মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কয়েকদিন আগে প্রচারে বেরিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়েছিলেন তৃণমূল প্রার্থী সৌগত রায়। পানীয় জলের দাবিতে পানিহাটি (Panihati) পুরসভার বাসিন্দারা রাস্তা অবরোধ করেছিলেন। ভোটের আগে মুখ পুড়েছিল তৃণমূলের। সেই ঘটনার জের মিটতে না মিটতেই ফের পানীয় জলের সমস্যা নিয়ে আন্দোলনে নামলেন পুরসভার বাসিন্দারা। আর এই ঘটনায় জোর ধাক্কা খাবে তৃণমূল। এমনটাই মনে করছে বিজেপি।
পানীয় জলের দাবিতে অনশনে বাসিন্দারা (Panihati)
দরবার করেও মিলছে না পানীয় জল। নিরুপায় এলাকাবাসী জলের দাবিতে এবার আমরণ অনশন শুরু করলেন। ঘটনাস্থল পানিহাটি (Panihati) পুরসভার ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের সুনীত বন্দ্যোপাধ্যায় রোড। পুরুষ মহিলা নির্বিশেষে শনিবার থেকে তারা লেপ কম্বল নিয়ে আমরণ অনশনে বসেছেন। লোকসভা ভোটের মুখে এহেন অনশন ঘিরে ফের প্রকাশ্যে এসেছে পানিহাটি পুরসভার বেআব্রু চিত্র। শাসক দলকে বেকায়দায় ফেলতে বিরোধীদের কটাক্ষ, যদি মানুষকে পরিষেবাই দিতে না পারে তাহলে পুরসভা রেখে লাভ কি? বরঞ্চ পুরসভাটাই তুলে দিক। গত মাসের ১৯ ও ২০ তারিখ পরপর দুদিন পানীয় জলের দাবিতে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন ঘোলা গার্লস হাইস্কুল সংলগ্ন সুনিত বন্দ্যোপাধ্যায় রোডের বাসিন্দারা। পানিহাটি পুরসভার ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের শুধু ওই এলাকায় নয়, মহম্মদ কালাচাঁদ রোড, পূর্বাঞ্চল, দ্বারিক বন্দ্যোপাধ্যায় রোডের বাসিন্দারা গত কয়েক মাস ধরে পানীয় জলের সমস্যায় ভুগছেন। সমস্যায় পড়েছেন বিস্তীর্ণ ওয়ার্ডের প্রায় ১০ হাজার মানুষ। এমন অবস্থা হয়েছে খাওয়ার জল থেকে স্নান, কাপড়া কাচার জলও কিনতে হচ্ছে। স্থানীয় পুরসভা থেকে দিদিকে বলো এমনকী ঘোলা থানাতে বিষয়টি জানানো হলেও কোনও লাভ হয়নি। তাই এবার আমরণ অনশনের পথ বেছে নিলেন এলাকার বাসিন্দারা। স্থানীয় ক্লাবের মঞ্চে তাবু খাটিয়ে তারা অনশন শুরু করেছেন। বাসিন্দাদের আন্দোলনে সামিল হয়েছেন ওই ক্লাবের সদস্যরাও। যতক্ষণ না পর্যন্ত প্রয়োজনীয় লিখিত আশ্বাস তারা পাচ্ছেন ততক্ষণ তারা অনশন চালিয়ে যাবেন। তাতে তাদের মৃত্যু হলে হবে।
আরও পড়ুন: অভিষেকের নাকি বাড়ি-গাড়ি নেই! সোনা-ব্যাঙ্ক ব্যালেন্স কত জানেন?
চেয়ারম্যান-বিধায়ক একে অপরের দিকে দায় ঠেলতে ব্যস্ত
মানুষ সমস্যায় পড়লেও সমস্যার সমাধান না করে পানিহাটির (Panihati) পুরপ্রধান মলয় রায় ও বিধায়ক নির্মল ঘোষ একে অপরের ঘাড়ে দায় ঠেলতে ব্যস্ত। বিধায়ক বলছেন, 'পুরপ্রধানের অসুস্থতার কারণে সমস্যার দিকে তিনি নজর দিতে পারছেন না। এবার আমাকেই হস্তক্ষেপ করতে হবে। আমি অনশনকারীদের সঙ্গে কথা বলবো'। আবার পুরপ্রধান বলছেন, ' বিধায়ক আমার অসুস্থতার কথা বলে আদতে পুরসভা এবং দলকে বিড়ম্বনায় ফেলছেন। কিন্তু ব্যর্থতা কোথায় তা খুঁজে বের করছেন না'। যা শুনে বাসিন্দারা বলছেন, 'রাজায় রাজায় যুদ্ধ হয় উলুখাগড়ার প্রাণ যায়'। বিরোধীদের কটাক্ষ, আসলে সমস্যার মেটানোর নামে তৃণমূলেরই একপক্ষ অপর পক্ষকে দোষারোপ করে ক্ষমতা দখলের লড়াইয়ে টিকে থাকতে চাইছে। যার ফল ভুগছে সাধারণ মানুষ।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours