মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল কংগ্রেসের পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের পর এবার কংগ্রেসের ধীরজপ্রসাদ সাহু। ঝাড়খণ্ডের এই সাংসদের ডিস্টিলারি সংস্থায় হানা দিয়ে আয়কর দফতর এখনও পর্যন্ত উদ্ধার করেছে নগদ ২৫০ কোটি টাকা। এই ইস্যুতে এবার শুধু কংগ্রেস নয়, নতুন 'ইন্ডি' জোটকেই নিশানা করলেন বিজেপির (BJP) রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। শনিবার বালুরঘাটে সাংবাদিক সম্মেলন করে নয়া ওই জোটের মুখ বলে প্রচারিত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সরাসরি চ্যালেঞ্জও ছুড়ে দিয়েছেন তিনি।
কী বললেন সুকান্ত? (BJP)
তিনি বলেন, "কংগ্রেস বলতে মনে রাখবেন কংগ্রেস কিন্তু একা নয়। মোদি বিরোধী যে একটি গ্রুপ তৈরি হয়েছে, যারা নিজেদেরকে I.N.D.I.A বলছে, তাদের লিডার হচ্ছে সোনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধী, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে বিভিন্ন নেতানেত্রী। এরা বাংলায় বিজেপির (BJP) বিরোধিতা করে বড় বড় কথা বলে, দেশ নাকি আম্বানি-আদানিদের বিক্রি করে দিয়েছে। আর ৬ই ডিসেম্বর থেকে যে কংগ্রেস সাংসদের বাড়িতে আইটি রেড চলছে, তাতে আমরা দেখতে পাচ্ছি, তাঁর বাড়ি থেকে ২০০ কোটি টাকার বেশি ক্যাশ উদ্ধার হয়েছে। আলমারির থাকে থাকে সাজানো টাকা। ৬ই ডিসেম্বর ওড়িশা, পশ্চিমবঙ্গ এবং ঝাড়খণ্ডে রেড চলেছে। বিভিন্ন লোকেশনে তাঁর সম্পত্তি রাখা ছিল। ৪০ জনের আইটি অফিসারের টিম রেড করে এবং এই কোটি কোটি টাকা উদ্ধার হয়। এর আগে এই রকম রেড করে এত টাকা উদ্ধার খুব কম উদ্ধার হয়েছে। ২০০ কোটি টাকা পার হয়ে গেছে এখনও পর্যন্ত। আরও টাকা উদ্ধার হবে। তাহলে কি এই বিষয়টাকে ধামাচাপা দেওয়ার জন্যই রাহুল গান্ধী-সোনিয়া গান্ধী মহুয়া মৈত্র মহুয়া মৈত্র করছেন?"
নিশানায় মমতা
সুকান্ত মজুমদার (BJP) বলেন, "এর আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বঙ্গারু লক্ষ্মণের বিরুদ্ধে এক লক্ষ টাকা নেওয়ার অভিযোগে এনডিএ থেকে বেরিয়ে গিয়েছিলেন। আজ তাঁর জোটের কংগ্রেস সাংসদের বাড়ি থেকে ২০০ কোটি টাকারও বেশি টাকা উদ্ধার হয়েছে। তাহলে কি মুখ্যমন্ত্রী ২০০ কোটি টাকাকে এক লক্ষ টাকার থেকে কম মনে করছেন? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আবার সার্টিফিকেট দেবেন পার্থ চ্যাটার্জির মতো, উনি চুরি করেননি, সৎ মানুষ, ওনাকে ফাঁসানো হয়েছে। আজকে তাই আমরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এই বাংলা থেকে প্রশ্ন করতে চাই, আপনি এক সময় বঙ্গারু লক্ষণের বিরুদ্ধে এক লক্ষ টাকা নেওয়ার অভিযোগে (যদিও সেটা প্রমাণও হয়নি) NDA ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছিলেন। আজকে এই ২০০ কোটি টাকার বেশি উদ্ধার হওয়া ধীরাজ সাহু সম্পর্কে আপনার মত কী? আপনার দল কি পাশে দাঁড়াবে, নাকি সংবর্ধনা দেবে, নাকি বঙ্গরত্ন দেবে? এই প্রশ্নের জবাব আপনারা দেবেন। এই প্রশ্ন জনগণের সামনে বিরাট প্রশ্ন হয়ে রয়েছে। রাজনীতি মানেই কি টাকা নিজের ঘরে নিয়ে যাওয়া? পরিবার-পরিজন-আত্মীয়-স্বজনকে দিনকে দিন বড়লোক করা? এই যদি রাজনীতি হয়, তবে কংগ্রেস সহ তার বিভিন্ন সহযোগী রাজনৈতিক দলকে গোটা দেশের মানুষ যেভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে, আগামী দিনে বাংলার জনগণও তৃণমূলের চোর সরকারকে প্রত্যাখ্যান করবে।"
চাকরিপ্রার্থীদের ধরনার ১০০০ তম দিন
এই প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার (BJP) জানান, এসএলএসটি'র এই সমস্ত চাকরিপ্রার্থীরা যোগ্য। এঁদের চাকরি পাওয়া উচিত ছিল। দুর্ভাগ্যবশত তাঁরা চাকরি পাননি। এঁরা চাকরি পাবেনও না, কারণ এই সরকারের শিক্ষামন্ত্রী নিজেই জানেন না ভ্যাকান্সি কত রয়েছে। বিধানসভায় দাঁড়িয়ে কখনও বলছেন লক্ষাধিক, কখনও বলছেন ৭০০। যখন কোনও শিক্ষামন্ত্রী তাঁর মত ও অবস্থান বারবার কিছুদিন পরপর পরিবর্তন করেন, আমার মনে হয়, তাঁদের কোনও সমস্যার সমাধান হবে না। এসএসসির কথা মানুষকে ভুলে যেতে হবে। ৫০০ টাকা ও হাজার টাকার উপঢৌকন নিয়ে চুপ করে বসে থাকতে হবে।
টেনে জিভ ছিঁড়ে নেওয়ার ফরমান
তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি বিজেপির নেতানেত্রী, সহকর্মীদের টেনে জিভ ছিঁড়ে নেওয়ার ফরমান দিয়েছেন। এ প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার (BJP) জানান, তৃণমূল কংগ্রেস মানে ভাগাড়।তারা মুখ খুললে গন্ধ তো বেরোবে, এটাই স্বাভাবিক। এখানে তো চন্দনের গন্ধ আশা করা যায় না। জেলা সভাপতিকে নির্দেশ দিয়েছি, উনার বিরুদ্ধে এফআইআর করবার জন্য। কত মানুষকে স্তব্ধ করতে পারবেন, সেটাই দেখতে চাই। রহিম বক্সী সাহেবের দম দেখতে চাই, তিনি কত বিজেপি কর্মীদের লাঠিপেটা করতে পারেন।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours