Abhishek Banerjee: ঠাকুরনগরে তুমুল বিক্ষোভ মতুয়াদের, অভিষেককে গো-ব্যাক স্লোগান

Abhishek Banerjee: মূল মন্দিরে ঢুকতেই পারলেন না অভিষেক, দেখানো হল কালো পতাকা, উঠল চোর চোর স্লোগান
Abhishek_Banerjee_(8)
Abhishek_Banerjee_(8)

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক সময় মতুয়ারা ছিলেন তৃণমূলের ভোট ব্যাঙ্ক। গত লোকসভা নির্বাচনের পর থেকেই তৃণমূলের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন মতুয়ারা। গত বিধানসভাতেও মতুয়াদের আস্থা ফিরে পায়নি তৃণমূল। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে হারানো মাটি ফিরে পেতে মরিয়া চেষ্টা চালান তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। কিন্তু মতুয়াদের পীঠস্থান ঠাকুরনগরে এসে অভিষেককে কার্যত মুখ ঝামটা খেতে হল। মন্দিরে ঢোকার আগেই তুমুল বিক্ষোভের মুখে পড়েন তিনি। অভিষেককে ঠাকুরবাড়িতে ঢুকতেই দেওয়া হবে না বলে স্লোগান তোলেন মতুয়ারা। শুধু তাই নয়, অভিষেক আসতেই তাঁর সামনে ব্যাপক বিক্ষোভ দেখান মতুয়ারা। কালো পতাকা দেখানো হয়। কার্যত বিক্ষোভের জেরে অভিষেক মতুয়াদের মন্দিরে ঢুকতে পারেননি। মূল মন্দিরের দরজা ভিতর থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয়। ফলে, মূল মন্দিরে পুজো না দিয়েই অভিষেককে ফিরতে হয়।

ঠিক কী ঘটেছে?

তৃণমূলে 'নবজোয়ার’ কর্মসূচি নিয়ে রবিবার ঠাকুরনগরে আসার কথা ছিল অভিষেকের (Abhishek Banerjee)। তার আগে পাল্টা প্রস্তুতি নিয়েছিল অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসংঘ। মতুয়াদের আরাধ্য হরিচাঁদ ও গুরুচাঁদ ঠাকুরের নাম বিকৃতভাবে উচ্চারণ করার জন্য আজও মুখ্যমন্ত্রী ক্ষমা না চাওয়ায় ঠাকুরবাড়িতে অভিষেক পুজো দিতে এলে তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখানো হবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন মতুয়ারা। অভিষেক আসার আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশে ‘ধিক্কার’ পোস্টারেও ছেয়ে গিয়েছিল ঠাকুরবাড়ি এলাকা। এদিন বিকেল ৪টে নাগাদ ঠাকুরনগরে পৌঁছয় অভিষেকের কনভয়। ঠাকুরবাড়ির সামনেই অনুগামীদের নিয়ে হাজির ছিলেন বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর। সঙ্গে ছিলেন বনগাঁ দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক অশোক কীর্তনিয়া। অভিষেক ঠাকুরবাড়িতে পৌঁছতেই শান্তনু মূল মন্দিরের দরজা ভিতর থেকে বন্ধ করে দেন বলে অভিযোগ। বাইরে তৃণমূল কর্মী এবং মতুয়া ভক্তদের মধ্যে বচসা বেধে যায়। পুলিশের সামনেই ভেঙে ফেলা হয় তোরণ। অভিষেককে দেখে চোর, চোর স্লোগান ওঠে। কালো পতাকা দেখানো হয়। আর মতুয়াদের তুমুল বিক্ষোভের জেরে হরিচাঁদ ঠাকুরের স্মৃতিবিজড়িত মন্দিরে আর প্রবেশ করা হয়নি অভিষেকের। সেই সময় আগাগোড়াই তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের পাশে ছিলেন প্রয়াত কপিলকৃষ্ণ ঠাকুরের পত্নী তথা প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ মমতাবালা ঠাকুর। বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষার পরে পাশেই অন্য একটি মন্দিরে পুজো দেন অভিষেক।

কী বললেন অভিষেক (Abhishek Banerjee)?

মন্দিরে ঢুকতে না পেরে মমতাবালাকে পাশে নিয়েই ক্ষোভ উগরে দেন অভিষেক। তিনি (Abhishek Banerjee) বলেন, ‘‘আমার কোনও কর্মসূচি ঠাকুরনগরে ছিল না। ছিল ২০ কিলোমিটার দূরে হাবড়ায়। আমি এখানে এসেছিলাম পুজো দিতে। কিন্তু দরজা বন্ধ করে আমাকে পুজো দিতে দেওয়া হল না। বিজেপি ও শান্তনু ঠাকুর মিলে এই কাজ করেছে। আমি তার জবাব দেওয়ার দায়িত্ব এখানকার জনগণকে দিয়ে রাখলাম।’’ একই সঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘ঠাকুরবাড়ি কারও একার সম্পত্তি নয়।’’

কী বললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী?

শান্তনুর মন্তব্য, ‘‘মতুয়াদের ভাবাবেগে আঘাত হলে প্রতিবাদ তো হবেই। তবে, বিজেপি নয়, যা করেছে মতুয়ারা করেছে। মতুয়ার নাটমন্দিরে কেন পুলিশ? গোবরজলে শোধন হবে মন্দির।" তবে, তিনি নিজে উদ্যোগী হয়ে নাটমন্দির থেকে সমস্ত পুলিশকে সরিয়ে দেন।

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles