মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রায় ৩২ কিলোমিটার সেচ খাল সংস্কারের নামে লক্ষ লক্ষ টাকার গাছ কেটে সাফ করে দেওয়ার অভিযোগ। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে অনুব্রত মণ্ডলের খাসতালুক বীরভূমের (Birbhum) বোলপুরে। বন দফতরের অনুমতি ছাড়াই সেচ খালের দুদিকে হাজার হাজার বড় বড় গাছ কেটে নেওয়ার অভিযোগ। সরকারের কোন দফতর বিপুল পরিমাণে গাছ কাটল? কোন খাতে গেল সেই টাকা? তার কোন সদূত্তর নেই। শাসক দলের নেতাদের মদতেই এই দুর্নীতি হয়েছে বলে বিরোধীদের অভিযোগ। ঘটনার তদন্তের দাবি করা হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা কী বললেন? (Birbhum)
বীরভূমের (Birbhum) বোলপুর থেকে কীর্ণাহার যাওয়ার রাস্তার ধারে প্রায় ৩২ কিলোমিটার একটি সেচ খাল রয়েছে। কমপক্ষে ৬ টি গ্রাম পঞ্চায়েত উপর দিয়ে বয়ে গিয়েছে সেচ খালটি। অর্থাৎ, এই খাল থেকে কংকালীতলা গ্রাম পঞ্চায়েত সহ বিপ্রটিকুরি, কীর্ণাহার ১ ও ২ গ্রাম পঞ্চায়েত, দাসকলগ্রাম ১ ও ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের মানুষ চাষের জল পেয়ে উপকৃত হন। এই খাল সংস্কার শুরু হয়েছে। আর দেখা যাচ্ছে সেচ খাল সংস্কার করতে গিয়ে দুদিকে থাকা হাজার হাজার গাছ কেটে সাফ করে দেওয়া হয়েছে। প্রায় এক মাস ধরে চলছে অপ্রয়োজনীয় ভাবে বৃক্ষ নিধন যজ্ঞ। বন দফরের কাছ থেকে কোনওরূপ অনুমতি না নিয়েই কীভাবে লক্ষ লক্ষ টাকার গাছ কেটে ফেলা হল? সরকারের কোনও দফতর এই গাছগুলি কাটল? তা এখনও কেউ কিছু বলতে পারছে না। স্থানীয় বাসিন্দা থেকে শুরু করে পথ চলতি মানুষজন জানাচ্ছেন, সেচ খালের দুদিকেই প্রচুর গাছ ছিল। ছোট-বড় গাছের জঙ্গল ছিল। সব কেটে সাফ করে দেওয়া হয়েছে। আর এই বিপুল পরিমাণে গাছ কেটে নেওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই মন খারাপ স্থানীয়দের। তাঁরা বলেন, 'চোখের সামনে প্রচুর কাছ কেটে নেওয়া হল। এত গাছ কাটার দরকার ছিল না।'
বন বিভাগের আধিকারিক কী বললেন?
বন বিভাগের বোলপুর রেঞ্জের রেঞ্জার প্রদীপ হালদার বলেন, 'গাছ কেটে নেওয়ার কোনও তথ্য আমরা পাইনি। এখন শুনলাম গুঁড়ি পরে আছে শুধু। আমাদের কাছে কোনও অনুমতি নেওয়া হয়নি।'
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours