মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মরণোত্তর পদ্মশ্রী সম্মানে ভূষিত করা হল পুরুলিয়ার (Purulia) মুখোশ শিল্পী প্রয়াত নেপালচন্দ্র সূত্রধরকে। নিজের জীবন দিয়ে ছৌ নাচের মুখোশ নির্মাণের শিল্পে বিশেষ অবদান রেখে গিয়েছেন তিনি। এটা তারই স্বীকৃতি। ভারত সরকারের ২০২৪ সালের পদ্মশ্রী সম্মানে ভূষিত হয়েছেন তিনি। এই খবরে পরিবারের মধ্যে ব্যাপক উচ্ছ্বাস। কিন্তু সেই সঙ্গে রয়েছে আক্ষেপও।
মাত্র ৮ বছর বয়স থেকে মুখোশ বানাতেন (Purulia)
নেপালচন্দ্র সূত্রধর পুরুলিয়ার (Purulia) চড়িদা গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন। মাত্র আট বছর বয়স থেকে নিজের হাতে ছৌ নাচের মুখোশ নির্মাণের কাজ করতেন। তাঁর নির্মিত মুখোশ দেশে-বিদেশে ব্যাপক সমাদৃত হয়েছিল। পরিবারে গত তিন পুরুষ ধরে এই মুখোশ বানানোর কাজ চলে বলে জানা গিয়েছে। একাধিক জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক কর্মশালায় প্রশিক্ষকের কাজ করেছেন তিনি। তাঁর মৃত্যুর পর এই সম্মাননাতে পরিবারের মধ্যে খুশি সবাই। কিন্তু সেই সঙ্গে যিনি এই সম্মাননার অধিকারী, তিনি আজ এই পৃথিবীতে নেই, এটা ভেবেই আক্ষেপের সুর পরিবারের সদস্যদের মধ্যে।
২০২৩ সালের নভেম্বরে মৃত্যু হয়েছিল তাঁর
পুরুলিয়ার (Purulia) এই খ্যাতনামা শিল্পী ছৌ নাচের মুখোশ নির্মাণে বিরাট পারদর্শী ছিলেন। অপরূপ চোখ ধাঁধানো মুখোশ নির্মাণে ব্যাপক সুখ্যাতি অর্জন করেছিলেন। তিনি গত ২০২৩ সালের নভেম্বর মাসে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। এবার এই শিল্পীকে মরণোত্তর পদ্মশ্রী সম্মানে ভূষিত করল ভারত সরকার।
পরিবারের বক্তব্য
উল্লেখ্য ছৌ নাচ হল পুরুলিয়ায় (Purulia) খুব বিখ্যাত একটি লোকনৃত্য শিল্প। দেশে-বিদেশে এই লোকনৃত্য ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। নেপালচন্দ্র সূত্রধরের নাতি জয়ন্ত সূত্রধর বলেন, “আমরা দাদুর এই সম্মানে পরিবারের পক্ষ থেকে বিশেষভাবে খুশি। দাদু আজ জীবিত থাকলে এই সম্মানে আমরা আরও বেশি আনন্দিত হতাম।” এলাকাবাসীর বক্তব্য, “ছৌ নাচের জন্য এই মুখোশ একান্ত অপরিহার্য। নেপালবাবু এই মুখোশের জন্য অত্যন্ত পরিচিত ছিলেন। গ্রামের এই শিল্পী হিসাবে তাঁর সম্মান জেলাবাসীর কাছে শিল্পীর মুকুটে নয়া পালকের সমতুল্য।”
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours