Anemia: সন্তানের বয়স বারো পেরিয়েছে? কোন পাঁচ খাবার নিয়মিত খেলে কমবে রক্তাল্পতার ঝুঁকি? 

শিশুকালের মতোই বয়ঃসন্ধিকালে বাড়তি যত্নের প্রয়োজন, কীভাবে সতর্ক হবেন?
Anemia
Anemia

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্তানের খাদ্যাভ্যাস নিয়ে বাড়তি দুশ্চিন্তা করেন অনেক বাবা-মা। ঠিকমতো পুষ্টি না পেলে শরীরের বিকাশেও একাধিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। তবে শিশুকালের মতোই বয়ঃসন্ধিকালে বাড়তি যত্নের প্রয়োজন। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, বছর বারো বয়স পেরলেই বাড়তি সজাগ থাকা জরুরি। কারণ এই বয়সের পর থেকেই শরীরে একাধিক হরমোনের পরিবর্তন দেখা যায়। তাই শরীর ও মনের একাধিক নতুন জটিলতা দেখা দিতে পারে‌। তাই সন্তানকে সুস্থ রাখতে দরকার বাড়তি যত্নের। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, বয়ঃসন্ধিকালের সময় থেকেই অনেকে রক্তাল্পতার (Anemia) সমস্যায় ভোগে। বিশেষত মেয়েদের এই সমস্যা বেশি দেখা যায়। তাই বছর বারো পেরলেই বাড়তি সতর্কতা জরুরি। খাবারের দিকে বিশেষ নজরদারি প্রয়োজন। 

কোন পাঁচ খাবার নিয়মিত দেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা? (Anemia)

দিনে অন্তত চারটে খেজুর! 

চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, নিয়মিত চারটে খেজুর খাওয়া জরুরি। তাদের পরামর্শ, বয়ঃসন্ধিকালে থাকা ছেলেমেয়েদের নিয়মিত খেজুর খাওয়া দরকার। তাহলে শরীরের একাধিক চাহিদা পূরণ হবে। খেজুর খেলে আয়রনের ঘাটতি সহজেই পূরণ হয়। এছাড়াও খেজুরে রয়েছে একাধিক খনিজ পদার্থ। তাই শরীরে এনার্জির জোগান দিতে নিয়মিত খেজুর খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। দিনের যে কোনও সময় চারটে খেজুর খেলে শরীর সুস্থ থাকবে, এমনই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল (Anemia)। 

প্রাতঃরাশে থাকুক কলা! 

প্রত্যেক দিনের সকালের জলখাবারে একটা কলা খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, কলায় থাকে প্রচুর পরিমাণ আয়রন। নিয়মিত একটা কলা খেলে শরীরে আয়রনের চাহিদা পূরণ হয়। এতে রক্তাল্পতার ঝুঁকি অনেক কমে‌ (Anemia)। 

পাতে নিয়মিত থাকবে মোচা, আলু, ব্রোকলি, পালং শাকের মতো সব্জি! 

শরীরে রক্তাল্পতার ঝুঁকি কমাতে এবং শরীর সুস্থ রাখতে নিয়মিত সবুজ সব্জি খেতে হবে বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকেরা। বিশেষত টমেটো, আলু, পালং শাক, মোচা, ব্রোকলির মতো সব্জি থাকা জরুরি। এই ধরনের সব্জিতে প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকে। তাই এই সবজি নিয়মিত খেলে সহজেই আয়রনের চাহিদা পূরণ হবে। শরীরের দূর্বলতা কমবে। ক্লান্তি ভাব থাকবে না (Anemia)। 

মাছ খেতে হবে! 

চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, মাছে থাকে প্রচুর পরিমাণে আয়রন। তাই নিয়মিত মাছ খেলে শরীরে আয়রনের জোগান বজায় থাকে। বাড়তি এনার্জি পাওয়া যায়। তাই বয়ঃসন্ধিকালে থাকা ছেলেমেয়েদের রোজ মাছ খাওয়ানোর পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ। পাশপাশি মাছে থাকে ফসফরাস, ওমেগা থ্রি-র মতো উপাদান।‌ যা হাড় শক্তিশালী করতে সাহায্য করে‌ (Anemia)। 

সোয়াবিন কমাবে ঝুঁকি! 

পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, নিয়মিত সোয়াবিন খেলেও আয়রনের ঘাটতি কমবে। সোয়াবিন একদিকে প্রোটিনের চাহিদা পূরণ করবে আবার রক্তাল্পতার ঝুঁকিও কমাবে। তাই বারো বছর পেরলেই সন্তানের ডায়েটে নিয়মিত সোয়াবিন রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ (Anemia)।

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles