মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে এক বড়সড় সাফল্য পেল কাশ্মীর পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনী। গতকাল রাতে শ্রীনগর পুলিশের গুলিতে নিহত হল ২ সন্ত্রাসবাদি। জানা গিয়েছে, বুধবার শ্রীনগরের নওগাম এলাকায় এনকাউন্টারের ফলে পুলিশের গুলিতে খতম হয় দুই জঙ্গি। কাশ্মীর পুলিশের তরফ থেকে ট্যুইট করে জানানো হয়েছে, দুই জঙ্গি যুক্ত ছিল সন্ত্রাসবাদি গোষ্ঠী আনসার গাজওয়াত উল হিন্দের (Ansar Ghazwat-ul-Hind) সঙ্গে।
On a specific input generated by Police, an #encounter has started in Nowgam area of #Srinagar District. Srinagar Police and 50RR are on the job. Further details shall follow.@JmuKmrPolice
— Kashmir Zone Police (@KashmirPolice) September 14, 2022
পুলিশ সূত্রে খবর, কিছুদিন আগেই পুলওয়ামাতে বাঙালি শ্রমিককে মেরে ফেলার ঘটনায় যুক্ত ছিল এই দুই জঙ্গি। এই দুই নিহত জঙ্গির নাম আইজাজ রসুল নাজার এবং শহিদ আহমেদ ওরফে আবু হামজা ও এরা পুলওয়ামার বাসিন্দা। ট্যুইট থেকে জানা যায়, মৃত দুই জঙ্গি, ২ সেপ্টেম্বর পশ্চিমবঙ্গের মুনির উল ইসলাম নামে এক বহিরাগত শ্রমিকের উপর সাম্প্রতিক সন্ত্রাসী হামলায় জড়িত ছিল। জানা গিয়েছে, বুধবার নির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে কাশ্মীর পুলিশ ও সেনা বাহিনী যৌথভাবে তল্লাশি চালিয়ে এই জঙ্গিদের খুঁজে পান ও এরপরেই শুরু হয় জঙ্গি ও পুলিশের গুলির লড়াই।
আরও পড়ুন: ফের রক্তাক্ত কাশ্মীর! জঙ্গিদের গুলিতে খুন বিহারের পরিযায়ী শ্রমিক
Killed #terrorists were affiliated with #terror outfit AGuH & identified as Aijaz Rasool Nazar of Pulwama & Shahid Ahmad @ Abu Hamza. They were involved in recent #terror attack on an outside labourer namely Muneer ul Islam from West Bengal on 2/9/22 in Pulwama: ADGP Kashmir https://t.co/tywlpSKTly
— Kashmir Zone Police (@KashmirPolice) September 14, 2022
বুধবার রাত ৮:২৭ নাগাদ কাশ্মীর পুলিশের তরফ থেকে ট্যুইট করে জানানো হয় যে, শ্রীনগরের নওগাম এলাকায় তাদের সঙ্গে জঙ্গিদের গুলির লড়াই শুরু হয়। এরপর আরও জানানো হয় যে দুই জঙ্গির মধ্যে একজন রাত ৮টা ৪৬ মিনিটে ও অন্যজন ৯টা ১৩ মিনিটে নিকেশ করা হয়।
মঙ্গলবারেও কাশ্মীর পুলিশের তরফ থেকে এনকাউন্টারে জঙ্গি নিকেশ করা হয়েছিল। যদিও সেই জঙ্গির পরিচয় এখনও জানা যায়নি। এই এনকাউন্টারে পুলিশের তরফ থেকেও একজন আহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। কার্যত এই জঙ্গি নিকেশ কাশ্মীর পুলিশের বড় সাফল্য বলেই মনে করা হচ্ছে।
+ There are no comments
Add yours