মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্জাবে (Punjab) ধান সংগ্রহে গুদামের (Paddy Storage) ঘাটতি রয়েছে। সম্প্রতি এমনই কিছু প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে সংবাদ মাধ্যমের একাংশে। এই প্রতিবেদনগুলিকে ভুল তথ্য বলে উড়িয়ে দিল কেন্দ্র। সরকারের দাবি, এর পিছনে নিজস্ব স্বার্থ রয়েছে। রবিবার কেন্দ্রীয় খাদ্যমন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী জানান, পর্যাপ্ত গুদাম তৈরি করা সরকারের দায়িত্ব।
কী বললেন মন্ত্রী?
তিনি বলেন, “আমি স্পষ্টভাবে বলতে চাই যে গুদাম তৈরি করা আমাদের দায়িত্ব। আমরা এ ব্যাপারে যত্নবান।” মন্ত্রী যে সময় সাংবাদিকদের সামনে এসব বলছেন, সেই সময় খাদ্য সচিব সঞ্জীব চোপড়া এবং এফসিআই চেয়ারম্যান বণিতা রত্ন শর্মাও উপস্থিত ছিলেন। জানা গিয়েছে, বর্তমানে পঞ্জাবে ১৪ লাখ টন ধান মজুত করার ক্ষমতা রয়েছে। নভেম্বরের ১ তারিখের মধ্যে এটি উন্নীত হবে ১৬ লাখ টনে। বেসরকারি উদ্যোগের মাধ্যমে অতিরিক্ত ৩১ লাখ টন সঞ্চয় ক্ষমতা তৈরি করা হচ্ছে।
মন্ত্রীর পরিসংখ্যান
রীতিমতো পরিসংখ্যান দিয়ে এদিন মন্ত্রী জানান, ৩ হাজার ৮০০ ধানকল মালিক ধান মজুতের জন্য আবেদন করেছেন। এর মধ্যে ৩ হাজার ২৫০ জনকে ইতিমধ্যেই ধান থেকে চাল করার জন্য স্টক বরাদ্দ করা হয়েছে। সরকার ৯,৮১৯.৮৮ কোটি টাকা ক্লিয়ার করে দিয়েছে। এর মধ্যে আবার ৭ হাজার ৬৪১ কোটি টাকা কৃষকদের কাছে পৌঁছেও গিয়েছে (Punjab)। জোশী জানান, এফসিআই চেয়ারম্যানের অধীনে একটি উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠন করা হয়েছে। এটি ফি সপ্তাহে মজুত ক্ষমতা ও মুভমেন্ট প্ল্যান পর্যবেক্ষণ করবে।
আরও পড়ুন: নন্দীগ্রামে ফের তৃণমূলকে গোল দিলেন শুভেন্দু, সমবায়ে জয়ী বিজেপি
তিনি জানান, অক্টোবরে ন্যাশনাল মুভমেন্ট লক্ষ্যমাত্রা ধার্য হয়েছে ৩৪.৭৫ লাখ টন। এর মধ্যে পাঞ্জাবকে বরাদ্দ করা হয়েছে ৪০ শতাংশ। মন্ত্রী বলেন, “সরকার পিডিএসের মাধ্যমে ও চাহিদার ভিত্তিতে তামিলনাড়ুর মতো রাজ্যগুলিতে চাল বিতরণ করছে।” তিনি বলেন, “২০১৬ সাল থেকে পিআর-১২৬ ধানের জাতটি কোনও সমস্যা ছাড়াই চাষ করা হচ্ছে। জাতের পার্থক্য (Paddy Storage) সত্ত্বেও জাতীয় ওটিআর (আউট-টার্ন রেশিও) মান ৬৭ শতাংশই রয়ে গিয়েছে (Punjab)।”
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours