মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গণনা কেন্দ্রে (Loksabha Election 2024 Counting) কোনও অস্থায়ী কর্মী নিয়োগ করা যাবে না। নির্বাচন কমিশনকে তা নিশ্চিত করতে বলল কলকাতা হাইকোর্ট। সোমবার বিচারপতি অমৃতা সিনহার নির্দেশ, গণনা কেন্দ্রের সিভিক ভলেন্টিয়ার, পার্শ্বশিক্ষক, আঙ্গনওয়াড়ি কর্মী বা ওই জাতীয় কোন অস্থায়ী কর্মী নিয়োগ করা যাবে না। নির্বাচন কমিশনের যে নির্দেশিকা রয়েছে তা মেনে গণনা কেন্দ্রে কর্মী নিয়োগ করতে হবে।
গণনায় পুরসভার কর্মীদের ব্যবহারের অভিযোগ
প্রসঙ্গত ২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচনের স্মৃতি আজও টাটকা বিজেপি প্রার্থীদের মনে। বিজেপির অভিযোগ ছিল সেবার গণনায় অস্থায়ী কর্মীদের নিয়োগ করে গণনা কেন্দ্রেও কারচুপি করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু এবার হাওড়া ও বালি পুরসভায় পুরসভার চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের (Loksabha Election 2024 Counting) গণনার কাজে নিয়োগ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন হাওড়ার বিজেপি প্রার্থী রথীন চক্রবর্তী। তিনি হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন।
আরও খবর: ‘‘কোর্ট, এক্সিট পোল মানেন না, ৪ তারিখ তো মানতেই হবে’’, মমতাকে তোপ দিলীপের
বিচারপতি অমৃতা সিনহার বেঞ্চে ওই মামলার শুনানি হয়। মামলাকারীর আইনজীবী হাইকোর্টে সওয়াল করেন, গণনা কেন্দ্রের দায়িত্বে পুরসভার অস্থায়ী কর্মীদের নিয়োগ করা হয়েছে। কমিশনের আইনজীবী জানান, গণনার টেবিলে কোন অস্থায়ী কর্মী থাকবে না। ইতিমধ্যেই নির্বাচন কমিশনের তরফে এই সংক্রান্ত নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। সেই নির্দেশিকা যাতে বাস্তবায়িত হয় সেই ব্যবস্থা করা হবে।
হাইকোর্টে কমিশনের জবাব (Loksabha Election 2024 Counting)
হাইকোর্টে কমিশন জানিয়েছে প্রথম, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় পোলিং অফিসারদের মধ্যে কেউই চুক্তিভিত্তিক কর্মী নন। গণনার কাজে চুক্তিভিত্তিক কাউকে নেওয়া হয়েছে এমন কোন প্রমাণ মামলাকারীদের তরফে পাওয়া যায়নি। এর পরেই উচ্চ আদালত নির্দেশ দেয় কোথাও ভোট (Loksabha Election 2024 Counting) গণনায় যাতে অস্থায়ী কর্মীদের ব্যবহার না করা হয়। তার নিশ্চিত করতে হবে কমিশনকে। শুধু রথীন চক্রবর্তী নয় নির্বাচন কমিশনের নির্দেশকে অমান্য করে অস্থায়ী কর্মী নিয়োগ করা হয়েছে গণনার কাজে এই অভিযোগ করলেন মালদা দক্ষিণ ও উত্তর মালদা লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপির প্রার্থী খগেন মুর্মু ও শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরী। এই বিষয়ে খগেন মুর্মু বলেন, “অস্থায়ী কর্মীদের তালিকা দিয়ে লিখিত অভিযোগ করেছি নির্বাচন কমিশনের কাছে। নির্বাচনের দিন ঘোষণা হয়েছে ১৬ মার্চ। তারপর ২১ মার্চ জেলাশাসক একটি চিঠি ইস্যু করেছেন। যেখানে দেখা যাচ্ছে বেশ কিছু অস্থায়ী কর্মীকে গণনার কাছে নিয়োগ করা হয়েছে। তাঁরা সরকারি কর্মী নয়। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশকে অমান্য করেই এই করেছেন জেলাশাসক। আমরা চাই এদের দ্রুত গণনার কাজ থেকে সরানো হোক। কারণ আমরা চাই স্বচ্ছ এবং নিরপেক্ষ গণনা হোক। বিষয়টি নির্বাচন কমিশনকেও জানিয়েছি। ”
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours