মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুক্রবার কালিয়াচকের শেরশাহী মিস্ত্রিপাড়া গ্রামে বার্ড ফ্লুতে (Bird Flu) আক্রান্ত শিশুর বাড়িতে যান স্বাস্থ্য দফতরের প্রতিনিধি দল। পাশাপাশি ওই প্রতিনিধি দলের সদস্যরা স্থানীয় সিলামপুর গ্রামীণ হাসপাতালে যান। এলাকা ছাড়ার সময় প্রতিনিধি দলের সদস্যরা বলেন, আমরা শুধু নজরদারি করতেই এসেছিলাম।
মালদার কালিয়াচকে স্বাস্থ্য দফতরের প্রতিনিধি দল (Bird Flu)
গত ১২ জুন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা একটি রিপোর্ট প্রকাশ করে জানায়, পশ্চিমবঙ্গে দু'জন বার্ড ফ্লু (Bird Flu) আক্রান্ত শিশুর সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। এর মধ্যে আড়াই বছরের একটি শিশু আছে, যে অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নের বাসিন্দা। বিমানে কলকাতায় ফিরেছিল। দ্বিতীয় শিশুটি মালদার (Malda) কালিয়াচকের। তার বয়স চার বছর। দুজনেই বিরল এইচ নাইন এন টু ভাইরাসে আক্রান্ত। হু'র রিপোর্টে আরও বলা হয়েছিল, কালিয়াচকের শিশুটি বাড়ির পোলট্রি ফার্ম থেকে বার্ড ফ্লুতে আক্রান্ত হয়। এরপরই আতঙ্ক ছড়ায় রাজ্যে। শুক্রবার দীপঙ্কর মাঝির নেতৃত্বে তিনজনের এক প্রতিনিধি দল কালিয়াচকে যায়। প্রথমেই দলের সদস্যরা সিলামপুর গ্রামীণ হাসপাতালে যান। সেখানে ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক-সহ অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীদের সঙ্গে আলোচনা করেন। সেখান থেকে তাঁরা যান ওই শিশুর বাড়িতে। যদিও সেখানে ওই শিশুকে দেখতে পাননি বলে দাবি করেছেন তাঁরা।
আরও পড়ুন: বিজেপির ওপর আস্থায় গোঁসা, শহরের বরাদ্দ বন্ধ করলেন উদয়ন!
রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের প্রতিনিধি দলের কর্মকর্তা কী বললেন?
রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের প্রতিনিধি দলের পক্ষ থেকে দীপঙ্কর মাঝি বলেন, "এখানে বিভিন্ন রোগের সার্ভিল্যান্স নিয়ে আলোচনা হয়েছে। যে শিশুটি বার্ড ফ্লুতে (Bird Flu) আক্রান্ত হয়েছিল, তাকে নিয়েও আলোচনা হয়েছে। তবে, এই ভাইরাস আর কারও মধ্যে পাওয়া যায়নি। এনিয়ে আতঙ্কের কোনও কারণ নেই। যা পদক্ষেপ করার তা করা হয়েছে। কীভাবে নজরদারি চালানো হবে, তা প্রাণী কল্যাণ বিকাশ দফতর সঠিক ভাবে বলতে পারবে।"
আক্রান্ত শিশুর পরিবারের লোকজন কী বললেন?
আক্রান্ত শিশুর বাবা বলেন, "পেটে ব্যাথা নিয়ে ছেলেকে মালদা মেডিক্যালে ভর্তি করেছিলাম। কয়েকদিন চিকিৎসার পর ওকে ছেড়েও দেওয়া হয়। বাড়ি ফেরার পর ছেলে ফের অসুস্থ হয়ে যায়। ওকে আবার মালদা মেডিক্যালে নিয়ে যাই। চিকিৎসকরা জানান, ছেলেকে পোকা কামড়েছে। তা থেকে গোটা শরীরে ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে। ছেলেকে এখান থেকে নীলরতনে রেফার করে দেওয়া হয়। সেখানে দু'মাস ওর চিকিৎসা চলে। জানা যায়, এইচ নাইন এন টু ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। সব কিছু বিক্রি করে প্রচুর টাকা ঋণ নিয়ে ছেলের চিকিৎসা করেছি। তাই সরকারের কাছে আমার আবেদন, আমাকে আর্থিক সহায়তা করা হোক। অথবা বিনা পয়সায় অক্সিজেনটুকু দেওয়া হোক।"
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours