মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “সিয়াচেন (Siachen) ভারতের বীরত্ব ও সাহসের রাজধানী”, বলে মন্তব্য করলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। বিশ্বের সর্বোচ্চ যুদ্ধক্ষেত্র সিয়াচেন পরিদর্শনে গিয়ে এমনই বললেন, প্রতিরক্ষামন্ত্রী (Defence Ministar)। সোমবার সকালেই দিল্লি থেকে সিয়াচেনের উদ্দেশ্যে রওনা দেন তিনি। সিয়াচেনে পৌঁছে তিনি বেস ক্যাম্পে (Siachen base camp) বীর সৈনিকদের স্মৃতিসৌধে পুস্তস্তবক অর্পণ করে সাহসী বীরদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
কী বললেন রাজনাথ?
রাজনাথ সিং পৌঁছতেই জওয়ানরা ‘ভারত মাতা কি জয়’ প্রতিধ্বনিতে সিয়াচেন মুখরিত করে তোলেন। এরপর সেখানকার বীর যোদ্ধাদের সঙ্গে সময় কাটান প্রতিরক্ষা মন্ত্রী। সিয়াচেন হিমবাহের কুমার পোস্টে মোতায়েন সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় করে মিষ্টিমুখও করেন তিনি। এরপর রাজনাথ সিং (Rajnath Singh) বলেন, "বিশ্বের সর্বোচ্চ যুদ্ধক্ষেত্র সিয়াচেন হিমবাহে আপনারা যেভাবে দেশকে রক্ষা করেছেন, তার জন্য আমি আপনাদের অভিনন্দন জানাই। সিয়াচেন কোনও সাধারণ জায়গা নয়। এটি দেশের সার্বভৌমত্ব ও অধ্যাবসার প্রতীক। আমাদের জাতীয় সংকল্পের প্রতিনিধিত্ব করে সিয়াচেন। আমাদের রাজধানী দিল্লি, মুম্বই আমাদের অর্থনৈতিক রাজধানী, আমাদের প্রযুক্তির রাজধানী বেঙ্গালুরু, কিন্তু সিয়াচেন বীরত্ব ও সাহসের রাজধানী।"
আরও পড়ুনঃহাইকোর্টের রায়ে বিপাকে নির্বাচন কমিশন, ভোটের ডিউটি করবেন কারা?
৪০ বছর পূর্ণ 'অপারেশন মেঘদূত'
জানা গেছে, এই অঞ্চলের সামগ্রিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে সেনাপ্রধান জেনারেল মনোজ পান্ডের সাথে এদিন সাক্ষাত করেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী। প্রসঙ্গত, ১৯৮৪ সালের ১৩ এপ্রিল ভারতীয় সেনাবাহিনীরা পাকিস্তানকে পরাজিত করে সিয়াচেনকে রক্ষা করে 'অপারেশন মেঘদূত' মিশনের মাধ্যমে। ১৩ এপ্রিল, ২০২৪ সালে 'অপারেশন মেঘদূত' ৪০ বছর পূর্ণ করেছে। সেই স্মৃতির উদযাপনেই প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর সিয়াচেন পরিদর্শন। উল্লেখ্য, প্রায় ২০ হাজার ফুট উচ্চতায় কারাকোরাম পর্বতমালায় অবস্থিত। সিয়াচেন হিমবাহ বিশ্বের সর্বোচ্চ সামরিক অঞ্চল হিসাবে পরিচিত, যেখানে সৈন্যদের তুষারপাত (snowfall) এবং প্রবল ঝড়ের সাথে প্রতিনিয়ত লড়াই করে দেশকে রক্ষা করতে টিকে থাকতে হয়।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours