Bangladeshi Hindus: ত্রাসের রাজত্ব বাংলাদেশে! চট্টগ্রামে হিন্দুদের ওপর হামলা সেনার, জখম ১৫০, গ্রেফতার ৮০

Hindus Under Attack: কেন বাংলাদেশে বার বার ঘটছে হিন্দুদের ওপর হামলা?...
Bangladesh_(1)
Bangladesh_(1)

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইসকনের নামে এক কুৎসামূলক ফেসবুক পোস্টকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশের (Bangladesh) চট্টগ্রাম নগরীর হাজারি গলিতে তুলকালাম কাণ্ড ঘটেছে। ফেসবুক স্ট্যাটাসকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা তৈরি হয়। বিক্ষোভকারীদের ওপর হামলা- অ্যাসিড নিক্ষেপ এবং গভীর ও রাত পর্যন্ত হাজারি গলিতে অভিযানের নামে যৌথ বাহিনী তাণ্ডব চালায় বলে অভিযোগ।

ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Bangladesh)

বাংলাদেশের (Bangladesh) সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী, চট্টগ্রাম পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে যে দিনকয়েক আগে ইসকন নিয়ে ফেসবুকে একটি বিতর্কিত পোস্ট করেন মহম্মদ ওসমান গনি এক ব্যক্তি। দাবি, ইসকন সম্পর্কে লেখা হয়, এটি হিন্দু জঙ্গি সংগঠন এবং ভারতের এজেন্সি 'র'-এর হয়ে কাজ করে। এই পোস্টকে ঘিরে হিন্দুধর্মের (Hindu) মানুষের মধ্যে তুমুল ক্ষোভের সঞ্চার হয়। ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, চট্টগ্রাম পুলিশের তরফে দাবি করা হয়েছে, মঙ্গলবার ওই ব্যক্তির দোকানে হামলা চালানো হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় যৌথ বাহিনী। ওই ব্যক্তিকে সরিয়ে নেন যৌথ বাহিনীর সদস্যরা। তাতে ক্ষোভের মাত্রা আরও বৃদ্ধি পায়। ওই ব্যক্তিকে তাঁদের হাতে তুলে দেওয়ার দাবি জানায় উন্মত্ত জনতা।

ভীত-সন্ত্রস্ত হিন্দুরা এলাকাছাড়া...

সেনা-পুলিশের হামলায় কমপক্ষে দেড় শতাধিক হিন্দু ধর্মাবলম্বী আহত হয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। মঙ্গলবার রাতের ঘটনায় সেনা-পুলিশের যৌথ বাহিনী হামলাকারীদের তালিকা তৈরির জন্য বাড়ি বাড়ি তল্লাশি শুরু করেছে। ৮০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারি এড়াতে এলাকা ছাড়া বহু হিন্দু পুরুষ।স্থানীয় সূত্রের খবর, হাজারি গলি ছাড়াও চট্টগ্রাম শহরের অন্যত্রও হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন ভীত সন্ত্রস্ত। বিশেষ করে আওয়ামী লিগের সমর্থকেরা অনেকেই নিরাপত্তা বাহিনী এবং জামাতের হুমকির মুখে এলাকা ছেড়েছেন। 

আরও পড়ুন: আমেরিকার নয়া প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে অভিনন্দন হাসিনার, কৌশলী বার্তা আওয়ামী লিগের

উচ্ছেদ করতে পূর্ব-পরকল্পিত হামলা !

এই হাজারি গলিতে (Bangladesh) স্বর্ণকার ও চট্টগ্রামে পাইকারি ওষুধের বাজার রয়েছে, যার কমপক্ষে ৭০ ভাগ ব্যবসায়ী হিন্দু। রয়েছে কয়েকটি মন্দিরও। মূলত মহামূল্যবান এই ব্যবসা কেন্দ্র থেকে হিন্দুদের উচ্ছেদ করে তা দখল করতেই চট্টগ্রামে সনাতনীদের ওপর সুপরিকল্পিত হামলা বলে অনেকেই অভিযোগ করছেন। সংখ্যালঘু হিন্দুদের অভিযোগ, সরাসরি মুসলিম ও জামাত সমর্থিত ব্যবসায়ীদের পক্ষ নিয়েছে সেনা, পুলিশ-সহ যৌথ বাহিনী এবং ইউনূস প্রশাসনের লোকজন। তাদের আরও দাবি, মঙ্গলবারের ঘটনাকে হাতিয়ার করে তারা পুলিশ ও সেনাকে কাজে লাগায়।

কী বলছেন হিন্দু ব্যবসায়ীরা?

স্থানীয় হিন্দুদের দাবি, চট্টগ্রামের হাজারি গলি এলাকায় বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে বাংলাদেশের যৌথ বাহিনীর সদস্যদের সংঘর্ষ হয়। অভিযোগ, রাতে যৌথ বাহিনীর সদস্যরা হিন্দু দোকানিদের বাড়িতে ঢুকে লাঠিপেটা করে। আহতদের নব্বই ভাগই হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ। সংঘর্ষ চলাকালে সেনা-পুলিশ নির্বিচারে গুলি চালায়। অনেক দোকান মালিক ও কর্মচারীকে আটক করা হয়েছে। রাতের দিকে ওই এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হলেও সকাল নাগাদ তা শিথিল করা হয়। সিল করা হয়েছে বহু দোকান। অন্যদিকে, যৌথ বাহিনীর অভিযোগ, পুলিশ ও সেনাকে লক্ষ্য করে ইট-পাথর ছোড়া হয়েছে। যৌথ বাহিনীর কয়েকজন সদস্য আহত হয়েছেন।

সেনাবাহিনী কি গণহত্যা শুরু করেছে?

ব্যারিস্টার এবং সলিসিটর নিঝুম মজুমদার অভিযোগ করেছেন, ‘‘চট্টগ্রামের হাজারি গলিতে ঘরে-ঘরে ঢুকে সেনাবাহিনী হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের হেনস্থা করছে, গ্রেফতার করছে। সেনাবাহিনী কি গণহত্যা শুরু করেছে? ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। সনাতনীরা জেগে উঠুন।’’ এসবের মাঝেই ইসকনের নাম জড়িয়ে তাদেক বিপাকে ফেলা এবং সংগঠনের সামাজিক ভাবমূর্তিকে ক্ষতিগ্রস্ত করার অপচেষ্টা চলছে বলে মন্তব্য করেছেন ইসকন বাংলাদেশের নেতৃবৃন্দ। বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর লাগাতার হামলার ঘটনার প্রতিবাদে সামনের সারিতে দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ আন্দোলনের নেতৃত্ব দিচ্ছেন যে সাধু, সেই চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ সরকার ইতিমধ্যেই দেশদ্রোহিতার ধারায় মামলা দায়ের করেছে। ওই মামলা প্রত্যাহারের দাবিতেও হিন্দুরা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে।

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles