফ ফ্লোরিকালচার অ্যান্ড এগ্রিবিজনেস ম্যানেজমেন্ট বা কোফাম বিভাগ। চাষিরাও কেশর চাষে অত্যন্ত উৎসাহী বলে জানা গিয়েছে।   

কোফাম বিভগের উদ্যোগ (Saffron Cultivation)

উত্তরবঙ্গ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কোফাম বিভাগ সূত্রে জানা গিয়েছে, পাহাড়ে এই কেশরের (Saffron Cultivation) চাষ বিশেষ উপযুক্ত হবে। বিশেষ করে কালিম্পংয়ে পরীক্ষালব্ধ ভাবে চাষের সাফল্য পেয়েছে। কাশ্মীর থেকে বীজ এনে এবার উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের এই বিভাগে চাষ করা হচ্ছে। যদিও বাংলার জলবায়ু এবং প্রাকৃতিক পরিবেশে কেশর চাষ করা খুব একটা উপযুক্ত নয়। কিন্তু এই অসাধ্য কাজকে সাধন করেছে কোফাম বিভাগ।

মাত্র ১০০ বর্গ ফুট ছোট্ট জমিতে করা যাবে চাষ

খুব বেশি বড় জায়গা দরকার নেই স্যাফ্রন বা কেশর (Saffron Cultivation) চাষের জন্য। মাত্র ১০০ বর্গ ফুটের মধ্যে ঘর থাকলেই কেশর চাষ করা যাবে। কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, খুব কম জায়গায় বেকার যুবক-যুবতীরা চাষ করেও ব্যাপক আর্থিক ভাবে লাভবান হতে পারবেন। মাত্র ১৫ দিনেই চাষ করে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। সূত্রে জানা গিয়েছে, কালিম্পংয়ের দাঁড়াগাঁও এলাকায় আশিটি বীজ দিয়ে পরীক্ষামূলক ভাবে চাষ করা হয়।

তিনটি পদ্ধতিতে চাষ করা হবে

সূত্রে জানা গিয়েছে, কেশর (Saffron Cultivation) চাষ তিনটি ক্ষেত্রে পদ্ধতি মেনে চাষ করা হবে। একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণাগারে, দ্বিতীয়টি কালিম্পংয়ে এবং তৃতীয়টি হল হাইড্রোফোনিক পদ্ধতিতে চাষ করা হবে। এই কেশর চাষের প্রশিক্ষণ উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দেওয়া হবে। সাধারণত অক্টোবর মাসে কেশরের বীজে ফলন ফলানো হবে। ফুল পেতে সময় লাগবে ১৫ থেকে ২০ দিন।

বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য

উত্তরবঙ্গ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কোফাম বিভাগের বায়ো টেকনিস্ট অমরেন্দ্র পাণ্ডে বলেছেন, “১০০ বর্গফুট জায়গায় ১০০০ গাছ লাগানো যাবে। বাজারে ১ কেজি কেশরের দাম ৩ লাখ টাকা। পাহাড়ে এই কেশরের চাষ ভালো হবে। পরীক্ষায় আরও সফলতা আসলে সমতলেও চাষের চেষ্টা করা হবে।”এই প্রসঙ্গে কৃষক মহেন্দ্র ছেত্রী বলেন, “কেশর (Saffron Cultivation) খুব লাভ জনক ফলন শুনেছি। আগেও চাষের কথা ভেবে ছিলাম। কিন্তু বীজ পাইনি। বিশ্ববিদ্যালয় বীজ দিয়েও আমাকে সাহায্য করেছে। চাষের সাফল্যে আমি আরও খুশি হবো।”

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles