Mummy: মিশরের আসোয়ান শহরে একসঙ্গে ১৪০০ মমি উদ্ধার

Aswan: মিশরে উদ্ধার হওয়া মমি কাদের, খোঁজ চলছে
aswan_mummy
aswan_mummy

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মিশরের একটি শহর থেকে ১৪০০ মমির খোঁজ পেয়েছেন পুরাতত্ববিদরা। মোট ৩৬ টি কবর থেকে ১৪০০ মমি (Mummy) উদ্ধার হয়েছে। জানা গিয়েছে প্রায় ৯০০ বছর ধরে এই কবর ব্যবহার হয়েছিল। যাদের মৃতদেহ মমি বানিয়ে কবর দেওয়া হয়েছিল তাঁরা সংক্রামক রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছিলেন।

আসোয়ান শহর থেকে উদ্ধার হাজারো মমি (Mummy)

যেখান থেকে মমি পাওয়া গিয়েছে সেই শহরটিকে আসোয়ান (Aswan) নামে জানা যায়। যার পুরোনো নাম ছিল সোয়ান। স্থানীয় ভাষায় সোয়ানের অর্থ হল বাজার। এই শহর ৪৫০০ বছর আগে তৈরি হয়েছিল। বাজারের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক ব্যবসা-বাণিজ্য, খননকার্য হত। এমনকি মিশরের খুব গুরুত্বপূর্ণ সামরিক এলাকা ছিল সোয়ান। নীল নদীর পূর্ব তীরে অবস্থিত এই শহরে মিশরের পাশাপাশি রোমান, গ্রীক, পার্সি এমনকি আফ্রিকান মানুষের বাস করেছেন। পুরাতত্ত্ববিদরা পাঁচ বছর ধরে এই ভূখণ্ডে কাজ করেছেন। সাইন্স টাইমসের রিপোর্ট অনুসারে আগা খান তৃতীয়ের সমাধিস্থলের পাশে যে পাহাড় রয়েছে সেখানে এই প্রাচীন মমির (Mummy) কবরস্থান রয়েছে। কবর দেওয়ার ক্ষেত্রেও সামাজিক শ্রেণীর খেয়াল রাখা হয়েছিল। অভিজাত শ্রেণীর মানুষের কবর চূড়ার দিকে অবস্থিত ছিল। অন্যদিকে মধ্যবিত্তদের কবর নিচের দিকে সমাধিস্ত করা হয়েছিল।

৯০০ বছর ব্যবহার হয় কবর স্থল

পুরাতত্ত্ববিদরা জানিয়েছেন এই কবর ৬০০ খ্রিস্টপূর্ব থেকে তৃতীয় শতক পর্যন্ত এই কবর ব্যবহার হয়েছে। সেই সময় কলেরা, প্লেগ, বসন্ত রোগ সহ আরও বহু রোগের প্রকোপ দেখা দিত। যারা এই সকল রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যেতেন তাঁদের এখানে মমি (Mummy) বানিয়ে সমাধি দেওয়া হত। এই সময়টি ইতিহাসের দিক থেকে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সেই সময় এখানে পার্সি, গ্রীক, টলেমিক এবং এমনকি রোমান সাম্রাজ্যও এই এলাকায় বিরাজ করছিল। এই কবর মিশরের এমন একটি শহর থেকে পাওয়া গিয়েছে যাকে মৃতকে শহরের সঙ্গে তুলনা করা হচ্ছে। প্রজেক্ট ডিরেক্টর পেট্রিজিয়া পিয়াসেন্টিনি জানিয়েছেন এই মমি আসলে মিসিং লিংক।

আরও পড়ুন: এক বছর টানা বিলাসবহুল ক্রুজ জাহাজে, স্বপ্ন পূরণ কেভিনের

মিশর সাম্রাজ্যের পতনের পরেও কেন মমি করা হচ্ছিল তা বোঝার চেষ্টা চলছে। মিশর সাম্রাজ্যের পতনের পরেও মানুষ এই রীতি বহন করে চলছিলেন। সমাধিক্ষেত্রে থেকে বহু সামগ্রী উদ্ধার হয়েছে। সেগুলি পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হবে। গত বছর এই অঞ্চল থেকে একাধিক মমির উপর থেকে গ্রীক ভাষায় মৃতের নামের ফলক পাওয়া গিয়েছিল। এবার যে স্মাধিস্থলের খোঁজ মিলেছে সেটি ২ লক্ষ ৭০ হাজার ফুট চওড়া।

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles